দেখ সীমন্তিনী, খুব জ্বর এসেছে আমার!
নত করো মুখ,গভীর গালে হাত দাও,
ঠোঁট রাখো রিক্ত উত্তরীয়ে।
অশ্রুর চূর্ণ লবণও কিরকম বাদামী এখন!
প্রাচীনতর ধুলো জমে জমে।
শাখারা কি বকুল হয়েছিল!
তাই এত অভ্যর্থনা শরীরের অন্তরীণ ভাঁজে।
নীল তোয়ালে মুছে নিক তিথির যন্ত্রণা
অতিথি আরও কিছু পালাগান হোক শৈত্যের।
তারপর যাবো দৃশ্যত্তোর দৃশ্যে-
ধূলিকণা হব!
তারপর দেখো আমরা ঠিক ধূলিকণা হবো
বিরান প্রান্তরে।
ধূলার প্রিয়তায়।বড় থেকে বুড়ো হয়েছে
বুড়ো থেকে আশ্রয়।
মোমদানিতে জমছে পাপ আর ক্ষয় চিরন্তন,
মোহিত পড়ে আছে...নিরাকৃতি।স্থির।
একবার আমরাও আমাদের সন্তান হয়ে
নিজেকেই দিয়েছিলাম নিজের উত্তরাধিকার।
যদি ভালবাসা বুনে দেয় পাথরের বীজ
অনভ্যস্ত কটিতে ..যুক্ত হবে স্বমেহ প্রনয়
অন্তরালে ...
সময়! সেতো পাখি এনে পুষবে খাঁচায়,
তুমুল রমন এনে লুকাবে ডানার নীচে
দীর্ঘকায়া মৃত্যু আমার...
তুমিও শিমুল! হবে চাবুকের দাগ
অথবা
সোনালি বৈঠার গায়ে জোছনার জল।
কোথাও কোথাও জ্বলে উঠেছে ঔষধি আগুন।
দ্বৈরথ খুলে নিজেকে স্পষ্ট করছে
কোন ঈগল ...নখে তার ক্ষুধা ও ক্ষরণ।
রচনা করেছি অজস্র কারাগৃহ,
একে অন্যের গৃহের ভেতরে কেবল।
এরপর একদিন ...অনেক অনেকদিন পর
আমরা সাহারায় পরিযায়ী হলে
স্নেহ আস,মোম আসে,আসে উদ্ধত আগুনে
পুড়ে যাওয়া স্নিগ্ধতাও...খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে...
মমি আসে দীর্ঘ অতীত পাড়ি দিয়ে...
অতঃপর সবাই এবং শুধুমাত্র আমরা দুজন
কষ্টকে অর্জন করি প্রত্যেক চুম্বনের লোনা স্বাদে।
শুধুই প্রান্তর জেগে ...
সাধ্বীর হাত থেকে ধবল শাঁখা জোড়া
যেন কোন সৈনিক এসে খুলে নিয়ে গেছে...
তারপর ফেলে রেখেছে অন্তহীন ঘাসে।
তবু ...গৃহেরা পণ্ড হলে দরজা বনে যায়
সমস্ত দেয়াল।সব উন্মুখ উৎস থেকে
ছিটকে আসে আলো ...আলো আসে
অন্ত্যমিলহীন কবিতার ছদ্মবেশে।