সংশপ্তক: মানুষের সমাজ ও সভ্যতায় ট্রেন ও বিদ্যুৎ শক্তির আবিষ্কারের মতোই এক
যুগান্তকারী ঘটনা ইন্টারনেট প্রযুক্তির বিকাশ। যার হাত ধরে উত্থান সোশ্যাল
মিডিয়ার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই নবতম উপহারের সাথে আপনার পরিচয়ের সূত্রপাত
সম্বন্ধে যদি একটু আলোকপাত করেন!
রবি বর্মন: সময়, স্রোত যেমন থেমে থাকে না ঠিক তেমনেই আবিস্কারের নেশাও মানুষর মাঝে
চলমান। মনে করুন একটি বৃক্ষ ডালাপালা ছড়িয়ে বড় হতে লাগলো স্বাভাবিক ভাবেই বৃক্ষ যত
বড় হবে ছায়াও তত বড় হতে থাকবে আর সেই ছায়াবৃত্তে ছায়া পিপাসুর সমগম তো থাকবেই। আর
আমিও সেই দলের। এবং ক্ষয়ে যাওয়া আয়ুতে সোশ্যাল মিডিয়া আমার দিনকে দিন নিত্য সুখ
দুখের সঙ্গী হয়ে উঠে, বলা যায় মুক্তমনা হওয়ার এক বিশাল দ্বীপ আমার সামনে হাজির। আর আমি সেই দ্বীপের আনাচে কানাচে কচ্ছপ পায়ে
এগুতে থাকি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে পরিচয় হতে থাকে জানা অজানা তারপর থেকে চলমান।
সংশপ্তক: মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্যোশাল মিডিয়ার মতোন এমন শক্তিশালী
মাধ্যম আবিষ্কৃত হয় নি আগে। এই যে গোটা পৃথিবীটাই প্রায় আপনার হাতের মুঠোয়; এই
বিষয়টি আপনাকে কতটা প্রভাবিত করে?
রবি বর্মন: ব্যক্তিগত
ভাবে বলতে চাই আমি দারুণ ভাবে উপকৃত হয়েছি। আমি শুধু বলতে চাই পৃথিবী যতো হাতের
মুঠোয় এসেছে মানুষের বিবেক বুদ্ধি তত দূরে সরে যাচ্ছে যেমন বয়ষ্ক যারা তারা হয়তো
জানেন আগের দিনে দূরের কোন আত্মীয়সজন মারা গেলে প্রেরিত পত্রের এককোন আগুনে পুড়িয়ে
দেওয়া হতো এতে করে ডাকঘড়ের ডাক বাক্স থেকে শুরু করে পোষ্ট মাস্টার পিয়ন তথা
অনেকেরই দায়িত্ব বেড়ে যেতো কি করে যতো তাড়াতাড়ি পত্রখানা গ্রহকের ঠিকানায় পৌছানো যায়।
এটা এক পুস্পবেস্টিত বিবকজনিত মানবতা। এবং গ্রহক সেই পত্রখানা পড়ে একধরনের পরিবশে তৈরী করতো যা
কিনা স্যোশাল মিডিয়ার আগমনে এমটা আর দেখা যায় না। এখন মূহুর্ত্তে সকল খবরাখবর পৌছে
যায় সর্বক্ষত্রে এবং মূহুর্ত্তে ভুলে যায় পুরাতন খবরাখবর নতুন খবরের চাপে। আজকাল
দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষেরা স্যোশাল মিডিয়ায় নিজেদের কর্মকান্ড দেখাতে হাসতে হাসতে
ব্যঙ্গ উল্লাস করে শিশুদেরকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও চিত্র স্যোশাল মিডিয়ায়
শেয়ার করছে। আসলে মানুষ এখনো স্পর্শকাতর বিষয় গুলা বাদ দিয়ে সঠিক ভাবে সোশ্যাল
মিডিয়ার ব্যবহার করতে শিখেনি। তাই প্রায় হাতের মুঠোয় পৃথিবী থাকলেই তার অপব্যবহার
করাটা মোটেই উচিত হবেনা এ বিষয়টি আমাকে ভাবায়।
সংশপ্তক: মানুষের সৃষ্টিশীলতা সৃজনশীলতার বিকাশের ক্ষেত্রে এই সোশ্যাল মিডিয়া
সম্পূ্র্ণ একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। যা এক কথায় অভুতপূর্ব! আগে নির্দিষ্ট
কিছু মাধ্যমের ছাড়পত্র না পেলে আপন প্রতিভা প্রকাশের কোন উপায় ছিল না বললেই চলে।
কিন্তু এখন যে কেউ তার সৃষ্টিশীল সৃজনশীল শক্তিকে বিশ্বের দরবারে নিজেই হাজির করতে
পারছে। এই বিষয়টি আপনি ঠিক কি ভাবে দেখছেন?
