>

শর্মিষ্ঠা ঘোষ





সংশপ্তক: মানুষের সমাজ ও সভ্যতায় ট্রেন ও বিদ্যুৎ শক্তির আবিষ্কারের মতোই এক যুগান্তকারী ঘটনা ইন্টারনেট প্রযুক্তির বিকাশ। যার হাত ধরে উত্থান সোশ্যাল মিডিয়ার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই নবতম উপহারের সাথে আপনার পরিচয়ের সূত্রপাত সম্বন্ধে যদি একটু আলোকপাত করেন!

শর্মিষ্ঠা ঘোষ:  সেটা ২০০৬ সাল । ভাই কর্মসূত্রে বিদেশ গেল । ওর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য ইয়াহু মেসেঞ্জার নিয়ে কসরত শুরু হল । তারপর আস্তে আস্তে শুরু হল ই মেলের মাধ্যমে ছবির ফাইল আদানপ্রদান । এই করতে করতেই শুরু অর্কুট । খুঁজে পেলাম হারিয়ে যাওয়া বন্ধুবান্ধব । প্রথমে পেল গেমের নেশা । ফার্মভিল । সিটিভিল । তারপর বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে আমার বক্তব্য পেশ করতে শুরু করলাম টুকটাক । এই করতে গিয়ে দেখলাম , সেই কাজটা আমি করতে ভালবাসছি আমার প্রিয় কবিতা, পদ্য , স্যাটায়ার ফর্মে । জুটল সমভাবাপন্ন সঙ্গী সাথী । তারা জয়েন করিয়ে দিল বিভিন্ন গ্রুপ এ । সেই চলল বেশ কিছুদিন । ফেসবুকে এলাম অনেক পরে , ২০১০ এ। তোমাদের পেলাম । আরও খুলে গেল কথনবিশ্ব । তারপর আর পেছন ফেরা নেই । আসলে কেজোভাবে শুরু হলেও ধীরে ধীরে দেখলাম নেট ছাড়া দুনিয়া অন্ধকার লাগছে । জড়িয়ে গেল আমার সকাল সন্ধ্যে এই দুনিয়ার সাথে ।

সংশপ্তক: মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্যোশাল মিডিয়ার মতোন এমন শক্তিশালী মাধ্যম আবিষ্কৃত হয় নি আগে। এই যে গোটা পৃথিবীটাই প্রায় আপনার হাতের মুঠোয়; এই বিষয়টি আপনাকে কতটা প্রভাবিত করে?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ:  আমার তো এমন অবস্থা যে , বেঁচে থাকতে গেলে খাদ্য , বস্ত্র , বাসস্থান আর স্যোশাল মিডিয়া লাগে মনে হয় । এই যে তুমি আজ আমায় প্রশ্ন করছ , সেতো এর দৌলতেই । কাজের ফাঁকে ফাঁকে , কোথাও বেড়াতে গিয়ে , কিম্বা অলস যাপনে টুক করে একটু নেট খুলে দেখে আসা দুনিয়ার হালচাল , এখন এভাবেই অভ্যস্ত হয়ে গেছিনা থাকলেই কি যেন নেই , নেই লাগে । আর আছে এই সূত্রেই পাওয়া  অগণিত মানুষের সাহচর্য । কাউকে মুখোমুখি দেখার সুযোগ পেয়েছি , দেখেছি কি বিচিত্র তাদের প্রতিভা , কত কিসিমের বিনোদন , তথ্য , সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান , বন্ধুত্ব , নিখাদ মুগ্ধতা । উত্তরমেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত নাথিং আন্ডার দ্য সান ইজ বিয়নড আওয়ার রিচ । পৃথিবীটা যথার্থই গ্লোবাল ভিলেজ । 

