>
>>
  • SriSuvro
  • >>
  • VERA DROZDOVA
  • >>
  • TILOTTAMA BOSE
  • >>
  • THADDEUS HUTYRA
  • >>
  • SUTAPA KHATUA
  • >>
  • SUMANA BHATTACHARJEE
  • >>
  • STEPHEN STONE
  • >>
  • STACIA LYNN REYNOLDS
  • >>
  • SOUMYA SEN SARMA
  • >>
  • SIAMIR MARULAFAU
  • >>
  • SHARMILA DASGUPTA
  • >>
  • RUMA CHAKRAVARTI
  • >>
  • ROULA POLLARD
  • >>
  • RINITA MAZUMDAR
  • >>
  • RIMI PATI
  • >>
  • RANIA ANGELAKOUDI
  • >>
  • PRERNA SINGLA
  • >>
  • PHILLIP
  • >>
  • PAPIA ROY
  • >>
  • NUPUR LAHIRI
  • >>
  • NILANJANA BANERJEE
  • >>
  • NANDITA SAMANTA
  • >>
  • NANDITA BHATTACHARYA
  • >>
  • MITRA GHOSH CHATTOPADHYAY
  • >>
  • MITA CHAKRABORTI
  • >>
  • MICHAEL MILLER
  • >>
  • MASSIMILIANO RASO
  • >>
  • MARY SCULLY
  • >>
  • MARY L PALERMO
  • >>
  • MARIETA MAGLAS
  • >>
  • MANISH MITRA
  • >>
  • LaDean Birkhead
  • >>
  • KOLPITA BASU
  • >>
  • KALYAN MUKHOPADHYAY
  • >>
  • JYOTI BISWAS
  • >>
  • JULIE ANNA
  • >>
  • JAYANTHI SEN
  • >>
  • GITA ASSEFI
  • >>
  • EFTICHIA KAPARDELI
  • >>
  • DEBORAH BROOKS LANGFORD
  • >>
  • CLIFF GOGH
  • >>
  • CHRYSSA VELISSARIOU
  • >>
  • BRITTA HOFFMANN
  • >>
  • BENEDICTA RUIZ
  • >>
  • ASIM RANJAN PATI
  • >>
  • ARONI
  • >>
  • ANURADHA BHATTACHARYYA
  • >>
  • ANTORA
  • >>
  • ANNA ZAPALSKA
  • >>
  • ANINDA GHOSH
  • >>
  • ANCHITA GHATAK
  • >>
  • ANCA MIHAELA BRUMA
  • >>
  • AMRITA KANGLE
  • >>
  • ADRIJ
  • >>
  • SUBHODEV DAS
  • >>
  • MARY SCULLY
  • >>
  • LIPIKA DEY
  • >>
  • CHRYSSA VELISSARIOU
  • ফুল্লরা নাগ

    SongSoptok | 11/10/2014 |





    অনেকদিন জ্বালাইনি তোমাদের... কারণ অবশ্য একটাই... লিখবার মত জুতসই কোন বিষয়ই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সত্যি, হটাত যেন বিষয়ের আকাল দেখা দিয়েছিল... লিখব লিখব করছিলাম... কিন্তু, ওই যে বললাম, কি নিয়ে লিখব তাই ঠিক করে উঠতে পারছিলাম না... তাই লেখাও হয়ে উঠছিল না। অবশ্য, এখনো যে পেয়েছি, তা নয়। তাও ভাবছি কীবোর্ডে  আঙ্গুল চালাতে থাকি, যদি কিছু মাথায় এসে যায়ে...  অবশ্য আমার জীবনটা এতই অদ্ভুত অভিজ্ঞতায় পূর্ণ যে বিষয়ের অভাব অন্তত আমার হওয়ার কথা নয়; একটু পিছন ফিরে দেখলেই হল... গাদাগাদা বিষয়বস্তু উঠে আসার কথা... উঠে আসছেও... কিন্তু মুশকিল হল যে স্মৃতির মণিকোঠাখানি নেহাতি অগোছালো হয়ে পড়ে আছে...  হীরে আর কাঁচ সব মেশামিশি... সবই জ্বলজ্বল করছে... হীরে ভেবে হাতে নিচ্ছি... কিন্তু হাতে নিয়ে দেখছি সেটা নিতান্তই সস্তা কাঁচ... বেলজিয়ামের তৈরিও নয়... ফেলে দিতে হচ্ছে...

