সংশপ্তক
শর্মিষ্ঠার
সাথে আলাপচারিতায়
বিশ্বায়নের
যুগে জেনারেশন গ্যাপ
সংশপ্তক: যদিও
আমাদের আলোচনার বিষয়, এই বিশ্বায়নের যুগে জেনারেশন গ্যাপ, তবুও একথা তো খুবই
সত্যি, পূর্ববর্তী প্রজন্মের সাথে পরবর্তী প্রজন্মের মানসিকতার ফারাক বলুন, ধ্যান
ধারণার ফারাক বলুন কিংবা আশা আকাঙ্খা বিশ্বাস অবিশ্বাসের বৈপরীত্য বা দূরত্ব- এই
বিষয়গুলি মানুষের সমাজ সংসারে নতুন তো কিছু নয়! প্রতি যুগেই এক প্রজন্মের সাথে আর
এক প্রজন্মের এই দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়েই সমাজ বিবর্তিত হয়ে চলেছে কালের পথরেখা
ধরে। তাহলে এই জেনারেশন গ্যাপ নিয়ে আমাদের এত মাথা ব্যাথাই বা কেন?
শর্মিষ্ঠা: একদম তাই । জেনারেশান গ্যাপ নতুন কোনো ফেনোমেনা নয় । আসলে প্রতিদিনের চায়ের কাপে আমরা চর্চা করি বর্তমানের । আর আমরা যেহেতু উঠতে বসতে হাঁটতে চলতে আমার পরবর্তী প্রজন্মের সাথে আমাদের ভাবনা চিন্তা কাজ কর্মের ফারাকগুলো দেখতে পাই
, দেখতে পাই সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনেক অনেক ফারাক গড়ে দিচ্ছে আমাদের পৃথিবীতে , আর তার কাছে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখার জন্য আমাকেও বদলাতে হচ্ছে অল্পবিস্তর , শিখে নিতে হচ্ছে নয়া টেকনিক বা মানিয়ে নিতে হচ্ছে বদলি কালচারের সঙ্গে , তখন মাঝে মাঝে একটা ক্ল্যাশ তো লাগেই । নিজের ধ্যান ধারণা বিচার বিবেচনা ন্যায় নীতি বোধ অন্যের চেয়ে তুখোর , এটা ভাবতে কার না ভালো লাগে ? এই আর কি ! তাই , মানা আর না মানার
, পারা আর পিছিয়ে পড়ার দ্বন্দে আমাদেরও ধন্ধ লাগে যুগে যুগে কালে কালে । আমাদের আগের জমানার দিকে আঙ্গুল তুলে আমরা বলেছি , ‘মা, তুমি না ইনক্রেডিবল’,
‘বাবা,
কাম অন , এখন এটাই ইন থিং’, তেমনি আমার কাঁধে মাথা রেখে আমার মেয়েও মাঝে মাঝে করুণা মিশ্রিত আদর করে বলে , ‘এখন তো সবাই এটাই ইউজ করে’,
‘এভাবে করে না এটা , দাও , আমি দেখিয়ে দিচ্ছি’। আমার তো খুব আনন্দ আর গর্ব হয়
, ভাবি
, ইশ , ওরা সত্যি কতকিছু জানে ! আর নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কথা তুলে অনেকে নতুন প্রজন্মকে গাল পাড়েন , আমি ওসবে নেই । আমি বিশ্বাস করি , মানুষের দুটো শ্রেণী , ভালো আর মন্দ । এটাই আদি
, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ । তার ভালো মন্দের দায় সময় বা প্রজন্ম নেবে না , তাকেই পারসোন্যালি নিতে হবে ।
সংশপ্তক: আবার দেখুন, আমাদের বাল্য কৈশর যৌবনে কিন্তু