সংশপ্তক: মানুষের সৃষ্টিশীলতা সৃজনশীলতার বিকাশের ক্ষেত্রে এই সোশ্যাল মিডিয়া সম্পূ্র্ণ একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। যা এক কথায় অভুতপূর্ব! আগে নির্দিষ্ট কিছু মাধ্যমের ছাড়পত্র না পেলে আপন প্রতিভা প্রকাশের কোন উপায় ছিল না বললেই চলে। কিন্তু এখন যে কেউ তার সৃষ্টিশীল সৃজনশীল শক্তিকে বিশ্বের দরবারে নিজেই হাজির করতে পারছে। এই বিষয়টি আপনি ঠিক কি ভাবে দেখছেন?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ:  দেখ , বিশ্বভারতী আপ্রুভ করলনা বলে জর্জের গান থেমে যাবার মত অনাচার আর পাপ আর দ্বিতীয়বার সংঘটিত  হবে না এই যুগে, আর কিছু বলার দরকার আছে কি ? সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এটা সত্য । সমাজগুরুদের (পড় সাহিত্যের স্বঘোষিত মোড়ল ) চোখ রাঙ্গানি ,   উপেক্ষা , উপহাস কলা দেখিয়ে যে যার প্রাণের আনন্দে সৃষ্টিতে মেতে আছেন ,  জগত পারাবারের তীরে সবার আনন্দ যজ্ঞে আমন্ত্রণ , আমার তো দিব্যি লাগে ।

সংশপ্তক: এই প্রসঙ্গেই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের বিচলিত করে। আগে প্রতিভা বিকাশের কোন না কোন একটি মাপকাঠি ছিল। কিন্তু আজকে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে যে কেউ নিজেকে কবি সাহিত্যিক সংগীতশিল্পী বলে প্রচার করতেই পারেন। এবং বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনদের প্রশংসায় এই ভাবে মধ্যমেধার বাড়বারন্ত শিল্পসংস্কৃতির পক্ষে কতটা স্বাস্থ্যপ্রদ বলে আপনার মনে হয়?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ:  আমার একান্ত ব্যক্তিগত মত এক্ষেত্রে এই যে , মধ্যমেধার লেখার জন্য মধ্যমেধার পাঠকও তো আছেন , তবে আর গোল কিসের ? সবাই কি আর্ট ফিলিম এর ছিলিম টেনে সুখ পায় ? বেদের মেয়ে জোছনা বরং তার প্রাণের কাছাকাছি । সবাই ভাগ করে খাক না শিল্প সংস্কৃতির প্রসাদ , যার যেভাবে হস্তী দর্শন হয় হোক না । একলা একলা হিংসুটের মত খাবার কি দরকার ?

সংশপ্তক: আবিশ্ব বিভিন্ন সংস্কৃতিকে পরস্পরের আরও কাছে নিয়ে আসতে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুমিকা কতটা শক্তিশালী হতে পারে?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ:  দেখ , এখন আমরা সবজান্তা হয়ে উঠছি দিনে দিনে । আবিশ্ব গ্রহণ করতে করতে দোআঁশলা একটা জীবে পরিণত হয়েছি । সক্কলের হাঁড়ির খবর সবাই জানি । যার যা পছন্দ , যার যা ভালো টপ করে আত্তীকরণ করে ফেলি । যতক্ষণ হজম হয় , সব ঠিক হ্যায় । বদহজম হলে তখনই অপসংস্কৃতির দোহাই দি । তো এই ভালো মন্দ সবই এই সোশ্যাল মিডিয়ার দয়ায় ।  আমরা কাছে আসি , গা শুঁকি , গালাগালি করি , গলাগলি করি সবই তো এদেরই কল্যাণে । ভাবো দেখি , পিদিম জ্বেলে আমার কন্যাটি দুলে দুলে হাজার মাইল দূর থেকে আসা মাস বর্ষ পেরিয়ে জলে ধোয়া রোদে পোড়া বিবর্ণ একখানি চিঠি পড়ছে তার প্রিয়জনের , এমন দৃশ্য আর স্বপ্নেও আসবে কিনা ? এখন সব টু মিনিটস নুডুলস ।  চিনা আমেরিকি সেখানে ভাই ভাই ।  

সংশপ্তক: এই যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লোকসংস্কৃতির সাথে সহজ আদান প্রদানের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রটি: সেই সম্বন্ধে আমাদের বাঙালিদের সচেতনতা কতখানি ঘটেছে বলে মনে হয় আপনার?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ:  বাঙ্গালির মত টুকলি প্রবণ জাত কমই হয় । তার একটুও অসুবিধে হয় না দুহাত বাড়িয়ে সক্কলের সব ভালোটুকু সরটুকু শুষে নিতে । তার ছুতমার্গও নেই । ফলে সে এর জামা তার জুতো ওর টুপি এসব করে করে বেশ কসমোপলিটান হয়ে উঠছে দ্রুতই । আমি মোটেই ব্যঙ্গ করে বলছি না , এটা আদতে একটা গুনই । সোশ্যাল মিডিয়া আঞ্চলিকতার সীমানা ভেঙ্গে বসুধইব কুটুম্বকাম এর ধারণাকে সার্থক করেছে । 

