>
>>
  • SriSuvro
  • >>
  • VERA DROZDOVA
  • >>
  • TILOTTAMA BOSE
  • >>
  • THADDEUS HUTYRA
  • >>
  • SUTAPA KHATUA
  • >>
  • SUMANA BHATTACHARJEE
  • >>
  • STEPHEN STONE
  • >>
  • STACIA LYNN REYNOLDS
  • >>
  • SOUMYA SEN SARMA
  • >>
  • SIAMIR MARULAFAU
  • >>
  • SHARMILA DASGUPTA
  • >>
  • RUMA CHAKRAVARTI
  • >>
  • ROULA POLLARD
  • >>
  • RINITA MAZUMDAR
  • >>
  • RIMI PATI
  • >>
  • RANIA ANGELAKOUDI
  • >>
  • PRERNA SINGLA
  • >>
  • PHILLIP
  • >>
  • PAPIA ROY
  • >>
  • NUPUR LAHIRI
  • >>
  • NILANJANA BANERJEE
  • >>
  • NANDITA SAMANTA
  • >>
  • NANDITA BHATTACHARYA
  • >>
  • MITRA GHOSH CHATTOPADHYAY
  • >>
  • MITA CHAKRABORTI
  • >>
  • MICHAEL MILLER
  • >>
  • MASSIMILIANO RASO
  • >>
  • MARY SCULLY
  • >>
  • MARY L PALERMO
  • >>
  • MARIETA MAGLAS
  • >>
  • MANISH MITRA
  • >>
  • LaDean Birkhead
  • >>
  • KOLPITA BASU
  • >>
  • KALYAN MUKHOPADHYAY
  • >>
  • JYOTI BISWAS
  • >>
  • JULIE ANNA
  • >>
  • JAYANTHI SEN
  • >>
  • GITA ASSEFI
  • >>
  • EFTICHIA KAPARDELI
  • >>
  • DEBORAH BROOKS LANGFORD
  • >>
  • CLIFF GOGH
  • >>
  • CHRYSSA VELISSARIOU
  • >>
  • BRITTA HOFFMANN
  • >>
  • BENEDICTA RUIZ
  • >>
  • ASIM RANJAN PATI
  • >>
  • ARONI
  • >>
  • ANURADHA BHATTACHARYYA
  • >>
  • ANTORA
  • >>
  • ANNA ZAPALSKA
  • >>
  • ANINDA GHOSH
  • >>
  • ANCHITA GHATAK
  • >>
  • ANCA MIHAELA BRUMA
  • >>
  • AMRITA KANGLE
  • >>
  • ADRIJ
  • >>
  • SUBHODEV DAS
  • >>
  • MARY SCULLY
  • >>
  • LIPIKA DEY
  • >>
  • CHRYSSA VELISSARIOU
  • মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী

    SongSoptok | 12/15/2015 |




    মধুচন্দ্রিমা (শেষ পর্ব)

    "অলি, ওঠো, গুডমর্নিং দেখো কি সুন্দর সকালটা। হ্যাপী অ্যানিভার্সারি" ঋজুর কথায় মিষ্টি করে হেসে চোখ খোলে অলি,গলা জড়িয়ে ধরে আহ্লাদী হয় "হ্যাপী অ্যানিভার্সারি" আদুরেকে আলতো আলতো করে চুমো দেয় ঘুমভাঙ্গা চোখে, ঠোঁটে; মাথায় হাত বুলিয়ে বলে ঋজু "চটপট ফ্রেশ হয়ে এস ব্রেকফাস্ট রেডি কিন্তু" বাধ্য মেয়ের মতো উঠে কাজ সারতে চলে যায় অলি। ব্রেকফাস্ট টেবিলে অপেক্ষা করতে করতে কফিতে চুমুক দেয় ঋজু, জানে অলির সময় লাগবে, আগের মতো দ্রুত আর কিছুই করতে পারে না। ওপরওয়ালার কৃপায় বেঁচে আছে নিজের কাজ করতে পারছে এই না কতো। মনেপড়ে আগের বার এই মোটেলে থাকার সময়ের ঘটা ঘটনাগুলো, তখন মোটেলটা আরেকটু সাধারণ চেহারার ছিল, এখন মালিকানা বদলে বদলে বেশ উন্নত হয়েছে। উঠে যে যায়নি এই তো সৌভাগ্য। সেবারে ডিসিতে চেরীব্লসম দেখার পর এয়ারপোর্টে বিদায় নেওয়াটা খুব যন্ত্রনার হয়েছিল, দু'জনের কাছেই। ঋজুর কাঁধে মাথা রেখে কেঁদে ফেলেছিল সুভদ্রা।