আমরা এই জেনারেশন গ্যাপ নিয়ে এত চিন্তিত থাকি না। যত চিন্তা অস্বস্তি সবই শুরু হয়
আমাদের সন্তানদের কৈশর থেকে। অর্থাৎ এটা দেখা যাচ্ছে জেনারেশন গ্যাপ নিয়ে
দুশ্চিন্তাটা মূলত অভিভাবকদেরই। কৈশর যৌবনের সময়ের ছেলেময়েদের কিন্তু এই নিয়ে আদৌ
বিশেষ মাথা ব্যাথা থাকে না। এই বিষয়টি আপনি কি ভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
শর্মিষ্ঠা: বাচ্চারা তাদের পারিপার্শিক নিয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে ওঠে । তার পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে অটোমেটিক্যালি অভিযোজিত হয় । কাজেই সে ততটা বোঝে না এই ফারাকের ব্যাপারটা । এটা বরং ধরা পড়ে আমাদের বুড়ো চোখে
, যারা তাদের মাপমতো আঁটাতে পারি না নতুন প্রজন্মকে । আমাদের নর্মে ব্যাখ্যা না করতে পারলেই আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি , বুঝে উঠতে পারি না উঠতি বয়সের বদলে যাওয়া চোখ এবং চাহিদাকে । এটা আমি অভিভাবকদেরই ব্যর্থতা মনে করি । বয়ঃসন্ধির ছেলে মেয়েদের বুঝতে হলে অভিভাবক কম বন্ধু বেশি হতে হবে ।
সংশপ্তক: একদিকে সময়ের সাথে চলা আর একদিকে পূর্ববর্তী
সময়কে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাওয়া, এই দুই প্রান্তিক অবস্থানের মধ্যে সমন্বয় সাধন ও
সামঞ্জস্য বিধান কি ভাবে সম্ভব বলে মনে হয় আপনার?
শর্মিষ্ঠা: কিছু ছেড়ে কিছু ধরে আমাদের ব্যালেন্স করতে হবে । একদিকে পারিবারিক বন্ধন সামাজিক মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে ওদের ছোট থেকেই
, আরেকদিকে আমাদেরও প্রতিমুহূর্তে সময়ের সাথে অভিযোজিত করতে হবে নিজেদের ।
সংশপ্তক:
এখানে একটি কথা আমরা
প্রায়শই বিস্মৃত হই, সময়ের ধারা সবসময়ে সামনের দিকেই চলতে থাকে, থাকবে। আমরা
কিছুতেই তার অভিমুখ বদলাতে পারবো না। সেইখানে দাঁড়িয়ে আমরা প্রথমেই যেটা মস্ত বড়ো
ভুল করে বসি; সেটা হল আমাদের সন্তানদের বেড়ে ওঠার যুগটিকে বা তাদের কর্মজীবনের
পর্বের যুগটিকে আমরা নিজেদেরও যুগ ভাবতেই পারি না। কারণ তখনও আমরা আমাদের চিন্তা
চেতনায় আমাদের ফেলে আসা সময়েই পড়ে থাকি। অথচ কিছুতেই ভেবে দেখি না আমাদের সন্তান
সন্ততিদের যুগটিও আমাদেরও যুগ। কারণ আমরা যে এই যুগটিতেও জীবিত। মৃত বা অবসৃত নই।
আমাদের বয়সের সাথে চিন্তা চেতনার এই দূ্র্বলতা বা দৈন্যতার কারণ কি বলে মনে হয়
আপনার? না কি এই ভাবে ভাবনা করাটা আদৌ মানসিক দূর্বলতা বা দৈন্য কোনোটাই নয় বলই
মনে করেন আপনি?
