কেমন আছ বাবা
বাবার কাছে বড্ড মন কেমন গন্ধ
পুরুষালী কবজি আর পিঁপড়ে আর চিনির দানার আবদার।
বাবার দূরে কেমন একলা ফোঁপানো ফোন।
কদবেল আর তেলকই-এর ঝোলায়
ফুরিয়ে ফেলা ব্যাট প্যাড আর উইকেটকিপিং
মেরুন হলুদ গাঁদা ঝুরঝুরিয়ে খসে পড়ে গেলে,
এক এক করে গাঁথি আহ্লাদে ঝগড়ার
এক আধটা মেয়ে কৈশোর কাল
বাবার কাছে জবাকুসুমসঙ্কাশং চন্নামৃত ঠেকিয়ে
হাতড়ে উঠি বক্সার খাড়াই পথ
বাবার সিরিঞ্জ চেস্ট ফ্লুইডের ভারী
চোখ ছলছল ময়দানের ম্যাচের শেষ ওভার
কালাকালের বায়স সেবন হলে মার্কারি
আর ভেনাস মধ্য জুড়ে তখন বাবার শীতল ছায়া।
উদার
আরে ধুর-
এইসব আলোক প্রাপ্তা গুলোকে না
ধরে ধরে নির্ভয়া বানিয়ে দিলে মন্দ হয় না।
এদের যতই করো না কেন
ব্যক্তিস্বাধীনতার ঘ্যানঘ্যানানি এদের অসুখ
ওসব এদের মাতৃ ধারায় আছে।
রাজদ্বারে শ্মশানে চ যঃ তিষ্ঠতি স বান্ধবঃ
আরে বাবা শাস্ত্রবাক্য কি মিথ্যে হতে পারে?
কালভেদে প্রকাশ হয় আলাদা টাইপের
তাই আমি ওর সঙ্গে
রাজদ্বার থেকে কলঘর
বেতার থেকে সেতার
রাজপথ থেকে অনলাইন
রাবড়ি থেকে ফুলকপির চপ
সবটা জুড়ে তিষ্ঠোতে থাকি
ওর প্রতি আমার যত্ন নেওয়া দেখে
সবাই যখন বলে আমার মত সঙ্গী অনেক তপস্যায় মেলে
খুশী হয়ে ভাবি আমার ঋণ ও কখনোই শুধতে পারবে না
তুমি অধম বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?
[জয়া চৌধুরী]