অন-অর্থ
প্রেম তুমি কবিতা বোঝো
না
ওতে তো পয়সা নেই কোনো ।
প্রেম আমি ডাক দিয়ে যাই
তুমি শোনো যদি নাই শোনো—
যে ছেলেটা অন্য দিকে ফিরে-
যে কলার ঘোরে অন্য দিকে
বই দিলে তাকে তুলে রাখে
রঙ দিলে বলে ,“এত ফিকে...”
তার চুলে হিলিবিলি কাটে
আমার মনের চাওয়া পাওয়া
দূর থেকে দৃষ্টি ভেসে যায়
তার পাশে অন্য গন্ধী হাওয়া
যে শরীর গাঢ় রঙ খোঁজে
নিতি নব তারুণ্য সন্ধানী
হাল ফ্যাশানের ঠোঁট চুল
ককটেল কুহু রাজধানী ;
আমি মন মাছরাঙা পাখি
সবুজ পাতায় রাখি ডানা ।
ছোঁ মেরে ছিনিয়ে নেবো চুমু
যতই করোনা কেন মানা।
ওতে তো পয়সা নেই কোনো ।
প্রেম আমি ডাক দিয়ে যাই
তুমি শোনো যদি নাই শোনো—
যে ছেলেটা অন্য দিকে ফিরে-
যে কলার ঘোরে অন্য দিকে
বই দিলে তাকে তুলে রাখে
রঙ দিলে বলে ,“এত ফিকে...”
তার চুলে হিলিবিলি কাটে
আমার মনের চাওয়া পাওয়া
দূর থেকে দৃষ্টি ভেসে যায়
তার পাশে অন্য গন্ধী হাওয়া
যে শরীর গাঢ় রঙ খোঁজে
নিতি নব তারুণ্য সন্ধানী
হাল ফ্যাশানের ঠোঁট চুল
ককটেল কুহু রাজধানী ;
আমি মন মাছরাঙা পাখি
সবুজ পাতায় রাখি ডানা ।
ছোঁ মেরে ছিনিয়ে নেবো চুমু
যতই করোনা কেন মানা।
স্ব-কীয়া
রং লেগেছে ঠোঁটে, আর
ফাগের আভাস লাগে গালে ।
রেশম ঘোর লাগায় শরীর-খাঁজেতে
রং ঢালে
শেষ রবির অস্ত রশ্মি
সিঁথি ছোঁয় ; ছুঁই
নরম জুঁইয়ের পাপড়ি
এলো খোঁপা ঘাড়ে
--এলি তুই ?
নিশ্বাস পিঠের কাছে
শিরশিরিয়ে কানে এলি
কেনো ?
দ্রুত হয় ঘনশ্বাস
গুঁড়ো চুল কেঁপে ওঠে
যেন--শিমুল পলাশ গাছে
বেপরোয়া দস্যি হাওয়া
টান ।
ঘোর লাগা চোখ-মন
নেশা হল ,
প্রেম সুধা পান
মধ্য-ছোঁয়া তিন কালে ।
চারপাশে ফিস ফিস শুনি ।
সখী বলে ,“পরকীয়া ?
কি রে ,খুব যে উত্তর ফাল্গুনি ?”
সম্বিৎ ফেরাতে বসি
মেঘ থেকে মাটিতে পা রাখি ।
এত রঙ, এত ছন্দ
অকালে বসন্ত এল নাকি।
দৃষ্টি পাতি নারী মনে
না তো –এত তৈল ধারাবৎ
গ্রীষ্মের এ সির হাওয়া
বর্ষায় ছাতা, ও শরৎ
অঞ্জলি দেওয়ার শাড়ি
হেমন্তের কুয়াশা গরম
শীতের চাদরে ওম
ফাগুনের এই তো ধরন ।
না হয় পেকেছে চুল
তা বলে কি প্রেম বেআইনি ।
বাঁকাবো না গ্রীবা যদি
রাজহংসী বলে কেন তিনি?
রিমঝিম আনন্দ ধারা
মুছে দেয় ব্যথাবিদ্ধ
দৈনন্দিন ধুলো মাখা হিয়া।
আকৈশোর আযৌবন তুমি ই
একমাত্র স্বকীয়া।
বরষা
বৃষ্টি, তুমি বৃষ্টি চাও
আমি তো চাই বরষা ঘোর
আমি তো তবু ডুবতে চাই
চোখের জল জলের তোড়
তরী ডোবাস ভেসেছি ডুব
আদর সুর রংবেরং
কেজো দিনের ধুলো উড়ুক
ঝড় উঠুক আজ বরং
বেরং দিন প্রখর পল
নরম হোক রেশম চুপ
বুকের মাঝ মেঘের শ্বাস
দেশ রাগের আলাপ টুপ।
বরষা মেঘ সেই মেঘের
দূত চল
তিন টে ডুব জল পাঁচ টা ছুঁই
দুয়ারে বরষাতি শিকের ফাঁকে ছবি
জানালা ভিজে গিয়ে একশা হই
আষাঢ়ে গল্পরা সুরের জাল মাখে
মায়ায় ঘিরে থাকে
দুটো খাতা
খাটের পাশে
জ্বলে আরাম ল্যাম্প
শেড
তোমার ও পিঠে থাক ভেজা মাথা।
গন্ধ মিঠে খুস বেলির সাদা রং
জুঁই য়ের বড়লোকি দেমাক ঘোর
কদম ফোটে তবু ভাংগা এ ফুটপাথে
বকুল ফোটে লেকে সারা বছর
বৃষ্টি আয় ভাই ভিজে এ রাস্তায়
হাঁটুতে জল ঢেউ ভিজেছে নাক
হি হি হাসির মাঝে খিচুড়ি মোমো খাই
বরষা থাক প্লিজ সংগে থাক।
[সোনালী পুপু]