    তাই আজ ঠিক করেছি, বিষয়ের খোঁজে আর দৌড়ব না, কিন্তু লিখিটা কি? স্কুল জীবন নিয়ে? না, সে নেহাতি সাদামাটা... লিখবার যা ছিল তা তলিখেই ফেলছি... সেই দ্বাদশ অধ্যায়ের ছেলেবেলার গল্পে... তারপরের চার পাঁচ বছর নিয়ে বলবার বিশেষ কিছু নেই একেবারে কি কিছু নেই? বেড়ে ওঠার বয়স... যাকে বলে adolescence… তাই পিছন ফিরে তাকাই... হ্যাঁ, কিছু তআছেই... তবে সেটা কাঁচ না হীরা, তা বুঝতে পারছি না আচ্ছা, বুঝে আর কাজ নেই... লিখে চলি... বিচার করবে পাঠকই।

    ওই সময়টা থাকতাম মুদিয়ালিতে... মোহিনী ম্যানসন নামে একটা বাড়ীতে, পুরনো স্টাইলে তৈরি এই বাড়ীটার চেহারায় বেশ একটা আভিজাত্য ছিল লোহার বড় গেট দিয়ে ঢুকলে প্রথমেই দেখা যেত বড় একটা শান বাঁধানো লন... তাতে সিমেন্টের তৈরি বেঞ্চি, বেশ আরাম    করে বসার মত... আর ছিল গাছপালা, সেই গাছে টুনটুনি, বেনেবউদের আনাগোনা... সব মিলিয়ে বেশ মনোরম পরিবেশ...লনের তিন দিক ঘিরে আবাসিকদের থাকার ব্যবস্থা...উপরে উঠে যাবার জন্য চওড়া চওড়া লাল সিঁড়ি, সব সময় ঝকঝক করত... কিন্তু সে সিঁড়ি সবার জন্য নয়... তাই দিয়ে খালি বাবু-বিবিরা ওঠানামা করতেন...  পেছনে পরিচারক বা সুইপারদের ব্যবহারের উপযুক্ত লোহার গোল প্যাঁচানো সিঁড়ি... তাদের থাকবার ব্যবস্থাও ছাদে... কাজের শেষে তারা তাদের নির্দিষ্ট এলাকায় ফিরে যেত। হ্যাঁ, যেত... কারণ কলকাতার অনেক পুরনো বাড়ির মত, এ বাড়িটিও আর নেই...শীগগিরই সেখানে হয় বৈচিত্র্যহীন বহুতল কোন বাড়ি বা শপিং মল আত্মপ্রকাশ করবে আজকালকার দিনে কোন মূর্খ আর এতটা জমি বেকার ফেলে রাখে?

    এই বাড়িটি অবশ্য ছিল থাপার কম্পানীর... তাদের অফিসারদের থাকবার জন্য তৈরি... বেশির ভাগ বাসিন্দাই পাঞ্জাবী... অন্তত প্রথমে তাই ছিল...কিন্তু হল কি... ত্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় বোমার ভয় অনেক পাঞ্জাবী অফিসারই কাজ ছেড়ে কলকাতা ছেড়ে পালিয়ে গেল...এত বড় বাড়ী খালিই পরে রইল... কোম্পানি প্রমাদ গুনল...আমেরিকান সৈন্যদের তখন থাকার জায়গা নেই... সরকার যদি টের পায় তাহলে ত এক্ষণই বাড়ী দখল করে নেবে...বাড়ীটাকে বাঁচাতে তারা তখন বাইরের লোককে ভারা দেওয়া শুরু করল... সেটা ১৯৪২ শালের কথা... আমরাও তখনই ঢুকে পড়েছিলাম... প্রথমে কত ভাড়া ছিল জানি না... কিন্তু পরে সেটা বেড়ে হয়েছিল ১০০ টাকা ৩৬ পয়সা... চারটে বড় ঘর, তিনটে বড় বাথরুম, একটা বিশাল বারান্দা আর বিশাল এক রান্নাঘরের জন্য...

    বাড়িটায় মন্দ কাটেনি আমাদের দিনগুলি... এক বয়সি অনেক ছেলেমেয়েই ছিলাম... সবাই মিলে বেশ হুল্লর করেই দিন কাটিয়েছি... ততদিনে বেশ বড়ও হয়েগেছি... কাজেই স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াবার অনুমতিও মিলেছে... নিজামের রোল কি তখনই খেতে শিখেছি? নাকি কলেজে উঠে? এই সময়ই প্রথম ফ্লুরিজের কেক খেলাম... মা নিউ মার্কেট থেকে দাড়িওয়ালা বুড়ো সান্টা নিয়ে এলেন আর ফ্লুরিজ থেকে কেক আর চকলেট... আহা! নাট চকোলেটের সেই স্বর্গীয় স্বাদ আজও মুখে লেগে আছে...

