শুভ ভালবাসা দিবস
স্বপ্নের জগতে ভারী সুখের উত্তাপ
কি ত্বরিত,
অপরূপ ঘটনা বিন্যাস
বালিশের নিচে টুং টাং
অবাঞ্ছিত এই শীতের
সকালে!
অনিচ্ছুক -
তবু
শয্যা ছেড়ে উঠি
সেলের ছোট পর্দা বাংময়,
সংক্ষিপ্ত ঘুণ ধরা
অক্ষরমালা
“শুভ ভালবাসা দিবস”।
চায়ের কাপ হাতে, ঘুরে
ঘুরে দেখি
প্রাতরাশের ছোট টেবিলে
সেই অনিবার্য
মধ্যম মানের গোলাপ।
বুকজোড়া ওই মন খারাপের পাখি
উড়িয়ে দিয়ে একটু বাজার
হাট--
ভিক্টোরিয়ার আশ্বাসময়
অন্তর্বাস
হৃদয় ছাঁচের চকোলেট,
প্রেমের বাজার মাত।
মোম আলোয় চির পরিচিত
সঙ্গী
রোমাঞ্চকর দুর্দান্ত
প্রেমিক।
ভালবাসা দিবস, চোদ্দই
ফেব্রুয়ারী
মুখবইতে সফল ছবি আঁকি।
আত্মজ
মাছভাতে, রুপকথার সোনালি মোড়কে
কাকে বাঁধবো আমি?
আমার আত্মজের শরীরে কি যেন নূতন পাতার সবুজ
ওর মনের আয়নাতে আমার দিনগত পাপক্ষয়
প্রতিবিম্ব ফেলে না।
কোনও এক অলীক বন গন্ধে মাতাল হয়ে
চলে যেতে চাওয়ার আকুতি তার সর্ব শরীরে
ওর পদক্ষেপ সাবলীল, স্বছন্দ,
পৌরুষময়।
আমি গ্লানিময় প্রাত্যহিকতা নিয়ে কুণ্ঠিত থাকি
নিশির ডাকের মতো নামহীন আশঙ্কা
আমাকে পিছু ডাকে অবিরাম,
তবু গলায় জোর এনে বলি,
“ সোনামণি
এই বদ্ধকূপে ফিরে এসো না তুমি”।
জানি সে যাবেই সীমানা পেরিয়ে,
তবু অপেক্ষায় প্রহর গুনি
যদি ফিরে এসে কড়া নাড়ে আমার
নিদ্রাবিহীন রাতে।
ঘুমপাড়ানী মেয়ে
চুপি চুপি জাগিয়ে দেয় ভোরের বিনয়ী রোদ্দুর
শিথিল শরীরে আড়মোড়া ভাঙ্গে
বিস্রস্ত বেশে,
এলোমেলো কেশে
অনেক বসন্ত পার করা এক মেয়ে।
জানালায় একটি সুতীব্র,
তিনটি মৃদু
দুষ্টু ঘুঘুর ডাক?
রাত্রির আবছা অপরাধ,
কুণ্ডলী পাকিয়ে ওঠে
তালদীঘির জলে ধুয়ে যায় সব দ্বিধাবোধ
আজ ও তো মনে আছে সব কিছু ছলাকলা
চোখের তলায় হলই বা কালিময় রঙ।
জলপদ্ম ঠেলে এক এক পা করে গহিনে নামে
অনেক বসন্ত পার করা ঘুমপাড়ানি সেই মেয়ে।
[রিমি
পতি]