>
>>
  • SriSuvro
  • >>
  • VERA DROZDOVA
  • >>
  • TILOTTAMA BOSE
  • >>
  • THADDEUS HUTYRA
  • >>
  • SUTAPA KHATUA
  • >>
  • SUMANA BHATTACHARJEE
  • >>
  • STEPHEN STONE
  • >>
  • STACIA LYNN REYNOLDS
  • >>
  • SOUMYA SEN SARMA
  • >>
  • SIAMIR MARULAFAU
  • >>
  • SHARMILA DASGUPTA
  • >>
  • RUMA CHAKRAVARTI
  • >>
  • ROULA POLLARD
  • >>
  • RINITA MAZUMDAR
  • >>
  • RIMI PATI
  • >>
  • RANIA ANGELAKOUDI
  • >>
  • PRERNA SINGLA
  • >>
  • PHILLIP
  • >>
  • PAPIA ROY
  • >>
  • NUPUR LAHIRI
  • >>
  • NILANJANA BANERJEE
  • >>
  • NANDITA SAMANTA
  • >>
  • NANDITA BHATTACHARYA
  • >>
  • MITRA GHOSH CHATTOPADHYAY
  • >>
  • MITA CHAKRABORTI
  • >>
  • MICHAEL MILLER
  • >>
  • MASSIMILIANO RASO
  • >>
  • MARY SCULLY
  • >>
  • MARY L PALERMO
  • >>
  • MARIETA MAGLAS
  • >>
  • MANISH MITRA
  • >>
  • LaDean Birkhead
  • >>
  • KOLPITA BASU
  • >>
  • KALYAN MUKHOPADHYAY
  • >>
  • JYOTI BISWAS
  • >>
  • JULIE ANNA
  • >>
  • JAYANTHI SEN
  • >>
  • GITA ASSEFI
  • >>
  • EFTICHIA KAPARDELI
  • >>
  • DEBORAH BROOKS LANGFORD
  • >>
  • CLIFF GOGH
  • >>
  • CHRYSSA VELISSARIOU
  • >>
  • BRITTA HOFFMANN
  • >>
  • BENEDICTA RUIZ
  • >>
  • ASIM RANJAN PATI
  • >>
  • ARONI
  • >>
  • ANURADHA BHATTACHARYYA
  • >>
  • ANTORA
  • >>
  • ANNA ZAPALSKA
  • >>
  • ANINDA GHOSH
  • >>
  • ANCHITA GHATAK
  • >>
  • ANCA MIHAELA BRUMA
  • >>
  • AMRITA KANGLE
  • >>
  • ADRIJ
  • >>
  • SUBHODEV DAS
  • >>
  • MARY SCULLY
  • >>
  • LIPIKA DEY
  • >>
  • CHRYSSA VELISSARIOU
  • শুক্লা রায়

    SongSoptok | 1/15/2016 |





    হীরকখন্ড রোদ্দুর

    ছোট্ট ছোট্ট নরম রোদ্দুরকনা
    হীরকখন্ড যেন ,
    শীতের  গাছের ফাঁকে ফাঁকে
    উল্লাস আনে
    মনের- শরীরেরও ।

    এই  কাঁঠাল্ গাছের ফাঁকে
    শীতবুড়ি যেন মুড়িসুড়ি বেঁধে বসে থাকে ,
    চুপটি করে ।

    সকালে গুড়মুড়ি খেয়েই ছোট্ট মেয়েটি
    ছালা নিয়ে দাঁড়ায় কাঁঠালতলায়,
    রোদ্দুর মাখবে বলে ।
    প্রায় তখনই এসে পড়া বন্ধু
    বলে ,”আমি কিন্তু রোদ্দুরে বসব ।

    আমি যে আগে আসলাম !” বলে মেয়েটি
    তাতে কি হইছে ?” বাড়িটা ত আমাদের ।

    ছোট্ট মেয়েটি পিছাতে শুরু করে নিজের ঘরে ,

    বন্ধুটির মনেও দুঃখ জাগে ,
    সে ভাবে ও ত চায়নি তেমন কিছু
    শুধুমাত্র শীতের রোদের উত্তাপটুকুই ।

    বন্ধুটিও রওনা দেয় ওর পিছু পিছু ,
    এই শোন ! দুঃখ পাস না ,
    চল আমরা দুজনেই ভাগ করে রোদ্দুরে বসি ।
    দুজনার দিকে দুজনেই চায়
    হাসিমুখে ।

    https://ssl.gstatic.com/ui/v1/icons/mail/images/cleardot.gif

    সময়ের হাত

    সাদা কালোর মাঝে
    যে বিস্তীর্ণ ধূসর অঞ্চল
    তাতে বসবাস যে মানবদের,
    অধরা তাদের মনের নাগাল ।

    ছড়িয়ে পড়া বিভাজিত মনের
    টুকরোগুলো কুড়াবার উদ্যাম বাসনা
    মাঝেমাঝে এগিয়ে দেয় ,
    ঘটনাক্রমে ভেতরের নিভে আসা আগুন ,
    যেন
    নীরবে বলে ,
    কিই বা হবে !

    আসলে  এই দোলাচলের হৃদয়্‌ ,
    জানেনা
    এগোনো পিছানোর সতত ক্রিয়া ,
    ঘটতে থাকে
    মাথার ভিতর অন্য এক বিস্ফোরণ ।
    কিছুতেই ভালো থাকতে জানে না সে
    বোঝে না কিবা ভালো মন্দই বা কি ?

