নিঃসঙ্গ ঈশ্বর
জনান্তিকে ভেবেছি তোমায় , আমার নিঃসঙ্গ ঈশ্বর
অনেক জানার পর তুমি প্রায় মানুষ হয়ে উঠছিলে তখন
একটু একটু করে পাঠোদ্ধার করছিলাম তোমার খরোষ্ঠী পাণ্ডুলিপির
একটু একটু করে ঐশ্বরিক উচ্চতায় ফুটে উঠছিল মাটির ব্যঞ্জনা
একটু একটু করে আমার ঈশ্বর ভয় পেতে শুরু করলে আমায়
প্রণাম
নারে , চিনি না আমি তাকে , দেখিনি এখনও , তবে দেখব কখনও হয়তো , কারণ আমি
সুন্দরের উৎস সন্ধানে বরাবর আগ্রহী ... যে মহীরুহে এমন নাজুক অথচ অমৃত ফল
ধরে , তার জাইলেম ফ্লোয়েমএর আণুবীক্ষণিক পর্যবেক্ষণ না হোক , অন্তত তার
মোমকাণ্ডে এই নস্বরজন্মে একটিবার অন্তরঙ্গ দৃষ্টিআদর ছোঁয়াব না ,একটিবার
অবাক মুগ্ধতা লিখে আসবো না তার কালের কার্বনে , একটিবার হেডডাউন
পরিব্রাজক হবো না তার হিমালয় উচ্চতার তরাইঅঞ্চলে তাতো হয় না ... তাই
মাহেন্দ্রক্ষণে কলম শুভেচ্ছা সেই মহাঋণের বাঁধনদার কে , আজ পড়ে পাওয়া
সুযোগে এক টুকে একটি আভূমি চুমু তার প্রশস্ত কপোলে , আজ এক নজরে পড়ে
নেওয়া সেই ঠোঁট কিনারে সদাহাস্য কিছু রৈবিক স্বরলিপি ত্যাগী দর্শন দুখের
মাঝে অন্তরতরকে জয় করার স্নিগ্ধ সরগম , আজ একঝলক চান্স ই চান্স তুমুল
তুমুল উচ্চাঙ্গে সাধবার ‘ তুমি কিছু দিয়ে যাও...’ কিছু আলো কিছু অনন্ত
কিছু সৌরভ কিছু সেতুবন্ধন কিছু বিক্ষা কিছু অপার অক্লেশ সৌজন্য কিছু দিক
কিছু পার কিছু কূল কিছু ধার কিছু ঘর জলচল ছায়া ঘেঁষে হার্দিক ছলছলে ...
প্রেম মানে বিউটিস্পট
যাকে পটানোর জন্য বিনা নিষেকেই প্রথম পদ্যপ্রসব তার তখন বয়েস তেরো। আমার
তার থেকে একবছর কম । ফোটন স্পিডে তিনবছর টপকে সে প্রেম ক্রাশল্যান্ডিং
করলো নিমতলায় ... কাঁচা বাঁশে আছোলা ধোঁয়াও বেশ ভালোই দিলো
,অদুর-দৃষ্টিশক্তি আমার এমনিতেই একটু নাব্য টাইপ ,তো সেই তুরীয় আনন্দ
মনের সুখে আমায় ডুবাইল রেএএএএ আমায় ভাসাইল রেএএএএ ... কি আশ্চর্য এই
সমস্ত শোচনীয় গর্ভপাতের পরও পদ্য লেখা ছাড়ার বদলে আমি আর একটা সফট
টার্গেট আই মিন আর একটা যেনতেন প্রেম জোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম... হ্যাঁ ,
মশাই , ভুল দেখছেন না, প্রেমিক নয় ,দাঁড়ি কমা হীন প্রেমটাই মুখ্য ছিল ...
মানে ঐ আর কি , জাহাজ মাস্তুল উলুখাগ্রা ম্যাটার করে না, জলটাই যা ভেজায়
অশ্লীল, ভেজায় আর ভিজে যেতে দ্যায় উন্মুখ শিহরণ ...
তো সেই থেকে আমার কাছে প্রেম মানে দাঁড়ালো বিউটিস্পট । থাকলে ভালোলাগে ,
না থাকলে কাজল দিয়ে মাপমতো এঁকে নি পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্স এর জন্য , কখনো
ডান গালে তো কখনো বাঁ ,অন্যের চোখের আড় চাহনিতে ঈর্ষা আছে ভেবে নিজেনিজেই
পুলকিত হই । ব্যাপারটা আবার খানিকটা ব্রনের মতো , সোঁদা বাংলায় বয়সগোটা।
প্রেম মানে ঝিঞ্ছ্যাক বোঝা মাত্র যিনি হৃদয় প্রদেশে হরমোনাল
ডিসব্যাল্যান্সের কারণে উদিত হন , পুনঃপুনঃ অস্ত গ্যালেও তার উচ্ছিষ্ট
দাগ থুরি আভা রয়ে যায় ... আহারে , জীবন কুসুমকুঞ্জ মাঝে ,তখন কি বা শোভে
প্রেমের অরোরা বোরিয়ালিস ।সে মরলেও গুজগুজ ফুস্ফুস রয়ে যায় পরিচিত মহলে
।পোষ্ট মরটেমের জন্য হাতুরের ছড়াছড়ি । তো এহেন প্রেম লাগি দিল্লাগি আমার
হ্যাংলা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো বিশ্বপ্রেমের নিবিড় বন্ধনীতে , তার আর পর নেই
, নেই কোন এমন পাগলা দিবানা ...
