সেই ছবি আমার মেয়ের
ভারতবর্ষ
আমার মেয়ে
এসে দাঁড়ালো উঠোনে
এয়োতি নারী
তাঁর অন্ন জল মাপা আছে এখানে
তাকে ব্রতকথা দাও , দাও
লক্ষ্মীপুজোর পতাকা
সিঁদুরকৌটো দিও মনে করে আর নারিকেলফুলের
সিঁথি
মকরমুখো নদীটি বেঁধে দিও তাঁর আঁচলে
রোহিণী সে কোজাগরী পালিকা
চতুর্দশপদি বেশবাস তাঁর
অষ্টাদশী শাঁখ চিনহ
মা বলে ডাকো
অথবা দিশা
লাবণ্যের আলো শোনাও
সবুজ ডাবে বরণ করো সেই চিরযৌবনা
সে অচেনা নয় ,
সে চেনাময়
তুমি তাকে গতজন্ম থেকে চেনো
কিশোরী লাজুক
চৌকাঠে দুরুদুরু বুক
নক্ষত্রের রুমালে মুছিয়ে দাও ঘাম
মোছাও , স্নেহের শিশির দাও
ধন্যধান আর নদীর সাম্পান
তাঁর কিছু গান আঁকো
আঁকো তাঁর কণ্ঠকথা
সুতীব্র আবৃত্তি দিও তাকে
আর একশ আট কিশোর পদ্ম
জলশয়ের গল্প লেখা
ভারতবর্ষ একটি মেয়ে
ভারতবর্ষ আমারি মেয়ে
চুপচাপ চরাচরের আকাশ
ভারতবর্ষ রোগা চেহারার জননী তোমার
এলো চুল , এসে দাঁড়িয়েছে উঠোনে
খুলে দাও তাকে ভোরের কুটীর
দীর্ঘদেহী দূর্বাঘাস
খুলে দাও বৃদ্ধা হৃষীকেশ
বৃদ্ধ রঙের পনের অগাস্ট
[রত্নদীপা দে ঘোষ]