    এই সময়ই আস্তে আস্তে আধুনিকতার সঙ্গে পরিচয় হতে শুরু করল... সসেজ, স্যালামি... টিনের প্যাক করা বীনস্, সারডিন মাছ... আর কত কিছু...পার্ক স্ট্রীটের রেস্তুরান্তগুলোর সঙ্গেও পরিচয় হতে শুরু করল...ম্যাগস তএকটা পছন্দসই জায়গা ছিলই... তাছাড়াও ছিল ট্রিঙ্কাস, পিপিং, স্কাইরুম, কওয়ালিতি, ব্লু ফক্স...ত্রিঙ্কাসে খেতে গেলাম... দেখলাম এক মহিলা কেমন গান করছেন জিংগল বেল জিঙ্গল বেল... পরনে ছোট নীল শর্ট আর সাদা টপ... আরেক মহিলা নাচলেনও... নাচতে নাচতে আবার বহিরাবাসটা খুলে ছুড়ে ফেলে দিলেন... জানলাম এটা ক্যাবারের ছোট সংস্করণ... চোখ খুলতে লাগলো... জীবন চিনতে শুরু করলাম... সেই ওই ছোট বয়সেই। ক্লিফ রিচারদ আর এল্ভিস প্রেস্লীর সঙ্গে তগানের মারফত আগেই আলাপ হয়ে গিয়েছিল... এই সময় পর্দার  মারফত চাক্ষুষ আলাপ হল... সাহেবপাড়ার সিনেমাহলগুলোতে তখন মর্নিং শো চালু ছিল... সেখানে দেখেছি Summer Holiday আর Fun In Acapulco-র মত সিনেমা...স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দেখেছি Far From The Maddening Crowd, Gone With the Winds আর কত কি!বদাদা দেখিয়েছিল Ten Commandments, Ben Hur, Dr. Zhivago, Bridge On The River Quay, Yesterday Today and Tomorrow… আরও কত কি...বাংলা সিনেমাও যে দেখতাম না তাই নয়... অহ! মেয়েদের মধ্যে কেউ ছিল উত্তম কুমারের ফ্যান আবার কেউ সৌমিত্রর... কি উন্মাদনা... আমি যে কেন সৌমিত্রর দলে ছিলাম জানি না... তবে রোগা ছিপছিপে চেহারাটা বেশ ভাল লাগত...আর শমিত ভঞ্জ... নতুন পাতা সিনেমাটা দেখে কোন মেয়ে যে একটু আধটু হলেও তার প্রেমে পরেনি সেটা বলা মুশকিল... যাক সে কথা... এই বুড়ো বয়সে না বলাই ভাল... বালিকা বধু... না বাবা আর নয়... কেঁচো খুরতে গিয়ে শেষে সাপ বেড়িয়ে পড়বে।

    এই সময়-ই আলাপ হয়েছিল আফ্রিকার ছেলে  লুকের সঙ্গে... প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়তে এসেছিল সেই সুদুর Rhodesia থেকে ... আজ যাকে তোমরা জিম্বাওয়ে বল... সেখান থেকে... দাদার সঙ্গে কোথায় যেন আলাপ, দাদা ধরে নিয়ে এল বাড়ীতে... ওই প্রথম সামনাসামনি কোন কৃষ্ণকায় মানুষের সঙ্গে মুলাকাত... আগে তাদের দেখেছি সিনেমার পর্দায়... টারজানের কোন ছবিতে... হাটারি কিম্বা বর্ন ফ্রীতে...

