কথা তরঙ্গ ...
কেউ নেই ঝুলে থাকা চাঁদ বারান্দায় ।
ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে আমারই নিঃসৃত ব্যথা
উপসম সম্বিত ফেরানো
নীল পাখি ।
নাম ধরে ডাকি তাকে – শোনো।
বাতাসেই মিশে যায় শব্দগুচ্ছ...
শেষ অবধি নিঃসীম দিগন্তে
জানি ,
শব্দগুলো
হারায়নি, হারাবে না কোনোদিন এবং কোথাও আছে
তাদের কম্পাঙ্ক
যদি প্রতিসম হয়ে ওঠে
তোমার স্পন্দনে
তুমি
ঠিক খুঁজে নেবে
আগামীদিনের জলবায়ু
রোদ আর আকাশের থেকে পেড়ে আনবে কথাদের
বসাবে তোমারই মনে
যদি ভালো লাগে ।
জঙ্গলের জার্নি
আমরা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি
না
জঙ্গল আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে
ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা।
কে কাকে গিলে খাচ্ছে ?
স্বপ্নমাখা শীত
ভাসিয়ে দিচ্ছি জলে
প্রতিবাদ... ভেঙে দাও তার হাত
গলা দিয়ে শব্দ বেরুচ্ছেনা আর গভীর জঙ্গল
পুতুলখেলার মধ্যে উন্মোচিত হাততালি ।
হাততালির শব্দে ফুরিয়ে যাচ্ছে ম্যাজিক
পরবর্তী ছবিতে
সাদা পায়রা উড়িয়ে দিচ্ছি আবার
অ চুপ কথা
অই বিচ্ছিনতা আর নির্জন বারান্দা থেকে
হাড় হিম ভয় কাতরতা থেকে
নিজের আঘ্রান ঠিক চিনে যাই
কর্পোরেট ফিসফিসানি
অনুচ্চ শব্দের মহিমা কানে বাজে
দুরত্ব দু র ত্ব
দু র ত্ব
অ স্পর্শক দাঁড়িয়ে
থাকি
ঝিলিক রোদের গায়ে
স্থানু লিরিক
অচুপ কথারা বেজে ওঠে ।
[বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়]