রবি বর্মন: এটি একটি ভাল
দিক, মনে করুন চারিদিক ফরমালিন –এ ভরপুর এখন কেউ যদি বিশুদ্ধ কিছু সন্ধান করে এই
সোশ্যাল মিডিয়ায় খুজে পায় তবে তা অব্যশই অভুতপূর্ব। তাই বলে বলবো না বিশ্বের দরবার
কারও জানালার পাশে, বিশ্বের দরবারে সৃষ্টিশীল সৃজনশীলতাকে হাজির করে নিজেকে টিকিয়ে
রাখাটা একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ আর এই চ্যালঞ্জে কেউ হেরে যায় কেউ জিতে যায় , আমি
বলবো পরিশ্রম করো তোমার শেষ বিশ্রামের আগ পর্যন্ত তবেই বিশ্ব তোমাকে মনে রাখবে।
সংশপ্তক: এই প্রসঙ্গেই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের বিচলিত করে। আগে প্রতিভা
বিকাশের কোন না কোন একটি মাপকাঠি ছিল। কিন্তু আজকে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে যে কেউ
নিজেকে কবি সাহিত্যিক সংগীতশিল্পী বলে প্রচার করতেই পারেন। এবং বন্ধুবান্ধব
আত্মীয়স্বজনদের প্রশংসায় এই ভাবে মধ্যমেধার বাড়বারন্ত শিল্পসংস্কৃতির পক্ষে কতটা
স্বাস্থ্যপ্রদ বলে আপনার মনে হয়?
রবি বর্মন: দেখুন একটি সময় ছিল যখন এক ফসলা
জমিতে শুধু একটি ফলনই ফলানো হতো। কিন্তু এখন সময় পালটেছে এখন একই জমিতে ভিন্ন
ভিন্ন ফলন ফলাতে সক্ষম হয়েছে বিজ্ঞানীরা কিন্তু যে ফলন হোকনা কেন তা কিন্তু
একেবারেই সেই এক ফসলি স্বাদের নয়। তো কারো কাছে স্বাস্থ্যপ্রদ আবার করো কাছে ভিন্ন
ফলনটি স্বাস্থ্যপ্রদ নয়, এটা আসলে সঠিক ভাবে বলা যায় না কে কোনটা গ্রহন করছে তবে
হুট করে বাড়বারন্ত আমার কাছে মোটেই স্বাস্থ্যপ্রদ বলে মনে হয় না।
সংশপ্তক: আবিশ্ব বিভিন্ন সংস্কৃতিকে পরস্পরের আরও কাছে নিয়ে আসতে সোশ্যাল মিডিয়ার
ভুমিকা কতটা শক্তিশালী হতে পারে?
রবি বর্মন: আসলে সোশ্যাল মিডিয়া এখন এমন এক
জায়গায় পৌছছে যে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবন মুখরিত হয়ে উঠতে পারে না।
এটা সময় ছিল যখন কোন একটি জায়গায় কোন একটি ঘটনা ঘটলে সেখানে সাংবাদিক, রিপোর্টার
যেয়ে তথ্য সরবরাহ করে এনে সেই তথ্যকে যাচাই করে তারপর পাবলিকের মাঝে বিলি করতো
কিন্তু এখন যেখানে ঘটনা সেখান থেকে আমজনতা জামজনতা কেউ না কেউ সেই ঘটনা সোশ্যাল
মিডিয়ায় প্রচার করছে এবং তাৎক্ষনিক কিছু না কিছু প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। এতে সোশ্যাল
মিডিয়ার ভুমিকাটা প্যারাসিটামলের মতো।
সংশপ্তক: এই যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লোকসংস্কৃতির সাথে সহজ আদান প্রদানের একটি
শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রটি: সেই সম্বন্ধে
আমাদের বাঙালিদের সচেতনতা কতখানি ঘটেছে বলে মনে হয় আপনার?