    "তুমি না খুব ভালো, আমি অনেক ছেলেদের দেখলাম, বেশিরভাগ ছেলেরাই মেয়েদেরকে, বিশেষ করে একা কোনো মেয়েকে পেলে তার সাথে ফিসিক্যাল রিলেশন হয়েই যায়। এটাই যেন নর্ম্যাল, এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। অথচ দেখ তুমি, তুমিও তো একাই থাকলে আমার সাথে, ঘুরলাম বেড়ালাম কতো আনন্দ করলাম এই ক'দিন। খুব মিস করব জানো তোমায়।"ঋজু সুভদ্রার হাত ধরেছিল দুইহাতে, ধীরে ধীরে হাত বোলায়

    "আমিও মিস করব, আই থিঙ্ক আয়াম ইন লাভ। আসলে মানে, এইভাবে তো কোনো মেয়ের সাথে কখনও মেলামেশা করিনি। ক্লাসমেটরা ছিল ঠিকই, তখন তাদেরকে দেখে কোনো রিঅ্যাক্শন হোতো না।" চুপ করে যায়, ভাবে এতো কথা বলার চেয়ে নীরবতাই ভালো, তাতে অনেক না বলা কথাও বুঝতে অসুবিধে হয় না। ঋজুর কথায় সায় দিয়েছিল সুভদ্রা তার মনেও ঋজু জায়গা করে নিয়েছে, সে ও বোধহয় ভালোইবেসে ফেলেছে।

    "হুঁ, আমারটা কি করে বুঝব জানি না, তবে তুমি যদি স্মোক করা একদম ছাড়তে পার তাহলে বুঝবে ইউ আর ইন লাভ, কি ট্রাই করবে না? কোনো দুঃখ, আনন্দ, টেনশন এটসেট্রা এটসেট্রা কোনো এক্সকিউসেই স্মোক করবে না। ডান?" বলতে বলতে কাছে টেনেছিল সুভদ্রাকে, সেও স্বতঃস্ফূর্ত কাছে এসে বলেছিল

    "ডান" বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে একটা টাইট হাগ দিয়ে, বিদায় নিয়েছিল ঋজু। দু'জনেই চেয়েছিল নিজেদের মন ভালো করে বুঝতে, যদি দূরে থেকেও পরস্পরের প্রতি একই রকম আকর্ষণ অনুভব করে, তবেই বুঝবে হ্যাঁ সত্যিই ভালোবেসেছে, না হলে সাময়িক একটা ভালোলাগাকে প্রেম বলে ভুল হতেই পারে।

    বছর খানেক সময় কোথাদিয়ে যেন কেটে যায় ইমেলে যোগাযোগ ছিল প্রথম প্রথম, কিছু ফটো আদানপ্রদানও হয়, ডাক যোগে। সুভদ্রা পড়াশোনা শেষ করে একটা এলিমেন্টরি স্কুলে পড়ানোর চাকরি পায়। জীবন গুছিয়ে আনছিলো দু'জনেই আর অনুভব করছিল একটা সিদ্ধান্ত নেবার। তেমনই সময়ে একটা ফোন উল্টে পাল্টে দিল ঋজুর জীবন।

