সংশপ্তক: মানুষের সমাজ ও সভ্যতায় ট্রেন ও বিদ্যুৎ শক্তির আবিষ্কারের মতোই এক
যুগান্তকারী ঘটনা ইন্টারনেট প্রযুক্তির বিকাশ। যার হাত ধরে উত্থান সোশ্যাল
মিডিয়ার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই নবতম উপহারের সাথে আপনার পরিচয়ের সূত্রপাত
সম্বন্ধে যদি একটু আলোকপাত করেন !
কচি রেজা: কখনও এমন হয়েছে একটি লেখা ডাকে পাঠিয়ে অপেক্ষা করেছি , দিনের পর দিন । নির্দিস্ট পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের
কাছে আদৌ পৌঁছাল কি ! কিভাবে জানব , হারিয়ে গেছে কিনা !
ডাকবিভাগের গাফিলতিতে কত কিছুই ত ঠিকানা হারিয়ে ফেলে । ফোন করে জানাটাও কেমন লাগত
! প্রযুক্তির এই আবিষ্কার আসলেই উপহার ।
আমিত একে জন্মদিনের উপহারের চেয়ে বেশি দেখি । তবু এই প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হতে আমার
সময় লেগেছে বেশ । মনেরও টানাপড়েন ছিল । সত্যি বলতে , কাগজে লিখে যে আত্মবিশ্বাস বোধ হত , তখন , সেই প্রথমাবস্থায় এটা কল্পনাও করতে
পারতাম না । এখন আমি কাগজেই লিখিনা , জানো? কারন দেখেছি , এডিট করার মহা সুযোগ আছে । এতো
গেল লেখালিখি । ভাবো ত , প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলা যায়
প্রানভরে । বিনি পয়সায় । কেউ যেন দূরে আছে এমনটা ভাবার অবকাশ আর নেই । আমিত জানো, খুব খুব খুশি এই সোশ্যাল মিডিয়ার সুযোগ নিয়ে । জীবন্টাই বদলে দিয়েছে ।
সংশপ্তক: মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্যোশাল মিডিয়ার মতোন এমন শক্তিশালী
মাধ্যম আবিষ্কৃত হয় নি আগে। এই যে গোটা পৃথিবীটাই প্রায় আপনার হাতের মুঠোয়; এই বিষয়টি আপনাকে কতটা প্রভাবিত করে?
কচি রেজা: ভাবা যায় যে আমি
যখন আমেরিকায় বসে কবিতা লিখছি , আর সঙ্গে সঙ্গে পোস্ট
দিয়ে উঠতে না উঠতে তা পড়ে ফেলছে শত শত পাঠক ! কবিতা ছাড়াও দিন রাত এই সুদূরে থেকেও
কতযে কথা বলতাম । সেটা এই ইন্টার নেট সুবিধার জন্য-ই ত ! শক্তিশালী কথাটা যথার্থ ।
আমিত মর্মে মর্মে অনুভব করি । দেখো , আমেরিকার নিউ ইয়র্ক এ আর আমাদের ঢাকায় সময়ের কত যে
ব্যাবধান । আমার হত কি , ভোর থেকে সারারাত ত বন্ধু বান্ধব পেতাম-ই । একটুখানি ঘুমিয়ে অথবা
বেড়িয়ে , কাজ সেরে আবার বসতাম । ভারত আর বাংলাদেশ যেন আমার হাতের মুঠিতে । আসলে
এই সুবিধা প্রতিনিয়ত বাড়ছে । আর ও সামনে কিযে হবে ভেবে এমই উল্লসিত ।
সংশপ্তক: মানুষের সৃষ্টিশীলতা সৃজনশীলতার বিকাশের ক্ষেত্রে এই সোশ্যাল মিডিয়া
সম্পূ্র্ণ একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। যা এক কথায় অভুতপূর্ব! আগে নির্দিষ্ট
কিছু মাধ্যমের ছাড়পত্র না পেলে আপন প্রতিভা প্রকাশের কোন উপায় ছিল না বললেই চলে।
কিন্তু এখন যে কেউ তার সৃষ্টিশীল সৃজনশীল শক্তিকে বিশ্বের দরবারে নিজেই হাজির করতে
পারছে। এই বিষয়টি আপনি ঠিক কি ভাবে দেখছেন?
