এসেছো মহাসমারোহে
অবশেষে ঝড়ের গতিতে এসে পড়েছো,
এই অবেলায় ইচ্ছা হয় সব প্রাচীনতা নষ্ট করি -
উড়ান লেগেছে যে সব গাছের পাতায়
তারা চিনিয়েছে জানালার মার্জিন।
দ্যাখো ...
দাগ ভেঙে অঞ্জলিতে রেখেছি কবিতার উৎস মুখ,
আপ্যায়নে সমাহিত স্তব -
তোমার পায়ের কাছে বসে দেখি কি অনায়াস
হেঁটে যেতে পারো জলের উপর,
কোন প্রশ্ন করিনি ডুবে যেতে যেতে,
যেমন - সাশ্রয়ের কথা ভেবে কোনদিন বাতাসের রঙ দেখিনি,
এই অলৌকিক বেলায় যদি ছাইভস্ম হয়ে যাই,
তবে বলো -আগুন আর জল কোনটা নিয়ে তুমি মহৎ হবে।
অদলবদল
রোজই রাত থাকে, রোজই আমরা থাকিনা।
গাছের গান যখনই চিবুক ছুঁলো
শিল্পী হয়ে উঠলাম -
তুমি পদব্রজক।
এই ক্রুশবিদ্ধ শহর এসব বোঝেনা।
সমাধিপাথরে ভবঘুরে আর কুকুর ঘুমিয়ে আছে।
এমন নির্জন রোজই আসে।
এরকম অসম্ভবে - আমরা চরিত্র বদল করি -
অভিনয় খেলে বেড়ায় পর্দার দুইপাশে,
শুধু আমরাই থাকিনা।
সীমার অধিক
নিষিদ্ধ হোক মিছিলের মোমবাতি
আপাতত পাপাচারে কোন মার্জিন রেখা রাখা যাচ্ছে না!
ইউটার্ন নিয়ে সেই সব ঘটনার বিচারহীনতা
আর তো সহ্য হচ্ছেনা!
মানুষের ভিড়ে জুড়ে আছে কিছু নখের বিড়াল অবিরত,
মোমবাতি হাতে পা রেখেছে ওরা শপথের উল্টো পথে
মুখোশ খুলে আগামীতে বিষ ঢালবেই
সৌজন্যে সাপের ফনা ---
আরেকটি জীবন দহন বইবে
আর তো সহ্য হচ্ছেনা!
তবুও সহ্যগুণ আমাদের দ্বিগুণ
মুখের দুঃখ আজ আর কাল,
মিডিয়াতে প্রতিবাদ, তারপর চুপচাপ কিছুদিন পর খুশ
অনেকের কিছুটা নিশ্চয়ই করেছি, ভেবে নিচ্ছে মানুষ।
সাপে কাটা মেয়ে অন্ধকার নিয়ে কেমন যেন বাঁচে একা ---
খবর রাখি কজনে? চুপিসারে দেখি --
সন্মানের বিনিময় কোষাগারের টাকা।