শর্মিষ্ঠা: আপনার প্রশ্নের মধ্যেই উত্তরটা আছে । আমাদের বরং একটু খোলামেলা ভাবা প্র্যাক্টিশ করা দরকার । মানিয়ে চলার দায় দু পক্ষেরই থাকা উচিৎ । একটা মানুষ যতদিন বাঁচবে ততদিনই তো শিখবে । জন্মের পর থেকে গোটা জীবঙ্কাল জুড়েই এই শিখন ক্রিয়াশীল থাকবে । সুতরাং আমার সন্তানের যুগটাও তো আমার যুগ । কি করে ভাববো যে
, ওরা আর আমরা আলাদা ? জ্ঞান কখনো স্যাচুরেশান পয়েন্টে পৌঁছতে পারে না । কিছু সময় আমরা বরং নতুন কিছু শেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি । মনে করি অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার শেষ মানেই আমি মস্ত জ্ঞানী । আর নতুন কিছু জানার বাকী নেই । এটা একটা ফ্যালাসী । যেই মুহূর্তে আমি নিজেকে সম্পৃক্ত ভাববো , সেই মুহূর্তেই আমারও মৃত্যু হবে । আমি তো এভাবেই ভাবি । তাই যুগের কনফ্লিক্ট অনেকটাই আমাদের মনগড়া । বাস্তবটা অন্যরকম ।
সংশপ্তক: জেনারেশন গ্যাপের আর একটি বড়ো দিকই হচ্ছে
মূল্যবোধের পরিবর্তন। অধিকাংশ অভিভাবকদেরই অভিযোগ বর্তমান প্রজন্ম মূল্যবোধগুলি
হারিয়ে ফেলছে দ্রুত, কিংবা পরিচিতই হচ্ছে না সুস্থ সুন্দর মূল্যবোধগুলির সাথে,
যেগুলির সাথে পারিবারিক বংশ কৌলিন্য শিক্ষা সংস্কৃতি যুক্ত থাকে উত্তরাধিকার
সূত্রে। এই বিষয়টি আপনি ঠিক কি ভাবে দেখে থাকেন? এই সমস্যা আপনার পরিবারে উদ্ভুত
হলে কি ভাবেই বা করবেন তার সমাধান?
শর্মিষ্ঠা: দেখুন
, একটি শিশু প্রথমে শেখে মায়ের কাছে , পরিবারের কাছে , তারপর আসে তার বিদ্যালয় , পরিবেশ । সুতরাং প্রথম থেকেই কাঁচা মাটিটি তৈরী করা শুরু করতে হবে । মানুষ হওয়া না হওয়ার দায় একা শিশুটির নয় , আমাদেরও সমান সমান । শিশু মনঃস্তত্ব বুঝে তাকে তার মতো করেই শেখাতে হবে । সবার ক্ষেত্রে পদ্ধতি এক হবে না । মা সবচেয়ে ভালো বোঝেন তাঁর সন্তানকে । তিনি চাইলেই ঠিকঠাক ভাবে পারবেন শিশুটিকে চালনা করতে
, আদর দিয়ে শাসন করে , পুরস্কার এবং তিরস্কারের নীতিতে একাজ তিনি সবচেয়ে ভালো পারবেন বলেই আমার বিশ্বাস ।
আমার পরিবারে শিশুরা তাদের দাদু , দিদা , ঠাকুর্দা , ঠাকুমার সাথে অনেকটা সময় কাটায় । তারাও তাদের মত করে আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতি তাদের মধ্যে ইম্বাইব করছেন , এটা একটা বিশাল ব্যাপার আজকালকার অনু পরমানু পরিবারে ।
সংশপ্তক: সমাজ সভ্যতা সংস্কৃতি সবসময়েই ধারাবাহিক বিবর্তনের মধ্যে
দিয়ে চলেছে। সেই চলাটাকে কেউ বলছে এগিয়ে চলা, আবার কেউ বলছে উচ্ছন্নে যাওয়া। দুই
পক্ষই ভুল বা দুই পক্ষই যে ঠিক তেমনটা নাও হতে পারে। কিন্তু কোথাও কি একটা
বোঝাপড়ার ভুল হতে পারে না এই দুই দৃষ্টিভণ্গীর মধ্যে? এই বিষয়ে আমরা আপনার
সুচিন্তিত অভিমত জানতে আগ্রহী। যদি সম্ভব হয় একটু বিস্তৃত ভাবেই।
শর্মিষ্ঠা: একদম । কিছু নীতিগত স্ট্যান্ডার্ডের এদিক ওদিক হওয়াটাকে আমরা উচ্ছন্নে যাওয়া বলি । দেখুন
, ভ্যালুজ
, যা নাকি ভালো , মানবিক , হিতকারী , তা সব যুগেই তাই । সেটাকে সম্মান করতে শেখাটা আমাদের দ্বায়িত্ব কর্তব্যের মধ্যে পড়ে । তাই সমাজ এগোলে কেউ উচ্ছন্নে যায় না । সেটা তার ব্যক্তিগত পিছিয়ে পড়া বা অপদার্থতা । তার জন্য দায় তার নিজের । সময়ের বা যুগের নয় । খারাপ ভালো মানুষ তো সব যুগেই থাকে । তাই না ?