জনান্তিকে ভেবেছি তোমায় , আমার নিঃসঙ্গ ঈশ্বর
অনেক জানার পর তুমি প্রায় মানুষ হয়ে উঠছিলে তখন
একটু একটু করে পাঠোদ্ধার করছিলাম তোমার খরোষ্ঠী পাণ্ডুলিপির
একটু একটু করে ঐশ্বরিক উচ্চতায় ফুটে উঠছিল মাটির ব্যঞ্জনা
একটু একটু করে আমার ঈশ্বর ভয় পেতে শুরু করলে আমায়
প্রণাম
নারে , চিনি না আমি তাকে , দেখিনি এখনও , তবে দেখব কখনও হয়তো , কারণ আমি
সুন্দরের উৎস সন্ধানে বরাবর আগ্রহী ... যে মহীরুহে এমন নাজুক অথচ অমৃত ফল
ধরে , তার জাইলেম ফ্লোয়েমএর আণুবীক্ষণিক পর্যবেক্ষণ না হোক , অন্তত তার
মোমকাণ্ডে এই নস্বরজন্মে একটিবার অন্তরঙ্গ দৃষ্টিআদর ছোঁয়াব না ,একটিবার
অবাক মুগ্ধতা লিখে আসবো না তার কালের কার্বনে , একটিবার হেডডাউন
পরিব্রাজক হবো না তার হিমালয় উচ্চতার তরাইঅঞ্চলে তাতো হয় না ... তাই
মাহেন্দ্রক্ষণে কলম শুভেচ্ছা সেই মহাঋণের বাঁধনদার কে , আজ পড়ে পাওয়া
সুযোগে এক টুকে একটি আভূমি চুমু তার প্রশস্ত কপোলে , আজ এক নজরে পড়ে
নেওয়া সেই ঠোঁট কিনারে সদাহাস্য কিছু রৈবিক স্বরলিপি ত্যাগী দর্শন দুখের
মাঝে অন্তরতরকে জয় করার স্নিগ্ধ সরগম , আজ একঝলক চান্স ই চান্স তুমুল
তুমুল উচ্চাঙ্গে সাধবার ‘ তুমি কিছু দিয়ে যাও...’ কিছু আলো কিছু অনন্ত
কিছু সৌরভ কিছু সেতুবন্ধন কিছু বিক্ষা কিছু অপার অক্লেশ সৌজন্য কিছু দিক
কিছু পার কিছু কূল কিছু ধার কিছু ঘর জলচল ছায়া ঘেঁষে হার্দিক ছলছলে ...
প্রেম মানে বিউটিস্পট
যাকে পটানোর জন্য বিনা নিষেকেই প্রথম পদ্যপ্রসব তার তখন বয়েস তেরো। আমার
তার থেকে একবছর কম । ফোটন স্পিডে তিনবছর টপকে সে প্রেম ক্রাশল্যান্ডিং
করলো নিমতলায় ... কাঁচা বাঁশে আছোলা ধোঁয়াও বেশ ভালোই দিলো
,অদুর-দৃষ্টিশক্তি আমার এমনিতেই একটু নাব্য টাইপ ,তো সেই তুরীয় আনন্দ
মনের সুখে আমায় ডুবাইল রেএএএএ আমায় ভাসাইল রেএএএএ ... কি আশ্চর্য এই
সমস্ত শোচনীয় গর্ভপাতের পরও পদ্য লেখা ছাড়ার বদলে আমি আর একটা সফট
টার্গেট আই মিন আর একটা যেনতেন প্রেম জোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম... হ্যাঁ ,
মশাই , ভুল দেখছেন না, প্রেমিক নয় ,দাঁড়ি কমা হীন প্রেমটাই মুখ্য ছিল ...
মানে ঐ আর কি , জাহাজ মাস্তুল উলুখাগ্রা ম্যাটার করে না, জলটাই যা ভেজায়
অশ্লীল, ভেজায় আর ভিজে যেতে দ্যায় উন্মুখ শিহরণ ...
তো সেই থেকে আমার কাছে প্রেম মানে দাঁড়ালো বিউটিস্পট । থাকলে ভালোলাগে ,
না থাকলে কাজল দিয়ে মাপমতো এঁকে নি পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্স এর জন্য , কখনো
ডান গালে তো কখনো বাঁ ,অন্যের চোখের আড় চাহনিতে ঈর্ষা আছে ভেবে নিজেনিজেই
পুলকিত হই । ব্যাপারটা আবার খানিকটা ব্রনের মতো , সোঁদা বাংলায় বয়সগোটা।
প্রেম মানে ঝিঞ্ছ্যাক বোঝা মাত্র যিনি হৃদয় প্রদেশে হরমোনাল
ডিসব্যাল্যান্সের কারণে উদিত হন , পুনঃপুনঃ অস্ত গ্যালেও তার উচ্ছিষ্ট
দাগ থুরি আভা রয়ে যায় ... আহারে , জীবন কুসুমকুঞ্জ মাঝে ,তখন কি বা শোভে
প্রেমের অরোরা বোরিয়ালিস ।সে মরলেও গুজগুজ ফুস্ফুস রয়ে যায় পরিচিত মহলে
।পোষ্ট মরটেমের জন্য হাতুরের ছড়াছড়ি । তো এহেন প্রেম লাগি দিল্লাগি আমার
হ্যাংলা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো বিশ্বপ্রেমের নিবিড় বন্ধনীতে , তার আর পর নেই
, নেই কোন এমন পাগলা দিবানা ...
[শর্মিষ্ঠা ঘোষ]