মিমির কবিতা
কথাগুলি
০১
আইভিলতা, অমন ঝরিও না পাতাগুলি
চতুর বাতাসে, তোমার
একটা পাতায় আমার
পরমায়ু লুকিয়ে রেখেছি।
০২
জারুল ও চন্দন, নিশিন্দার
আড়াল আমারই থাকো,
জাতিস্মর---
আবার জন্ম নেবো
তোমাদের বুকে।
০৩
সবুজ পাতার ওপর বৃষ্টির
ফোঁটা,আমার চিবুকে ওরা
ঝরছে আশীর্বাদ।
০৪
নিজেই ঢেলেছি জল
পাপের খনিতে, কাকে বলি
‘এ দায় তেমার!’
নির্মোহ বাক্যে বলো
নির্মোহ বাক্যে বলো
অধীত বিদ্যার
হাতে পাপাচারী আঙুলের
বদ্ধ লিখন, শেকড়
ছুঁয়েছ কবে?
আদৌ কি ছুঁয়েছিলে
জাত-পাত-কৌলিন্য
ভুলে! বাঘেরা কি
ভুলে গেছে শিকারের ঘ্রাণ?
সহজ সঙ্গম শেষে বেড়িয়েছে
কীট অন্বেষণে !
আমার ঈশ্বর
আমার ঈশ্বর হাসতে ভুলে গেলে
আমি তাকে সন্ধ্যাঝিলের কাছে
নিয়ে যাই, ওখানে এক
প্রাচীন অশত্থের নিবিড় আছে,
একটা নুয়ে পড়া নাগলিঙ্গম
তার শাখায় হরিয়ালদের আনাগোনা।
এভাবে ধারণ করি
প্রেম ও শক্তিতে, নশ্বরতার মন্ত্রে
তবু তাকে আগলে
রাখতে পারিনা, বেপরোয়া
দাস বণিকের হাতে রক্তমাখা ক্রুশ!