সংশপ্তক: এবারে আসি বিশ্বায়নের এই বিশেষ যুগে। কেউ বলছে এ এক
অভূতপূর্ব সময়। মানুষের হাতের মুঠোয় পৃথিবী। আবার কেউ বলছে এ এক মহা গণ্ডোগোলের
সময়। নেপোয় দই মারার মতো এমন যুগ এর আগে আর আসেনি কোন দিন। আবিশ্ব যোগাযোগ
ব্যবস্থার উন্নতির হাতে ধরে জেনারেশন গ্যাপ কি বেড়ে গিয়েছে এই যুগে? না কি
জেনারেশন গ্যাপকে অনেকটাই কমিয়ে আনারও এক বিরাট সুযোগ নিয়ে হাজির এই বিশ্বায়ন।
যেখানে নাতির সাথেও স্বচ্ছন্দে নেটে বসে চ্যাট করতে পারেন দাদু দিদিমা?
শর্মিষ্ঠা: আপনার দ্বিতীয় মতটাকেই আমি বেশি সঠিক মনে করি । বিজ্ঞান আমাদের হাতে সেসব সুযোগ এনে দিচ্ছে
, যা আগে ছিল না । আমাদের উচিৎ সেটার সদব্যবহার করা । মিস ইউজ করলে আমারই ক্ষতি । যাকিছু নতুন এবং যুগান্তকারী তাকে ভালোমনে ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে আলিঙ্গন করতে পারাটাই যথার্থ আধুনিকতা ।
সংশপ্তক: বিতর্ক যতই থাকুক, একথা খুবই সত্যি যে বিশ্বায়ন প্রযুক্তিকে
সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে এনে দিতে পেরেছে। এখন প্রশ্ন সেই সুযোগটাকে
কাজে লাগাতে গিয়ে বর্তমান প্রজন্ম যত বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়বে, তত বেশিই কি
পারিবারিক মূল্যবোধ, সাংসারিক আবেগ, পারস্পরিক আত্মীয়তার ঐতিহ্য থেকে বড়ো বেশি
দ্রুত হারে দূরে সরে যেতে থাকবে বলে আশঙ্কা হয় আপনার?