    বহু বছর দেশে যাওয়া হয়নি তাই মাস দেড়েকের মতো ছুটির অনুমতি জোগাড় করেছিল ঋজু। সেইমতো বেশ কেনাকাটি গোছগাছ শুরুও করেছিল। একটা রবিবার রাত্রে হঠাৎই ফোন আসে অচেনা একটা নম্বর থেকে অপরিচিত মহিলা কন্ঠ "হ্যালো, আমি কি ঋজুর সাথে কথা বলতে পারি?"
    "ঋজু বলছি। আপনি___"
    "নাঃ আপনি আমায় চিনবেন না, আমি অলির রুমমেট লিন্ডা___"
    "হাই লিন্ডা, সরি, আমি তো অলি বলে কাউকে___"
    "ওঃ আয়াম সরি, অ্যাস হার নেম প্রিটি টাফ ফর আস টু প্রোনাউন্স উই কল হার অলি, মে বি দিস ইস হার নিক নেম। হার নেম ইস শু__ শুব্যাড্রা"
    "সুভদ্রা?"
    "ইয়েস, ইউ প্রোনাউন্সড্ পার্ফেক্টলি"
    "কি হয়েছে ওর?"
    "নাউ ডিয়ার, এটাই সবথেকে হার্ড টু ডেসক্রাইব, ওর একটা কার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। প্রানে বেঁচে গেলেও ও আর কোনোদিন হাঁটাচলা করতে পারবে না। অ্যাস ইউ নো, ইন্সোরেন্স কতোটা কভার করবে আমার জানা নেই, আর হসপিটাল ও তো ওকে অনেকদিন রেখে দেবে না, না? এখন বাড়িতে এসেছে কিন্তু আমিই বা কতোদিন রাখব ওকে? ওর কন্ট্যাক্ট হিসাবে তোমার নম্বরটাই ফ্রিজের গায়ে লিখে টাঙ্গানো ছিল। এখন ইউ ডিসাইড হোয়াট টু ডু"

    "ওকে লিন্ডা আমায় একটু ভাববার সময় দাও, ডিসিশন তো কিছু নিতেই হবে, কিন্তু এভাবে একমুহূর্তে বলা ইমপসিবল"

    "আই নো ইউ নিড সাম টাইম, বাট ডিয়ার ডোন্ট টেক মোর দ্যান আ উইক,ওকে? দেন আই'ল হ্যাভ টু হ্যান্ড হার ওভার টু পোলিশ, দে উইল ডু দ্য রেস্ট"

    চারদিক কেমন অন্ধকার হয়ে গেছিল ঋজুর, যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল, তার এমন পরিনতিতে ঋজুর ঠিক কি করা উচিত, এবার দেশে গিয়ে মা কে সব জানাবে ভেবেছিল। মা অনুমতি করলে সুভদ্রাকে জানাবে, সব ভাবনা ঘেঁটে গুলিয়ে একাকার। বেশ খানিকক্ষণ চুপ করে বসে থেকে নিজের মন কে প্রশ্ন করে সমাধান পেতেই ফোন করেছিল মা কে। কিভাবে পরিচয়, কিভাবে ভালোবাসার সূত্রপাত সব কথা জানিয়ে এ ও জানাল যে, সে ইন্ডিয়া যাবার জন্য যে ছুটি নিয়েছিল সেটা সুভদ্রা ওরফে অলির জন্য ব্যয় করবে। কারন, এই মুহূর্তে সে মনেকরে ঋজুকেই সবথেকে বেশি দরকার অলির। আগে কাছে এনে শুশ্রূষা করে পরে অলির মত নিয়ে ওকে বিয়ে করে নেবে। দেরী করা চলবে না তাহলে লিন্ডারও অসুবিধে, আর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দিলে কোথায় গিয়ে পড়বে, আদৌ আর কোনোদিনও তার ভালোবাসার মানুষটাকে নিজের কাছে আনতে পারবে ঋজু? আর অলির এখন শুধুই চিকিৎসা নয় ভালোবাসারও প্রয়োজন, আপনজন কাউকে দরকার। প্রস্তাব দিয়েছিল মাকেই তাদের কাছে চলে আসতে। মা তাকে অবাক করে অনেক শুভেচ্ছা আশিস দিয়েছিলেন। তাঁর তখনের মতো মন খারাপ হলেও বুঝিয়েছিলেন ঋজুর সিদ্ধান্ত নির্ভুল। ঋজু পরদিনই রওনা হয়ে অলির কাছে পৌঁছয়, তাকে যথেষ্ট কষ্ট করে সাবধানে নিয়ে চলে আসে নিজের কাছে। এরপর থেকে তার যাবতীয় দায়িত্ব হাসি মুখে নিজের ঘাড়ে তুলে নেয়। ডাক্তার, ইন্সোরেন্স, ফিজিক্যাল থেরাপি করে করে আজকের অলিতে পরিনত করে শয্যাশায়ী অলিকে। যে এখন মোটোরাইসড্ হুইল চেয়ার নিয়ে নিজের কাজ নিজেই সারতে পারে, আবার একটা স্কুলে পড়ানোর কাজ খুঁজে নিয়েছে, কখনও কখনও রান্নাও করে। ঋজুর মা নিজে বিয়ে দিয়েছেন দু'জনের। অলির প্রথমদিকে আপত্তি থাকলেও ঋজুর ভালোবাসার কাছে হার মানতে বাধ্য হয়।