    ভালো লাগে না কিছুই ।
    সামনের পার্কে,
    ঘূর্ণায়মান পাঁচ-টি  টিয়ার চলনে
    যে সৌন্দর্যের জন্ম
    তাও কেমন অকিঞ্চিৎকর মনে হয় ।

    বাড়ির পম কুকুরটা
    তার আদুরে চোখ-কান পেছনে
    সামনে হাজির ,
    তাও খুশি  করে না ।

    ঠাসবুনোনে তৈরি অতৃপ্তি আকাঙ্খা
    যেন অদ্ভুত একজালের সৃষ্টি করে ।

    ভালো না লাগা ,
    নাকি অল্পতেই ভালো লাগা ,
    অনুভবগুলো কেমন যেন সরতে সরতে যায় ,
    চলন্ত রেলগাড়িতে দেখা দৃশ্যদের মতো ।

    কোথায় স্থিতি ?
    বিশ্বাসে নাকি বিশ্বাসহীনতায় !
    ভালোবাসায় নাকি ঘৃণায় ?

    হঠাৎ
    ছুটতে ছুটতে
    ধরে ফেলি
    জীবন ,
    নাকি সময়ের হাত ।
    https://ssl.gstatic.com/ui/v1/icons/mail/images/cleardot.gif


    আজও খুঁজি তোকে

    নিশ্ছিদ্র অন্ধকার রাতে নয়,
    শেষরাত আর দিনের শুরুর আগে
    আকাশে ছড়িয়ে থাকা হাল্কা নীল আলোয়
    অপার্থিব ধরায় ,
    তোকে তখন খুঁজে পাই
    ঝরনার কলতানে ,পাখির গানে,
    আর ভোরের ঘাসের ডগার শিশিরে ।

    সুমি, তোকে স্বপ্নে বাদে আর দেখিনা,
    অথচ
    একসঙ্গে কাটিয়েছি, প্রাইমারি থেকে ক্লাস নাইন ।
    মনে পড়ে গেল পালবাড়িতে ,রথের দিনে ,
    মন্দিরের পাশের পুকুর থেকেই আগে ওঠা কাঠামোতে ,
    নারকোল দড়ি বেঁধে খড় দিয়ে তৈরী হত,
    দুর্গা পরিবার ।
    এক মেটে ,তারপর দো-মেটে,
    দো মেটের মাটি শুকাতেই প্রতিমার গায়ে ছোট ছোট ফাটল ,
    পাতলা ন্যাকড়ায় মাটি লাগিয়ে, প্রতিমার ত্বক মসৃণ করতেন শিল্পী ।
    বই পড়ার নেশা আমার,
    অথচ এগারো জনের যৌথ পরিবারে বই কিনে পড়াটা রীতিমত বিলাসিতা ,
    তোদের বাড়ির সিঁড়িতেই বসে পড়ে নিতাম শুকতারা , কিশোর ভারতী ।
    শীতের ভোরে কুল কুড়ানো বা গরমে গন্ধরাজ চুরি, সঙ্গী ছিলি মাঝে মাঝে ,
    কিন্তু কুমোরবাড়িতে হাঁড়ি কলসি গড়া
    বা শীতে সরস্বতী গড়া দেখতাম কিন্তু একসাথে ।
    মনিমেলা প্রাইমারি থেকে গার্লস হাই-এ ভর্তি হলাম দুজনেই ,
    স্কুলেও যেতাম হাঁটতে হাটঁতে একই সঙ্গে ।
    মাঝারি দুজনাই,তা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথাও ছিল না ।
    তখন ক্লাস সেভেন, দূরের পাড়ায় আমাদের নূতন বাড়ি হল ,
    ওখানেও মাঝে মাঝে এসে তুই আমাদের সাথে হাত লাগিয়ে খইয়ের ধান বাছতিস । ক্লাস নাইন তখন,
    তুই অন্য বেঞ্চে অন্য দিকেই চলে গেলি ।
    আর ক্লাস টেষ্টে দারুন সব নম্বর পেতে থাকলি ,
    তোর এই সাফল্যে খুশিতে বলি দ্যাখ ফাঁকিবাজ মেয়েটাও পারে
    সেদিন ছিল বনধ ।
    এরকম দিনে স্কুল হতেও পারে না হতেও,
    আমি কিন্তু চান্স নিতাম ।
    স্কুলে গিয়ে শুনি, আত্রেয়ী নদীতে যে দুটো মেয়ে ডুবে গেছে ,
    তাদের একটা তুই , কিছুক্ষণ পরে শুনি একজন তাদের মধ্যে বেঁচে গেছে ।
    মনে মনে প্রার্থনা করেছি সেটা যেন তুই
    আর বারবার দিদিমণিদের জিজ্ঞাসা করেছি সুমি বেঁচে আছে ত?
    নীরব ছিলেন তারা ।
    তাতেই জবাব ছিল।
    পরে শুনেছিলাম সাঁতার না জানা মেয়েটাই বেঁচে গেছিল ,
    আর সাঁতার জানা তুই !
    মুখ গুঁজে পড়েছিলি শ্যাওলা আর ঝাঁঝিপাতার মধ্যে,
    জলের স্রোতে,
    কখনও আবছা কখনও স্পষ্ট ,
    যেন বিসর্জনের দুর্গা


    [শুক্লা রায়]

    Comments
    0 Comments

    No comments:

    Blogger Widgets
    Powered by Blogger.