কচি রেজা: যে কেউ কথাটায়
একটু ‘কিন্তু’ আছে
। কারন , সহজলভ্যতার কিছু অপসুযোগ থাকে । সব লেখাই
সৃস্টিশীল হতে পারে না । তবু যেকেউ লিখছে , পোস্ট দিচ্ছে ,
শেয়ার করছে , নিউজ ফিডে নোটিশ আসছে এমন
যে না দেখে থাকাও অসম্ভব । কবিতার নামে যা
লেখা হচ্ছে , এই যে কেউর তাতে মাঝে মাঝে দূষন বোধ হয় আমার
। হ্যা , আগের ব্যাবস্থায় নির্দিষ্ট কিছু মাধ্যমের
ছাড়পত্র লাগত । যাচাই বাছাই হত অসংখ্য
লেখার মধ্যে । সেঠিকাছে কিছু প্রতিভা হয়ত অশনাক্তিয় রয়েও যেত , হয়ত । কিন্তু অপ্রতিভার দখলে এইযে প্রযুক্তি আর আমরা
প্রতিনিয়ত ক্ষত হচ্ছি তা হয়ত হতাম না । তবে বিজ্ঞান ত সত্য সে ভুত নয় এবং পিছন দিকে হাঁটবে । আর এটিও মানি, এই প্রকাশ
মাধ্যমের আর সব বিকল্প ই আর গ্রহণযোগ্য
হবেনা । এখনও না । আগামি প্রজন্মের কাছেও না ।
সংশপ্তক: এই প্রসঙ্গেই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের বিচলিত করে। আগে প্রতিভা
বিকাশের কোন না কোন একটি মাপকাঠি ছিল। কিন্তু আজকে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে যে কেউ
নিজেকে কবি সাহিত্যিক সংগীতশিল্পী বলে প্রচার করতেই পারেন। এবং বন্ধুবান্ধব
আত্মীয়স্বজনদের প্রশংসায় এই ভাবে মধ্যমেধার বাড়বারন্ত শিল্পসংস্কৃতির পক্ষে কতটা
স্বাস্থ্যপ্রদ বলে আপনার মনে হয়?
কচি রেজা: ঠিক এই উত্তরটা
হয়ত উপরে দিয়ে দিয়েছি ।
সংশপ্তক: আবিশ্ব বিভিন্ন সংস্কৃতিকে পরস্পরের আরও কাছে নিয়ে আসতে সোশ্যাল মিডিয়ার
ভুমিকা কতটা শক্তিশালী হতে পারে?
কচি রেজা: একথা কি আর বলতে
! যুগের পর যুগ অপেক্ষার শেষ এখন । উদাহরণ টানবার দরকার নেই । প্রতিনিয়ত যা পাচ্ছি
এই জন্মের সৌভাগ্য । হয়ত মানবগোষ্ঠির সৌভাগ্য । ভেবে দেখা যাক , আপনজনের বিদেশ যাওয়ার প্রতিটিক্ষণ দেখতে পাচ্ছি । দেখতে
পাচ্ছি , জানতে পারছি সে কি খাচ্ছে , কোথায় দাঁড়িয়ে আছে । বিরহ বলে আর কিছু থাকলো না বোধ হয় ! হা হা হা !
সংশপ্তক: এই যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লোকসংস্কৃতির সাথে সহজ আদান প্রদানের একটি
শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রটি: সেই সম্বন্ধে
আমাদের বাঙালিদের সচেতনতা কতখানি ঘটেছে বলে মনে হয় আপনার?
কচি রেজা: আমিত বাঙালিকে
সমস্ত মানবগোষ্ঠি থেকে ভিন্ন ভাবার অবকাশ পাচ্ছি না ! হয়ত আমি একটা গোটা
বাংলাদেশের মানুষ বলেই কিনা জানিনা । আমারদের দেশে ত সবার মাতৃভাষাই বাংলা । তাই
বাংলা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু দেখছি না । আর কবিতা লিখতে গেলে অথবা শিল্পের যেকোন
ও শাখায় কাজ করে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে মাতৃভাষার বিকল্প নেই । সচেতন ত হতেই হবে।
গ্রামগ্রামান্তরে ইন্টার নেট পৌঁছে গেছে ত ! সুব্যাবহার , অপব্যাবহারসহ ।
সংশপ্তক: সোশ্যাল মিডিয়া স্বভাবতঃই সমাজ দর্পনের ভুমিকায় একটি কার্যকরী মাধ্যম। আমাদের বাঙালি সমাজের প্রেক্ষিতে এই দর্পনের বর্তমান প্রতিচ্ছবিটি কতটা আশাব্যঞ্জক আপনার কাছে?