শর্মিষ্ঠা: আমাদের কমন প্রাক্টিশ হল
, কোন অবক্ষয়ের জন্য র্যাটরেস , সময়াভাব , প্রযুক্তি কেন্দ্রীকতাকে কাঠগড়ায় তোলা । যেন আমার নিজের কোনো ভালোমন্দ ভাবার দায় নেই । বিবেক নেই । একজন সফল মানুষের একজন হৃদয়বান ভালো মানুষ হতে বাধা কোথায় ? আমার তো মনে হয় না , প্রচুর টাকা রোজগার করলে , প্রচুর নাম যশ উপার্জন করলে মনুষ্যত্ব বিবেক এগুলো বিসর্জন দিতে হবে । আমাদের গোড়ার শিক্ষাটা যথার্থ হলে তো আর এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করার দরকার পড়ে না ।
সংশপ্তক: আমাদের মনে হয়, জেনারেশন গ্যাপের সমস্যাটি সৃষ্টি হয় মূলত
অভিভাবকদের অভিভাবকত্বের ত্রুটি বা দৈনতা থেকেই। যে সব পরিবারের অভিভাবকরা সন্তান
সন্ততিদের চিন্তা ভাবনা আশা আকাঙ্খার সাথে যত বেশি আত্মিক যোগ রাখতে পারেন, সেই সব
পরিবারে দুই প্রজন্মের মানসিকতার ফারাক তত কম হয় বা পারস্পরিক শ্রদ্ধার অভাব ঘটার
সম্ভাবনা থাকে অনেক কম। এই বিষয়ে আপনার অভিমত জানতে চাইছি আমরা। ঠিক কি ভাবে দেখেন
আপনি এই বিষয়টি।
শর্মিষ্ঠা: আমি আপনার সাথে দুশো শতাংশ একমত । আমার সন্তানের পতনের দায় আমারই বেশি । আমি ঠিকঠাক ভূমিকা পালন করতে পারলে কপাল কম চাপড়াতে হবে ।
সংশপ্তক: সবশেষে জানতে চাইবো এই জেনারেশন গ্যাপ; তা সে, যে যুগেরই
হোক না কেন, মানুষের নান্দনিক সৃষ্টির কাজে, সাংস্কৃতিক দিগন্তের বিস্তারের
ক্ষেত্রে, জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার জগতে কতটা অনুপ্রেরণার সঞ্চার করতে পারে বলে মনে
করেন আপনি। নাকি আদৌ বিষয়টি সেই রকম নয়? এই প্রেরণার সাথে জেনারেশন গ্যাপের কোন
সংযোগ নেই? থাকে না?
শর্মিষ্ঠা: দেখুন
, ওরা পারছে , আমি কেন পারবো না ? এটা যদি ভেবে নিই , আমি কিছুটা তো এগোবোই । আমি জানি না
, আমি পারবো না , ওসব নতুন নতুন টেকনিক , এই ভাবনাটা পলায়নবাদী মনোবৃত্তির পরিচায়ক । জেনারেশান গ্যাপ মেক-আপ করার চেষ্টাটা একটা সুস্থ প্রতিযোগিতার বাতাবরণ তৈরী করে । এখন আশি বছর বয়সে আপনি নিশ্চই গাছে চড়তে চাইবেন না । কিন্তু গাছ থেকে সদ্যপাড়া ফলটি আপনাকে কম রোমাঞ্চিত করবে না । অর্থাৎ সাযুজ্য বজায় রেখে সামর্থের বিষয়ে সচেতন হয়ে আপনিও সামনের দিকে হাঁটতে পারেন । এতে সৃষ্টিশীল কাজে ভালো বই খারাপ হয় না
, হবে না ।
শর্মিষ্ঠা ঘোষ এর জন্ম ২৬ শে জুন ১৯৭৪ । উত্তরবঙ্গের সবুজ জলমাটির দেশে জন্ম শিক্ষা এবং কর্ম । ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্রী । পেশায় শিক্ষক । কবিতাই প্রথম প্রেম । এযাবৎ এককভাবে প্রকাশিত কাব্যগ্রণ্হের সংখ্যা তিন । ‘অলীক অলীক ভালোবাসা’, ‘স্পর্শবিন্দু’ , ‘এখন সংহত অন্দরে’ । এছাড়া মিলিজুলি কাব্যগ্রণ্হ তিনটি । ‘নাকছাবির কথকতা, ‘প্রকৃত সারসী’, ‘একবিংশের কবিতা সংকলণ’। ছোট গল্প , মুক্তগদ্য এবং প্রবন্ধও আছে কিছুমিছু । অনুবাদ করেন অবসরে , অন্য কবিতা পড়ার আনন্দে ।
We sincerely thank you
for your time and hope we shall have your continued support.
Aparajita
Sen
(Editor:
Songsoptok)