সংশপ্তক: সোশ্যাল মিডিয়া স্বভাবতঃই সমাজ দর্পনের ভুমিকায় একটি কার্যকরী মাধ্যম। আমাদের বাঙালি সমাজের প্রেক্ষিতে এই দর্পনের বর্তমান প্রতিচ্ছবিটি কতটা আশাব্যঞ্জক আপনার কাছে?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ: আমার অভিধানে নেগেটিভ বলে কিছু নেই । মুদ্রার দুটো পিঠের মধ্যে আলোর দিকটাই দেখি । ঠিকই বলেছ , সোশ্যাল মিডিয়া সমাজের দর্পন । আমার চারপাশে ভালো মন্দ যা কিছুই ঘটছে মুহূর্তে জেনে ফেলা , তদজনিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ , অন্যের দৃষ্টিভঙ্গী জানা , নিজের পয়েন্ট অব ভিউ জানানো , কোন একটা কজের পেছনে সমর্থন মূলক বা তার বিরুদ্ধে চটজলদি জনমত গড়ে তোলা , এক ডাকে হাজার সমমতাবলম্বী পা একসাথে মেলানোর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া একটা অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে । এখনতো সামাজিক , রাজনৈতিক , সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এই মাধ্যম । পরিবর্তনশীল ভাবধারা , তার ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটের প্রচার এটা ছাড়া ভাবাই যায় না । বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে কোন একটা ক্যাম্পেইনিংকে আরও জোরদার করা যায় খুব সহজেই । তবে আমাদেরও খুব সচেতন এবং দ্বায়িত্বশীল হতে হবে , ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষেত্রে , যেন কোন স্বৈরাচার বা কুসংস্কারকে আবেগের বশে , অন্ধভাবে সমর্থন না করে বসি বা প্রচার না করি ।

সংশপ্তক: একথা আমরা সকলেই জানি, ইংরেজী ও হিন্দীর দূর্দমনীয় প্রভাবে আমাদের দৈন্দিন জীবনচর্চায় ভাষা হিসেবে বাংলার প্রাসঙ্গিকতা দ্রুতহারে ক্রমহ্রাসমান। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার অভূত্থানে বাংলা ভাষার পুনরুজ্জীবনে কি কোন আশার আলো চোখে পড়ছে আপনার?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ:  দারুণ প্রশ্ন । এই সোশ্যাল মিডিয়ার অভূত্থানে আমরা জানতে পারলাম গোটা পৃথিবী জুড়ে কিভাবে ভাষা সৈনিকেরা ভালোবাসায় , ভালোলাগায় , আবেগে আমাদের মাতৃভাষাটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে । তাদের সাথে যোগাযোগের যে অপূর্ব এবং অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করেছে এই মাধ্যম , আমি তার জন্য আভূমি কুর্ণিশ জানাই । ভাবো তো আমাদের কত বন্ধু বিশ্বের সমস্ত প্রান্ত থেকে ব্লগ গুলোতে নিয়মিত লিখছে । তাদের বই হয়তো আমাদের নাগালের বাইরেই থাকতো যদি ই বুক না থাকতো । আমার তো একবারও মনে হয় না বাংলাভাষাকে কোণঠাসা আর করা সম্ভব ।

সংশপ্তক: আমাদের এই দ্বিখন্ডিত বাংলায় কাঁটাতারের দূরত্ব ঘুচিয়ে দুই পারের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও প্রীতির সম্পর্কের উন্মেষ ঘটিয়ে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষকে পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে আসার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে আপনার মনে হয়।

শর্মিষ্ঠা ঘোষ: দুই বাংলার আর কোন কাঁটাতার নেই সাহিত্য সংস্কৃতির ক্ষেত্রে । এই আদানপ্রদানে পাসপোর্ট ভিসা বিএসএফ বা বিডিআর নেই । বন্ধুত্ব এখন একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের ব্যাবধানে । আমরা সমৃদ্ধ হই , আমরা কাছে আসি , প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হই । আমার রুফটপ বাগানের গল্প জানে ওদেশের বন্ধু , ওদের নদী মাটির নিত্য খোঁজ এসে পৌঁছয় আমার ড্রয়িংরুমে । ওদের প্রিয়জনের সাফল্যে আমি শুভেচ্ছা জানাই , আমার বাচ্চাদের ভালোবাসা জানায় ওদেশের বন্ধুবান্ধব । কখনো মনেই হয় না কেউ কাউকে দেখিনি । কেউ কারুর বাড়ি যাবো কিনা ঠিক নেই । এভাবেই বাড়ছে আমাদের বৃত্তের পরিধি ।    