কচি রেজা: এইযে কয়েকটি শিশু খুব অল্প
কয়েকদিনের ব্যবধানে পাষন্ড কিছু মানুষ
মেরে ফেললো অসহ্য নির্যাতন করে । তা আমরা জানতে পেলাম ত
এই সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত । এইযে ব্লগার হত্যা হল , অভিজিত , নীলাদ্রি , নিলয় , বাবু জানা গেল ত এই মাধ্যমের ফলেই ।
তুমুল প্রতিবাদ গড়ে তোলা হল সেও এই
মাধ্যমের ব্যাবহার জানার কারনেই । অসীম ক্ষমতা এই সোশ্যাল মিডিয়ার । আমি বিশ্বাস
করি , রাজনৈতিক ব্যাপারগুলোও এই মিডিয়ায় আলোচিত হবে ।
যারা দেশের মন্ত্রি , কর্ণধার সবার কার্যক্রমের জবাবদিহি
ত জনগনের কাছে । এই মিডিয়া সচল আর শক্তিশালী হবে যখন , কেউ
অন্যায় করে , শপথের বরখেলাপ ক’রে
পার পাবেনা । ভেজাল খাদ্যের ব্যাপারেও ভূমিকা
রাখছে । মানে ,কেউ কিছু করে আর লুকিয়ে থাকতে পারবে
না । জনতা টেনে বের করে আনবে । একেই বলে জনতার আদালত যা প্রকৃতপক্ষে এই মিডিয়ার
মাধ্যমে সার্থক হয়ে উঠবে ।
সংশপ্তক: একথা আমরা সকলেই জানি, ইংরেজী ও হিন্দীর দূর্দমনীয়
প্রভাবে আমাদের দৈন্দিন জীবনচর্চায় ভাষা হিসেবে বাংলার প্রাসঙ্গিকতা দ্রুতহারে
ক্রমহ্রাসমান। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার অভূত্থানে বাংলা ভাষার পুনরুজ্জীবনে কি
কোন আশার আলো চোখে পড়ছে আপনার?
কচি রেজা: বাংলাদেশের
নাগরিক শুধু না আমি , এই দেশ আমার
জন্মভূমি । এদেশে ত ঠিক ওইভাবে আমরা সমস্যাটা ফেস করছিনা ! সর্বত্রই বাংলা
। তবে বলতে পারি , হিন্দী আর ইংরেজীর সামান্য প্রভাব যে
পড়তে শুরু করেনি তা নয় । টিভির মাধ্যমে শিশুরা এখন ই হিন্দী বলে আর ইংলিশ মিডিয়ামে
পড়ার দরুন ইংলিশ । পুনরুজ্জীবনের আশা ? হ্যা , বিশ্বাস করি বাঙালির এই ফেসবুক চর্চা অতি সামান্য হলেও বাংলা শেখাচ্ছে
আর শিখতে বাধ্য হচ্ছে অনেকেই । হতাশা শব্দটি আমার অভিধানে নেই অন্ততঃ এই ব্যাপারে যে , কবিতা লেখা হবে , গান হবে , নাটক উপন্যাস এগুলোও আর মাতৃভাষায় ছাড়া কিভাব এসবে র চর্চা সম্ভব ! তাই
বাংলা ভাষার লয় নাই । ক্ষয় নাই । বরং সামনে আদিগন্ত বিস্তার ---
সংশপ্তক: আমাদের এই দ্বিখন্ডিত বাংলায় কাঁটাতারের দূরত্ব ঘুচিয়ে দুই পারের মধ্যে
পারস্পরিক শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও প্রীতির সম্পর্কের উন্মেষ ঘটিয়ে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষকে
পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে আসার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে
পারে বলে আপনার মনে হয়।
কচি রেজা: সেই প্রথমদিকের
কথা, যখন ফেসবুক ব্যবহার শিখেছি মাত্রই , জানতাম না কবিতার গ্রুপ থাকে। মনের আনন্দে নিজের টাইম লাইনে পোস্টাতাম
। একদিন দেখি কারা যেন আমাকে এড করতে ডাকছে, বেশ কয়েকটা
গ্রুপে। ভাবলাম , এ আবার কি ! যাবনা বলে দিলাম । বেশ পরে বন্ধুরা বললো ,
এসে দেখোই না । ভাবলাম, তাইতো । ভালো না
লাগলে লীভ করবো । এখন স্বীকার করি, গ্রুপের
কবিতাবোদ্ধাদের সমালোচনা না পেলে হয়ত
পরিবর্তনটা বুঝতেই পারতাম না । তবে , সব গ্রুপ কবিতামনস্ক
না । দলাদলি এইসব
থাকে । স্বেচ্ছাচার থাকে । পিঠ চাপড়াতে বাধ্য করার ব্যাপার থাকে ।
বেনো জল সবখানে আছে । থাকবে । বেছে
চলতে হয় । সঠিক সমালোচনা মেনে নিজস্ব কবিতা লিখতে হয় । হ্যা, কাঁটাতারে কাঁটা আছে
বৈ কি । তবে প্রকৃত মানবপ্রেমীদের এইসব কাঁটা তেমন ফুটাতে পারে না । আর এই মাধ্যম এমন , মিল মিশ করে দেয় ভুল বোঝাবুঝি।
সংশপ্তক: মানুষের ইতিহাস জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে
দাঙ্গা, রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে সংঘর্ষের ইতিহাস। সোশ্যাল মিডিয়ার
এই উত্থান কি সেই ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে দিয়ে আবিশ্ব মানুষকে জাতি ধর্ম সম্প্রদায়ের
উর্ধে উঠে একটা মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারবে বলে মনে হয় আপনার?
