দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ
[মুল রচনা: ফ্রান্সিসকো আরখেন্তিনো! অনুবাদ: জয়া চৌধুরী]
তোকে দেখতে দেখতে খুঁজেছি
তোর ভেজা নগ্নতা;
তোর মুখের ওপর জল
নিঃসংকোচে গড়িয়ে পড়ত।
তুই যেন ছিলি
তার জন্য দখলীকৃত
আর একটা অব্যক্ত শ্বাস নিয়ে
আমি জীবনের সঙ্গে ভেসে যেতাম।
আমার জ্বলন্ত নগ্নতা নিয়ে,
তোর সঙ্গে জুড়ে গেছিলাম;
জল তখন শীতল ছিল
তা আদর করেছিল আমার কপাল।
রক্তমাংসের শরীর আমাকে আদর করেছিল
আর আমার অগ্নিতূল্য হাত দুটোকে
জ্বলন্ত আত্মা দিত উপদেশসমূহ
তাকে শৃঙ্খলায় নিত সাজিয়ে।
আমি তোর শরীর ছেয়ে ভ্রমণ করেছিলাম,
তুই আমার শরীর জুড়ে,
আমরা পৃথক হয়েছি আমাদের গভীর শীতলতা থেকে
অনুভব করেছিলাম সেকথা।
যতক্ষণ আমরা নগ্ন পিচ্ছিল ছিলাম
আর নীরব সাক্ষী সেই জল
আমাদের সঙ্গে মেতে উঠেছিল উৎসবে
তার যৌন কাতর সহায়তা দিয়ে।
----------------------------------------
ছেলেমানুষী! (জয়া চৌধুরী)
আর করবো না পণ
রাখতে গেলে যদি মান
আর করবো না পণ
কী হবে ছাই!
ভালোমন্দ দিবারাত্র কেশভার বা বিরলকেশ
সবটা এক । সবার স্বাদই পানসে রকম
কী দায় তবে!
অ-নষ্টেরই গোপন চাপে
সদ্য ফোটা নষ্টেরা সব গুমরে কাঁদে
আর কোন দায় রাখবো কেন?
আর কোন টান টানবে বলো?
বেশ তবে আজ তুমুল রকম
ভন্ড হবো নষ্ট হবো উদোম হবো
ভিতর টানের বাইরে গিয়ে
শিথিল হবো কামনা হবো
যা হয় হোক, আজ তবে আমি
ভন্ড হবো শিথিল হবো উদোম হবো...
আরো ভালবাসো (জয়া চৌধুরী)
তোমাকে ধ্রুবতারা ভাবি নি কখনো
খেলাচ্ছলে ডেকেছি তোমায়
ভুলক্রমে নয় এ তা অবশ্য
কেননা ভুল থেকে জাত হয় না কোন নির্ভুল
আমি তো জেনেছি এ অনুভব
প্রখর নির্ভুল
এক আদি সত্য
কোষ থেকে কোষ অন্তরে বয়ে নিয়ে চলা
তোমার স্পন্দন
তুমি স্পন্দিত হও সেকথা বলতে চাই নি
আসলে স্পন্দনের অন্য নাম তুমি
অলিন্দ-নিলয়ের রক্তজালিকা দিয়ে ঘিরে রাখা পুষ্প তুমি
তোমাকে যতই আঘ্রাণ করি
হরিণের নাভির দিকে আমায় টানতে থাকো
ওষ্ঠ ডুবাই আর ভেসে উঠি
এই ডোবা ভাসার পর্বে অবিচল সুস্মিত তোমার আদর
কি বলি কেমন করে বলি কতভাবে বলি
আমায় দু হাতে গ্রহণ করো
তেজ ধী আর প্রেম দিয়ে আমাতে অঙ্কুর স্থাপন
করো
আমাকে আরো আরো ভালবাসো
ভালোবাসা
[জয়া চৌধুরী]