সংশপ্তক: মানুষের ইতিহাস জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে দাঙ্গা, রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে সংঘর্ষের ইতিহাস। সোশ্যাল মিডিয়ার এই উত্থান কি সেই ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে দিয়ে আবিশ্ব মানুষকে জাতি ধর্ম সম্প্রদায়ের উর্ধে উঠে একটা মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারবে বলে মনে হয় আপনার?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ:  দেখ , রাষ্ট্রনায়কেরা যেদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পরস্পরের বন্ধু হবেন , সেদিন আশা করাই যায় জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে দাঙ্গা, রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে সংঘর্ষের অনেকটাই প্রশমন সম্ভব । বন্ধু তো বন্ধুর ওপর প্রভুত্ব বিস্তারের স্বপ্ন দেখে না , বরং একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ওঠে । সোশ্যাল মিডিয়ার এই উত্থান সেই বৈরিতার ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে দিয়ে আবিশ্ব মানুষকে জাতি ধর্ম সম্প্রদায়ের উর্ধে উঠে একটা মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারবে , এমন ভাবনা তাই আর সেদিন অবান্তর মনে হবে না ।

সংশপ্তক: আমাদের সমাজ ও সভ্যতায় দৈনন্দিন জীবনের পরিসরে অন্যায় অত্যাচার, শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের হাতিয়ার হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুমিকা কতটা কার্যকরী হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ:  জনমত গড়ে তুলে , প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিতে সোশ্যাল মিডিয়াকে পজিটিভ ভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে তো সফল ভাবেই । সাম্প্রতিককালে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে , মোমেনটাম পেয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র করেই । আর সেটা যে এফেক্টিভ ভাবেই হয়েছে সেটা প্রমাণ করেছে মৌলবাদীদের হাতে একের পর এক ব্লগার হত্যা । তারা ভয় পেয়েছে বলেই কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছে এমন ভাবে । তবে আশার কথা , প্রকৃতিতে শূন্যস্থান থাকে না । আর কেউ এগিয়ে আসবে সেই ব্যাটন তুলে নিতে ।

সংশপ্তক: সংশপ্তকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এই সাক্ষাৎকার শেষ করবো একটি কথাই জানতে চেয়ে: সোশ্যাল মিডিয়ার এই হঠাৎ উত্থান আপনার ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে, তার প্রকৃতি ও বিকাশ সম্বন্ধে একটু যদি আলোকপাত করেন!

শর্মিষ্ঠা ঘোষ:  আমার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গেলে তিনটি পয়েন্টের উল্লেখ করতে হয় । এক  আমার চেনাজানার পরিধি বাড়িয়ে আমাকে নিয়ে গেছে অনেক গুণীজনের কাছাকাছি । তাদের ভালোবাসায় আপ্লুত হয়েছি । কাছ থেকে জানার সুযোগ পেয়েছি বিভিন্ন মানুষকে , তার সামাজিক অবস্থান কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি । দুই- আমার সাহিত্য জগতের সাথে বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে । পারস্পরিক মত বিনিময়ের মাধ্যমে  অপার ভালোলাগার অধিকারী হয়েছি । তৃতীয়টি  একান্ত ব্যক্তিগত । নিজের ভালোলাগা , মন্দলাগা , হতাশা , অভিমান , আনন্দ , কষ্ট সকলের সাথে ভাগ করে নিতে পেরে ভালো লাগে । একই রকম ভালো লাগা অন্যের সুখ দুঃখের পাশে থাকতে পারাতেও ।  

শর্মিষ্ঠা ঘোষ: কবি ও সাহিত্যিক। কাব্যগ্রন্থঅলীক অলীক ভালোবাসা’, স্পর্শবিন্দু’, নাকছাবির কথকতা 



Comments
0 Comments

No comments:

Blogger Widgets
Powered by Blogger.