    জন্তু জানোয়ারের সিনেমা দেখতে আমি বরাবরি খুব ভালবাসি... আমার মানসে এদের প্রভাব কিন্তু অনস্বীকার্য... কিন্তু সেটা  পরের পর্বে... কেমন? এবার তনিউ মার্কেটের কথাও বলা হল না..ওই যে বলেছিলাম, আগের অধ্যায়ে, জন্তু জানোয়ারের সিনেমা দেখতে আমি বরাবরি খুব ভালবাসতাম... পশুপাখিদের সঙ্গে আমার চিরকালই সখ্য...ছোটবেলায় যখন জলপাইগুড়িতে থাকতাম তখন ভাব হয়েছিল একটা বাচ্চা শিম্প্যাঞ্জীর সঙ্গে। অবশ্য, সেটা ঠিক শিম্প্যাঞ্জী ছিল কিনা জানিনা... মিশকালো বাঁদর আর কি হতে পারে? সাইজে ছোট, আমি তাই বাচ্চা শিম্প্যাঞ্জী বলেই ধরে নিচ্ছি..আমাদের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের একটা চা-বাগান ছিল... তাদের পোষ্য ছিল সেটি...আমারা সেখানে কদাচিৎ-ই যেতাম... কিন্তু গিয়ে পৌঁছলেই সে খাঁচার ভেতরে লম্ফঝম্ফ শুরু করত... আর ছাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাফ মেরে আমার কোলে উঠে পরত... আর আমিও তাকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম... সেই ভ্রমণে সে হত আমার সব সময়ের সঙ্গী।

    অবশ্য তার মানে এই মনে কর না যে আমি খুব সাহসী ছিলাম... অদম্য পশুপ্রীতি ছিল বই কি... কিন্তু যা ছিল, সে আমার মনে মনেই...হাটারী সিনেমা দেখে মনে শখ জেগেছিল ঠিক তাদের মত আফ্রিকার কোন প্রত্যন্ত কোণে গিয়ে ডেরা বাঁধার... কিন্তু সে নেহাতই শখ... তার বেশি কিছু নয়... Born Free ও সমান ভাবে আমাকে উদ্ভূত করেছিল... কিন্তু সেই অবধিই। সত্যি সত্যি যদি অমন জায়গায়ে গিয়ে পড়তাম আর এলিজার মতন একটা প্রাপ্ত বয়স্কা সিংহি আমার বিছানায় এসে গুটিসুটি ঢুকে পড়ত, তাহলে কি করতাম জানি না।

    অবশ্য, বলতে পার এরকম চিন্তন উঠতি বয়সের ধর্ম... আজকাল যেমন কেউ শারুখ খান বা আমীর খানের কোন চরিত্রের প্রেমে পড়ে যায় আর মনে মনে তার মত হতে চায়... এ সেরকমই আর কি... আমাদের সময়ও অনেক নামী দামী নায়ক নায়িকা ছিলেন; তাদের অভিনীত চরিত্রগুলোও যে নেহাত সাদামাটা ছিল তাও নয়... কিন্তু Hatari, Born Free, Sound of Music-এর Maria আর Far From The Madding Crowd-এর Bathsheba ছাড়া কেউই বড় একটা মনে দাগ ফেলতে পেড়েছিল বলে তমনে পড়ে না। অবশ্য আমি আজ হলপ করে বলতে পারি... ছবিগুলির দৃশ্যাবলীই এর জন্য দায়ী... ইশ! এমন জায়গায় যদি থাকতে পারতাম... এই রকম জীবম যদি আমার হত!

    অবশ্য, কলকাতার জীবন যে খুব একটা খারাপ কিছু ছিল, তা নয়... ওই এক পরীক্ষার সময়টুকু ছাড়া... সত্যি বলছি, তখনকার দিনে প্রতি ক্লাসে অল্প সংখ্যক ছাত্রছাত্রী থাকত আর শিক্ষকশিক্ষিকারা পড়াতেন মনপ্রান ঢেলে... তাই শুধু নয়... রোজ লাইন ধরে পড়া নেওয়াও ছিল... আর ছিল ক্লাস ওয়ার্ক আর হোম ওয়ার্কের ঢল... সেগুলো আবার নিয়মিত চেকও হত... তাই বোধহয় আমি পাশটাশ করেছি... আজকালকার জামানা হলে ডাহা ফেল ছাড়া আর কোন গতি ছিলনা। এই দেখ! আমার শিক্ষক বন্ধুরা যেন আবার কিছু মনে না করে বসে... এটা ত সত্যি কথা, লাইন ধরে পড়া নেওয়ার পাট ত আজকাল উঠেই গেছে... যারা পড়া তৈরি করে যায় আর হাত তোলে, পড়া তাদেরই তোমরা ধরো... যারা পড়ে না, তাদের আর কে ঘাঁটাচ্ছে? পরীক্ষার সময় শূন্য দিলেই হল... হ্যাঁ, দোষটা পুরো তোমাদেরও দেওয়া যাচ্ছেনা... ক্লাস প্রতি ছাত্রসংখ্যা যা আর যা বড় সিলেবাস, এর আর বেশি কি করবে? তবে পড়াটা যদি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ধর, তাহলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অন্তত রোজগার পড়া তৈরি করবার ইচ্ছাটা জাগ্রত হবে।      