রবি বর্মন: আমি যে শহরে বসবাস করি এটাকে বলা হয়
ফোক গানের র্তীথভূমি। কিন্তু আমি যখন ঘরে বসে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের কারও
কন্ঠে আমারই শহরে জন্ম নেওয়া ফোক গান শুনতে ও দেখতে পাই তখন গর্বে আমার চোখে জল
এসে যায়। আর আমাকেও কোন এক দেশের সুর আউলা বাউলা করে তুলে। এই যে আদান প্রদান এর বাহক হচ্ছে সোশ্যাল
মিডিয়া এবং আমরা যা শুনি তা শুদ্ধ নাকি অশুদ্ধ তা তাৎক্ষনিক বুঝতে পারি। আমারা
বাঙ্গালী আমরা সঠিকটাকে বেছে নিচ্ছি এটা আমাদের সচেতনতার প্রভাব পরেছে বলেই পারছি।
সংশপ্তক: সোশ্যাল মিডিয়া স্বভাবতঃই সমাজ দর্পনের ভুমিকায় একটি কার্যকরী মাধ্যম। আমাদের
বাঙালি সমাজের প্রেক্ষিতে এই দর্পনের বর্তমান প্রতিচ্ছবিটি কতটা আশাব্যঞ্জক আপনার
কাছে?
রবি বর্মন: আমি মনে করি আয়নার পেছন দিক থেকে
কিছু দেখা যায় না কিন্তু সামনের দিকটা বর্তমান, ঠিক তেমনি বর্তমান যুগে সোশ্যাল
মিডিয়া আয়নাটির সামনের অংশের মতো। আমরা প্রতিনিয়তো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনা
দেখতে পাই এবং যে যার অবস্থানে থেকে সেই ঘটনার ভালো ও মন্দ দিক তাৎক্ষনিক বিশ্লেষন
করতে পারি। এটি একটি তৃপ্তিদায়ক,
তাই সুদূর ভবিষ্যতে আমি মনে করি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রায় গ্রহণ যোগ্য
হবে।
সংশপ্তক: একথা আমরা সকলেই জানি, ইংরেজী ও হিন্দীর দূর্দমনীয় প্রভাবে আমাদের দৈন্দিন
জীবনচর্চায় ভাষা হিসেবে বাংলার প্রাসঙ্গিকতা দ্রুতহারে ক্রমহ্রাসমান। কিন্তু এই
সোশ্যাল মিডিয়ার অভূত্থানে বাংলা ভাষার পুনরুজ্জীবনে কি কোন আশার আলো চোখে পড়ছে
আপনার?
রবি বর্মন: আমি বলবো বাংলা ভাষা বিশ্ব মাতৃভাষা
দিবসের দৌলতে ইতিমধ্যে ব্যাপক আলোচিত আর মিডিয়ার আদলে খুব সহজেই বাংলা ভাষা ও বাংলার
আঞ্চলিক ভাষা ব্যাপক ভাবে বিস্তার করেছে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর দক্ষিনে। এখন
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলা ভাষার হেডলাইনে অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি। বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংঙ্গালীরা বেশিরভাগ,
বাংলা লিখেই উত্তর প্রতিউত্তর দেয়। এতে করে উভয়ের
মূল ভাবটা বজায় থাকে। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল আপনি যদি ভিন্ন কোন দেশে যান আর
সেখানে গিয়ে আপনার দেশের কোন মানুষ অথবা আপনার দেশের কোন কিছু দেখতে পান তবে আবেগে
আপ্লুত হতে আপনার খানিকটা সময়ও লাগবে না। তেমনি আমি মনে করি সোশ্যাল মিডিয়ার
অভূত্থানে বাংলা ভাষা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।
সংশপ্তক: আমাদের এই দ্বিখন্ডিত বাংলায় কাঁটাতারের দূরত্ব ঘুচিয়ে দুই পারের মধ্যে
পারস্পরিক শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও প্রীতির সম্পর্কের উন্মেষ ঘটিয়ে উভয় সম্প্রদায়ের
মানুষকে পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে আসার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুমিকা কতটা
গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে আপনার মনে হয়।
রবি বর্মন: গান্ধীজির একটি কথা মনে পরে গেল,
মানুষের উপর কখনো আস্থা হারিয়ো না। মনুষ্যত্ব হচ্ছে সাগরের মতো, যদি সাগরের কিছু
ময়লাও হয়ে যায় তবুও পুরো সমুদ্র নোংরা হবে না। এ কথা থেকে আমি বুঝতেই পারি যে কোন
দেশের পুরো জনগনই খারাপ নয়, তো কেন শুধু শুধু কাঁটাতারে ভাগ করে দেওয়া হয় প্রতিটি