    ফ্রেশ হয়ে ধীরে ধীরে ব্রেকফাস্ট টেবিলের কাছে আসে অলি, ঋজু পিছন ফিরে দাঁড়ানো তাই অলির আসাটা টের পায়নি। অলি অ্যাক্সিডেন্টের পর খুব চেয়েছিল ঋজু খবরটা জানুক আর কারোর কথা কেন জানি মনেই আসেনি। লিন্ডা তাকে না জানিয়েই ঋজুকে খবর দেয়। অলির মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়েছিল। তবে ডিসিতে শেষ দেখার পর যে ঋজু সামনে এল সে যেন সম্পূর্ণ অন্য মানুষ। সেবারে ডিসি ভ্রমণের সময় অলি হেসেছিল রোগা বলে, তাই অলির চোখের আড়ালে এক্সারসাইজ করে দারুন আকর্ষনীয় চেহারা বানিয়েছে ঋজু। অমন সুন্দর সুপুরুষের জন্য সুন্দরী সুস্থ বউই হওয়া উচিত এমনটাই অলির মনোভাব ছিল কিন্তু ঋজু যেভাবে আদরের সাথে তাকে সুস্থ করেছে তাতে প্রতিদানে ঋজুর ভালোলাগার কিছুতো দিতেই হয়। প্রথম মাস দেড়েক পুরো ছুটি নিয়ে অলির দেখভাল করে সুভদ্র। অনভ্যস্ত হাতে সেবা করেছে তার, আর সব সময় উৎসাহ দিয়ে গেছে "পারবে তুমি আবার পারবে, সব কাজ নিজে নিজে করবে।" অফিস জয়েন করার আগে মাকে আনিয়ে নিয়েছিল দেশ থেকে যাতে কোনোমতেই একাকিত্ব গ্রাস না করে অলিকে, আর তখনও কিছু সাহায্যের প্রয়োজন হ', সেটুকু মা করে দিত। একটা একটা দিন কিভাবে পালন করেছে ঋজু, 'আজ নিজে নিজে উঠে বসতে পেরেছ? বেশ তবে আজ বাইরের খাওয়া' 'আজ পাওয়ার হুইলচেয়ার নিয়ে ঘুরতে পেরেছ? বেশ তাহলে একটা গিফ্ট'এমনই একদিন অফিস ফেরতা একগোছা রঙিন গোলাপ আর ফুলদানি নিয়ে এসে ছিল। অলিকে দিয়েছিল সাজানোর জন্য। কিন্তু ঋজু সাহায্য করতে আসে, অলি প্রথমটা বুঝতে না পারলেও যখন প্রতিটা গোলাপের রঙের মানে বলেবলে ওর হাতে দেয় ঋজু, কেমন আত্মহারা লেগেছিল অলির। ফুলদানিতে জল ভরে, কি একটা গুঁড়ো দেয় পাউচে করে ফুলের বাঞ্চের সাথে, সেটা যত্ন নিয়ে গুলল জলে তারপর পুরো হলুদ গোলাপ গুলো দিয়ে বলেছিল "এর মানে ফ্রেন্ডশিপ", পিঙ্ক "অ্যাপ্রিশিয়েশন, থ্যাঙ্ক ইউ", হলুদে লাল পাড়ওয়ালা "ফলিং ইন লাভ", ল্যাভেন্ডার "লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট", অরেঞ্জ "ফ্যাসিনেশন" পুরো লাল হ'ল "লাভ, কারেজ, ওয়েল ডান" আর সব শেষে সাদা "ব্রাইডাল"। এরপর আর কিছু বলার থাকেনি, আজ বোঝে ভুল পদক্ষেপ নেয়নি তারা, এতো সুন্দর পারস্পরিক বোঝাপড়া বোধহয় অনেক সুস্থ দম্পতিরও থাকে না। ঋজু ছিল বলেই আজ অলি নিজেকে প্রতিবন্ধী ভাবে না। প্রায় নিঃশব্দে ঋজুর পাশে পাওয়ার হুইলচেয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে ওর হাত জড়িয়ে ধরে অলি। চমকে তাকায় ঋজু কিছুটা