    যাক সে কথা... আমার কথাই আমি বলি...আমার একটা মাত্রই গুণ ছিল... ওই যে বলেছি ক্লাসে অল্প সংখ্যক ছাত্রী আর শিক্ষিকারা পড়াতেন মনপ্রান ঢেলে... আমি মন দিয়ে সেই পড়া শুনতাম... তাতেই কেল্লা যা ফতে করার তা করেছি... হ্যাঁ, বাড়িতে সময় মত পড়তে বসতে হয়েছে...  কিন্তু পড়তে বসলেই পড়তে হবে এমন দিব্বি তকেউ আমায় কোনদিন দেয়নি। বইএর ফাঁকে লুকিয়ে কমিক্স পড়া ত ছিলই... Jane Austen-এর Pride And Prejudice কতবার যে পরেছি তার ইয়ত্তা নেই... বেশ ভাল লাগত Lizzy আর Darcyর প্রেম কাহিনীটি... কেমিস্ট্রির ফর্মুলা মুখস্ত করার চেয়ে অনেক গুণ ভাল... তবে হ্যাঁ, লিখিত যে কাজ গুলি দিত স্কুল থেকে... সেইগুলি ফটাফট করে ফেলতাম... নম্বর বেশি পেতাম না ঠিকই, তবে নালিশ করার পথও রাখতাম না।

    আমাদের সময় মাধ্যমিকের কোন ব্যাপার ছিল না... সোজাসুজি উচ্চ মাধ্যমিক... এগারো ক্লাসের পরে... ১০+২ ফর্মুলা অনেক পরে এসেছে... তখম আট ক্লাস অবধি সব সাবজেক্ট পড়তে হত... ক্লাস নাইন থেকে পথ ভাগ হয়ে যেত... science, humanities আর ছিল home scienceআমি science নিয়েছিলাম... বিজ্ঞান প্রীতি থেকে নয়... স্রেফ যাতে সংস্কৃত নিতে না হয় সেই জন্য... তখন যারা humanities নিত, তাদের সবাইকে সংস্কৃত পরতে হত... বাপ রে! নর নরৌ নরাঃ ... তার পর বেঞ্চীর উপর দাড়া আর কি?

    কিন্তু বিধাতার এমন পরিহাস... আজ আমার মনে হচ্ছে, কি ভুলটাই না সেদিন করেছিলাম... সংস্কৃতটা জানলে আজ অন্তত শ্লোকগুলো ঠিক মত পড়তে পারতাম। হ্যাঁ শ্লোক পাঠ যে করি না, তা নয়... কিন্তু ভুল উচ্চারণ, ভুল ছন্দ শ্লোক পাঠের সব আনন্দটুকুই যেন কেড়ে নিতে চায়। পাঠ করি... কিন্তু সে আনন্দটা ত পাই না। বরং সবাইকে যখন নির্ভুল পাঠ করতে শুনি তখন যেন ভেতরটা কেমন একটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে। মন কে বলি যেমন কর্ম তেমনি ফল।    

    তবে একটা ব্যাপারে কিন্তু আমার কোন দোষ নেই... আমাদের স্কুলে গানের পরীক্ষা হত... পঞ্ছাশ নম্বরের... আমি বরাবর তাতে দশ পেয়েছি... বোধহয় গানের কথাগুলো কোন লাইন বাদ না দিয়ে বেশ ভাল মুখস্থ বলতে পারতাম বলে... কিম্বা হয় তএর কম দিতে গানের শিক্ষিকার লজ্জা করত... তা আমি কি করব? আমার গলায় না আছে সুর... না আহে কোন তাল জ্ঞান... যা নেই তা আর আমি আনব কোথা থেকে? আজও এই একটা বড় দুঃখ... গুনগুন করে নিজের মনে গান গাইবার মতও সুর ভগবান আমাকে দেন নি... কেন যে তাঁর এই খেয়ালিপনা? কাউকে দিয়েহেন যেন ঢেলে... আর আমার মত অভাগাদের বেলায় যত কঞ্জুসী... ভীষণ রাগ লাগে। কিন্তু কি আর করব বল?

    না, আজ আর না... আজকের মত এখানেই শেশ করি। পরে কোন আরেক সময় বাকি গল্প হবে। কেমন? 

    [পরবর্তী সংখ্যায়]




    Comments
    0 Comments

    No comments:

    Blogger Widgets
    Powered by Blogger.