চূড়ান্ত একটি বিন্দু কথা
আভ্যন্তরীণ সব পথ বেঁকেচুরে
গেছে
বাইরে সমান্তরাল সোজা পথ
গতিপথ দীর্ঘ।
ঘেরাটোপের বাইরের জীবন
আপাত আলোর ভিতর
নিশ্ছিদ্র অন্ধকার
দুটি মেরুতে সংস্থাপিত
আমাদের সব নিশানা...
তবুও মাঝে মাঝে
ধ্রুবতারার মত একটিমাত্র লক্ষে
আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
সব দুরত্ব অতিক্রম করে
চূড়ান্ত একটি বিন্দু হয়ে
উঠি
এই একটি বিন্দুতে কোন
দিক পরিবর্তন হয়না
শুরু আর শেষের সীমারেখা
ও অজানা
-----
নিরুপমা
নারী নিজেকে ব্যক্ত করার
উপমা খোঁজে
শাল-সেগুনের দৃপ্ততা
নাকি নরম মাধবীলতার
কোমলতা
হয়তবা অরণ্যের রহস্যময়তা
পদ্মপাতায় শিশিরের
স্বচ্ছ্তা
ফণীমনসার আত্মসচেতনতা
আর নীল জলাশয়ের
গভীরতা...
একটু একটু করে সবকিছুর
সংমিশ্রনে
নারী যেন প্রকৃত প্রকৃতি
নারীর উপমা নিরুপমা।
নারী
কথা
মসৃন নয় জীবনে চলার পথ
কোন না কোন ভাবে ভেঙ্গে
চূড়মার হয়
স্বপ্ন-শ্রয়ন-নির্ভার
বাতাবরণ
মেঘের পর মেঘ জমে তার
নির্মোহ মুখমণ্ডলে
বুকে লবণাক্ত জলের ঢেউ
ভাসিয়ে দিয়ে যায় সব বিশেষণ।
কোথায় লেখা নারীর ঠিকানা?
একরত্তি মাটির আশ্বাস
দিয়ে রাখেনি কোন ধর্মগ্রন্থের পাতা
পায়ে পায়ে নাছোড়বান্দা
লক্ষণরেখা
যখন তখন প্রমাণ করে যায়
তার অস্তিত্বহীনতা।
নিজেকে ক্রমাগত বদলাতে
বদলাতে
নারী শেষপর্যন্ত শুধু এক
সমঝোতা
তার শিকড়ে মেঘ-রোদ্দুরের
মত
সমস্ত সংসারের
স্থিতিস্থাপকতা...
একদিন সংসার শোনাবে নতুন
পালাবদল
যেদিন নারী লিখবে তার
নিজের আনন্দমঙ্গল
তার আগে তার জন্য কেউ কি
ফেলবেনা একফোঁটা চোখের জল!
[সুমিত্রা পাল]