কচি রেজা: মনে হয়না শুধু, এ আমার বিশ্বাস । জনতার উত্থান ঠেকাতে পারেনি কোনও কালে
কোনও বিদ্বেষ। আর ফেসবুকের ব্যবহার মানুষকে কাছে এনেছে আরও। দেশ – সমাজ-ধর্মের
ঊর্ধে একটি মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলবেই ।
নতুন ইতিহাস গড়বে। মানুষে
মানুষে এত ভালোবাসাবাসি হবে , এত ভাবের আদান প্রদান
হবে যে , সব কিছুর ঊর্ধে ত উঠবেই । তখন ধর্মের অজুহাতে
কাউকে হত্যা করা হবে না । কী নিষ্ঠুরতা
ভাবতে পারো ? ডঃ
হুমায়ূন আজাদকে মেরে ফেলা হলো , অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা
করা হল এসব ত ভুল বোঝার কারনেই ।আমি চাই ,
মানবিকতার উন্নয়ন । আর সেটা হবে এই সোশ্যাল মিডিয়ার সুযোগ্য
ব্যবহারের মাধ্যমে ।
সংশপ্তক: আমাদের সমাজ ও সভ্যতায় দৈনন্দিন জীবনের পরিসরে অন্যায় অত্যাচার, শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের হাতিয়ার
হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুমিকা কতটা কার্যকরী হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
কচি রেজা: সেতো অনেকভাবেই
কার্যকর । নারী নির্যাতন , শিশুহত্যা , ছাড়াও পরিবেশগত ব্যাপার যেমন ঢাকার রাস্তার ভয়াবহ জ্যাম , অপরিকল্পিত ঘর বাড়ি , বিদেশে যাওয়ার জন্য
অনেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছে , মানব পাচার করছে সেই
দালালদের চিহ্নিত করা , ভুমিকম্প , ঘূর্ণি ঝড় সামাজিক , আবহাওয়াগত যেকোনও
ডিজায়াস্টারের খবরের আদান প্রদান পাচ্ছি ত এই মিডিয়া ঘেঁটেই ।
সংশপ্তক: সংশপ্তকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এই
সাক্ষাৎকার শেষ করবো একটি কথাই জানতে চেয়ে: সোশ্যাল মিডিয়ার এই হঠাৎ উত্থান আপনার
ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে, তার প্রকৃতি ও বিকাশ
সম্বন্ধে একটু যদি আলোকপাত করেন!
কচি রেজা: স্বীকার করতে দ্বিধা নেই , এই মাধ্যমে এসে আমার লেখালিখিতে গতি এসেছে আর গতিটা টের
ও পাই । একটা মাধ্যমকে যে এত সুন্দর ও এত সৃজনশীল দৃস্টিকোণ থেকে ব্যবহার করা যায়
তা শেখালো এই মাধ্যম । কয়েকজন সংবেদনশীল ও হৃদয়বান বন্ধু পেয়েছি যাদের কাছে আজীবন
ঋণী হয়ে আছি । এই ঋণ আমি বহন করি ।
সংশপ্তককে অনেক ধন্যবাদ । এই মাধ্যম নিয়ে আসলে আগে কখনও সাক্ষাৎকার দেইনি
আর বলতে পারলাম মানে ঋণ স্বীকারের সুযোগ
দেওয়ার জন্য ও ।
[কবি কচি রেজা। জন্ম গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ শহরে।
ছোটোবেলা থেকে দেশের বাইরে। বর্তমানে নিউ ইয়র্কে বসবাস। পড়াশোনা দেশে এবং নিউ
ইয়র্কে। নব্বই দশকের উল্লেখযোগ্য কবি।]