    অন্যমনস্ক ছিল বৈকি, দেখনা দেখ তাদের বিয়েরও দশটা বছর কেটে গেল, এতদিনের এত ঘটনা দুর্ঘটনা ঝড়ঝাপ্টার পরেও ঋজুর কোনোও ক্ষেদ নেই, অলিরও হয়ত নেই। কেমন করে অজানা অচেনা দুটো মানুষ ভালোবাসায় জড়িয়ে পরস্পরের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ  হয়ে ওঠে সেই সবই ভাবছিল ঋজু।

    "এসে গেছ? দেখেছ টেবিলে?" হ্যাঁ বলে কাছে টানে অলি। তার হুইল চেয়ারের সামনে ঋজু হাঁটু গেড়ে বসলে জড়িয়ে ধরে পরস্পরকে।

    "থ্যাঙ্কস" বলে চুমো দেয় অলি।

    "ফর?"
    "ফর এভ্রিথিং। তোমায় অনেকদিন বলব ভেবেছি, বলতে পারিনি। তুমি আর মা না থাকলে___" ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে চুপ করায় সুভদ্র। "তুমি আমায় প্রথম ফিলিংস অফ লাভ কেমন বুঝিয়েছ। ইউ আর মাই লাভ, মাই লাইফ। তোমার এই অ্যাক্সিডেন্ট কিন্তু আমাদের বিয়ের পরেও হতে পারত বল? আর হ'ল তো অনেক বছর প্লিস ভুলে যাও এসব। তা ম্যাডাম ব্রেকফাস্ট দেখে কিছু বলুন। একটু থ্যাঙ্কস ট্যাঙ্কস"

    "থ্যাঙ্কস থ্যাঙ্কস" বলে গলা জড়িয়ে ধরে ঋজুর; টেবিলে ভর্তি তার পছন্দের খাবার সাজানো দেখে খুব খুশি

    "এগুলো কোথায় পেলে?"

    "আরেহ্ ম্যাডাম, একি সেই বারো বছর আগের সিনারিও নাকি? এখন কতো জমজমাট হয়ে গেছে সব জায়গা, তায় এতো দেশী, দু'হাত অন্তর দেশী রেস্তোঁরাঁ, দেশী গ্রসারী। এখন এমন দেশী ব্রেকফাস্ট কোনোও ব্যাপারই না।" আলতো আঙ্গুলে অলির কপালের চুল সরায় ঋজু, অলির বাহুতে গালে চুমো দেয় নাক ঘষে।

    "মা কে কল করতে হবে না?" আদর খেতে খেতে বলে নীচু গলায় মনে করায় অলি

    "হুঁ করতে হবে তো, করব তো, আগে বউটাকে একটু আদর করেনি। মাকে কল করতে হবে, ব্রেকফাস্ট করতে হবে, সব হবে। আর মাকে কল না করলে তোমার এবারের গিফ্টটা তো জানতেই পারবে না।" বলে আরোও খানিক চুমো দেয় যেখানে ইচ্ছে।

    "আমার গিফ্ট? কি গিফ্ট শুনি শুনি" হাসতে হাসতে বাচ্চাদের মতো জিজ্ঞেস করে অলি।

    "উঁহুঁ, সেটি হবে না। আগে আমি আদর করব, আদর খাব, তারপর ব্রেকফাস্ট করব; আরে মা বুড়ো মানুষ তাকে ঘুম থেকে উঠতে দেবে না?" হাসতে হাসতে খাবার টেবিলে যায় দু'জনে। জীবনে না পাওয়া প্রায় কিছুই নেই, বাড়ি কিনেছে ঋজু, মাকে নিয়ে এসেছে নিজেদের কাছে, আনন্দে ভরপুর তিনজনের পরিবারে যেটুকু খামতি ছিল শিশুর কলকাকলির, ঋজু এবারের অ্যানিভার্সারিতে সেটাই গিফ্ট দিতে চলেছে অলিকে, বাচ্চা অ্যাডাপ্ট করবে তারা। বুদ্ধিটা যেহেতু মায়ের তাই ঋজুর ইচ্ছে অলি মায়ের কাছ থেকেই জানুক পুরোটা।

    (সমাপ্ত)


    © মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী

    Comments
    0 Comments

    No comments:

    Blogger Widgets
    Powered by Blogger.