চলমান
বাধ্য বাধ্য খেলা শেষে
দূরে চলে যায়,
বুকের ভেতর বুকে
ব্যথা দিল সায়।
কার দিকে দায়
ছেড়ে
বেদনার্ত মন,
দুই হাত জড়ো
করে
মাপে দিন ক্ষণ ।
দেখ দেখ ওরা কারা
হাততালি পেয়ে,
কালো টাকা গিলে হাসে
সংসদ এ গিয়ে !
রাত হলে পথে পথে
ঘুম চলে বৈধ,
আইনের ফাঁক
দেখে
কাঁদে
স্মৃতিসৌধ ।
ক্ষুধা নিয়ে পেট হলো
মেদহীন ভালো,
তা দেখে খাদ্যমন্ত্রীর
ঘরে জ্বলে আলো !
বর্ষা এলো বর্ষা এলো
মন আনচান,
চুপিসারে গণতন্ত্র
করে নাও স্নান ।
চাপাঠোঁট খোলা রেখে
যখন যা পাও,
শুদ্ধ প্রেমে ফিরে গিয়ে
কাছে টেনে নাও
।
ভোর-দোরে ঐ যে যারা
হাসছে মাটিতে,
দেশপ্রেমে দুঃখ ভুলে
সুখের নদীতে।
এক যুবতী
আঁখঝাড় হয়ে কাশবন
হাওয়ার দোলায়
চুল উড়িয়ে এক যুবতী
আলোয় হেঁটে যায় ।
তাকে কখনও দেখেনি কেউ
গাছের ছায়ার পাশে
খড়ের আঁটি বুকে জড়িয়ে
মেঘের আকাশে হাসে।
ভরদুপুরে মাটি গুমড়ে
মন খারাপের দিন
ঘোর কাটানো বিকেল বেলা
খেলায় খেলায় ঋণ ।
সন্ধ্যা হলেই তুলসিতলায়
আলোর ঝলক দেখে
ধানের গন্ধে ধূপের ধোঁয়ায়
ঘুমের নাচন শেখে।
চোখ ছলছল হাত থরথর
স্বপ্নে দেখে ভয়
অন্ধকারের কানের কাছে
মা বাবার কথা কয়।
শৈশব
বিল জুড়ে হইচই
শিং মাগুর শোল কই
হাঁটুজলে মন বায়
পলো ছেড়ে গান গায় ।
মেঘ এলো মেঘ এলো
খালুই নিয়ে ছুটছে
রায় বাড়ি মাছ গেল
পাড়ার লোকে কুটছে ।
চালের ডোলে ভরা
খৈ
আম পেড়ে রাখে মই
শসা গাছের
জাংলায়
সাপ নাকি
কামড়ায় !
খেলা চলে খেলা চলে
কলমি লতায় রৈ রৈ
খোকা খুকু জেগে গেলে
ভোরের বুকে আলো ঐ ।
[ঐশী
দত্ত]