বিস্ফোরণ (অনু গল্প)
********************
হঠাৎ ই পরমাণু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঘরটা। জামাইবাবুর একটা ফোন। তাতেই যেন সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেলো। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে টি ভি র সুইচ টা জ্বালল অর্ক। খবরের হেডলাইন গুলো ভীষণ রকম ঝাপসা লাগছে -- এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লিগামী বিমান রানওয়ে ছেড়ে ওড়ার পর ই আগুন লেগে ধ্বংস।
দু' ঘন্টা আগের টুকরো টুকরো দৃশ্য গুলো ভেসে উঠলো ... বাবা - মা কে প্রণাম করে বাড়ির চৌকাঠ পেরোলো এই বাড়ির বড় ছেলে। দিল্লিতে নতুন চাকরী দাদার। অর্কর এক্সাম চলছে তাই সিঅফ করতে যায়নি। ৮ টা বেজে ৫০ মিনিটের ফ্লাইট আর ঐ বিমানেই দাদা। স্তম্বিত ফিরলো মায়ের কান্নায় । বাবা কখন অজান্তে সোফার ওপর বসে শূন্য দৃষ্টিতে টিভির দিকে তাকিয়ে আছেন খেয়াল ই করেনি অর্ক । ঘরের এক কোণে সিংহাসনে বসানো গোপালের দিকে তাকিয়ে মা আছাড় কাছাড় করছেন -- এ তুমি কি করলে গোপাল ? বেরোনোর আগে তোমার পায়ের ফুল আমি খোকার মাথায় ছুঁয়ে দিয়েছিলাম ।
মোবাইল টা অনেকক্ষণ ধরে বাজছিল। ধরার ইচ্ছে একদম ই নেই। অনিচ্ছা স্বত্তেও ধরলো অর্ক। অপর প্রান্ত থেকে অচেনা কন্ঠস্বর ভেসে এলো -- আমার ট্যাক্সি তে একজন হ্যান্ড ব্যাগ ফেলে গেছেন । কিছু টাকাপয়সা , একটা মোবাইল আর দিল্লিগামী ফ্লাইটের একটা টিকিট পেয়েছি । ওই মোবাইলে এ আসা লাস্ট কল টা দেখে এই নম্বরে ডায়াল করলাম । উত্তেজনায় অর্কর ঠোঁট দুটো কাঁপছে । উপুড় হয়ে শুয়ে শুয়ে মার কান্নায় গোপালের মাটির গাল টা ভিজে গেছে কি ?
....................................... সমাপ্ত
********************
হঠাৎ ই পরমাণু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঘরটা। জামাইবাবুর একটা ফোন। তাতেই যেন সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেলো। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে টি ভি র সুইচ টা জ্বালল অর্ক। খবরের হেডলাইন গুলো ভীষণ রকম ঝাপসা লাগছে -- এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লিগামী বিমান রানওয়ে ছেড়ে ওড়ার পর ই আগুন লেগে ধ্বংস।
দু' ঘন্টা আগের টুকরো টুকরো দৃশ্য গুলো ভেসে উঠলো ... বাবা - মা কে প্রণাম করে বাড়ির চৌকাঠ পেরোলো এই বাড়ির বড় ছেলে। দিল্লিতে নতুন চাকরী দাদার। অর্কর এক্সাম চলছে তাই সিঅফ করতে যায়নি। ৮ টা বেজে ৫০ মিনিটের ফ্লাইট আর ঐ বিমানেই দাদা। স্তম্বিত ফিরলো মায়ের কান্নায় । বাবা কখন অজান্তে সোফার ওপর বসে শূন্য দৃষ্টিতে টিভির দিকে তাকিয়ে আছেন খেয়াল ই করেনি অর্ক । ঘরের এক কোণে সিংহাসনে বসানো গোপালের দিকে তাকিয়ে মা আছাড় কাছাড় করছেন -- এ তুমি কি করলে গোপাল ? বেরোনোর আগে তোমার পায়ের ফুল আমি খোকার মাথায় ছুঁয়ে দিয়েছিলাম ।
মোবাইল টা অনেকক্ষণ ধরে বাজছিল। ধরার ইচ্ছে একদম ই নেই। অনিচ্ছা স্বত্তেও ধরলো অর্ক। অপর প্রান্ত থেকে অচেনা কন্ঠস্বর ভেসে এলো -- আমার ট্যাক্সি তে একজন হ্যান্ড ব্যাগ ফেলে গেছেন । কিছু টাকাপয়সা , একটা মোবাইল আর দিল্লিগামী ফ্লাইটের একটা টিকিট পেয়েছি । ওই মোবাইলে এ আসা লাস্ট কল টা দেখে এই নম্বরে ডায়াল করলাম । উত্তেজনায় অর্কর ঠোঁট দুটো কাঁপছে । উপুড় হয়ে শুয়ে শুয়ে মার কান্নায় গোপালের মাটির গাল টা ভিজে গেছে কি ?
....................................... সমাপ্ত
[নির্মাল্য বিশ্বাস]