দেশের প্রতিটি সীমানা? কেন তাঁরকাটায় পাখির পালক আটকে যায়? এবার মূল কথায় আসি এই
সোশ্যাল মিডিয়ার কারনণেই আমার অনেক দাদা, দিদি, বন্ধু বান্ধব তৈরী হয়েছে এপার ওপারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার কারণেই প্রত্যকটি সময় উনাদের বৈশিষ্ট্য ও ভালবাসা আমাকে মুগ্ধ
করেছে এবং আমিও ওনাদের মন ছুয়েছি মূহুর্ত্তে। তাই উনারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আমিও
নিমন্ত্রণ করেছি। এই যে একটি মায়ার বন্ধন তৈরী হয়েছে দু বাংলায় তা শুধু সোশ্যাল
মিডিয়ার কারনণেই সম্ভব হয়েছে আর আমি মনে করি এই বন্ধন পৃথিবীর কোন তারকাঁটাই আলাদা
করতে পারবে না।
সংশপ্তক: মানুষের ইতিহাস জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে দাঙ্গা,
রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে সংঘর্ষের ইতিহাস। সোশ্যাল মিডিয়ার এই উত্থান কি সেই ইতিহাসের
চাকা ঘুরিয়ে দিয়ে আবিশ্ব মানুষকে জাতি ধর্ম সম্প্রদায়ের উর্ধে উঠে একটা মানবিক
বিশ্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারবে বলে মনে হয় আপনার?
রবি বর্মন: আসলে আমরা সব কিছু বুঝি আবার সব
কিছুই বুঝি না। এপার বাংলায়ও রবীন্দ্রনাথ আছে আবার ওপার বাংলায়ও রবীন্দ্রনাথ,
নজরুল আছে কিন্তু কালের স্রোতে উনারা লোহা সিমেন্টের স্ট্র্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে শুধু মানুষে মানুষের পার্থক্য দেখছেন। এবং আমরাও এক সময় এক একটি স্ট্যাচু হয়ে
যাচ্ছিলাম কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার আগমনে এখন আমাদের আঙুল আগের তুলনায় একটু বেশিই
নড়েচরে। একটি বিষয়
ভাবতে অবাক লাগে একসময় জরুরী ভিক্তিতে কারও দুর্লভ রক্তের প্রয়োজন হলে হতাশাগ্রস্থ
হতে হতো কিন্তু এই এখনকার যুগে কারও যদি জরুরী ভিক্তিতে রক্তের প্রয়োজন হয় তবে
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা মাত্র ধর্ম
বর্ণ ভেদাভেদ না ভেবে কারও না কারও
সাহায্য পাওয়া যায়। আমি মনে করি এটা সারা বিশ্বে কাজ করে, এবং আমরা সব কিছু ভুলে
তখন এক বিশ্ব এক জাতিতে পরিণত হই।
সংশপ্তক: আমাদের সমাজ ও সভ্যতায় দৈনন্দিন জীবনের পরিসরে অন্যায় অত্যাচার, শোষণ
নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের হাতিয়ার হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুমিকা
কতটা কার্যকরী হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
রবি বর্মন: আপনি দেখুন ফেলানী থেকে শুরু করে
রাজন হত্যা সেটা যে মাটিতে যেখানেই ঘটুক না কেন এর প্রতিবাদের চিৎকার কিন্তু সারা
বিশ্বের মাটি বাতাসে মিশেছে। এবং মানুষের সচেতনতা দিনকে দিন বাড়ছে এটা সোশ্যাল
মিডিয়ার ভুমিকা। এখন দেখবেন কোন এক স্থানের আসামী কোন এক স্থানে গিয়ে বসবাস করতে
পারে না এই সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। তাই সমাজে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুমিকা অপরিসীম।
সংশপ্তক: সংশপ্তকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এই
সাক্ষাৎকার শেষ করবো একটি কথাই জানতে চেয়ে: সোশ্যাল মিডিয়ার এই হঠাৎ উত্থান আপনার
ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে, তার প্রকৃতি ও বিকাশ সম্বন্ধে একটু
যদি আলোকপাত করেন!
রবি বর্মন: এই প্রশ্নের উত্তরটি এখনো ঘুমন্ত আর ঘুমন্ত
উত্তরটি জেগে উঠলেই চিৎকার চেঁচামেচিতে আপনাদের কান ঝালাপালা করে দেবে তাই এখানেই ইতি। ধন্যবাদ আপনাদের সকলকে।