কমলা কৃষ্ণচূড়া পলাশ ফোটা ফাগুনে
বিয়ে হয়েছিল কমলের,
শ্যামাঙ্গী তনু ঘিরে আগুনের মত ঝলকাচ্ছিল কমলা রঙা বেনারসী।
লজ্জার লালচে কমলা বিভায় কালোমেয়ের গালেও
ফুটেছিল ফাগুনের আলো,
মেয়েটি স্বপ্নে আগামীর বীজ বুনছিল,
গায়ে হলুদের কাঁচা হলুদ লাল সিঁদুরে মিশে
সম্পর্কে কমলা রঙ দিয়েছিল ঢেলে।
অজানিত শঙ্কা আর অনাস্বাদিত আনন্দ ঢেউ ভাঙ্গছিল তার বুকে,
কাঞ্চনমূল্যে পরিচয় বদল করে নতুন জীবনে পা রেখেছিল
ময়নাপাড়ার কালো মেয়ে কমল।
মা যাকে আদর করে ডাকত ‘কমলি, ও কমলসুন্দরী’!
কেউ কি জানত, মাত্র কটাদিনর তফাতে
রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় নিরুপমাটি সেজে
আগুনের লাল কমলা লেলিহান শিখায় শেষসাজে সেজে উঠবে
সেই মেয়ে, শুধু কিছু না-মানুষের কালো লোভের শিকার হয়ে!
কে বলেছে কমলা শুধুমাত্র কামনার রঙ !
বয়স-১
প্রতিদিন একটু একটু করে
বয়সের ভারে কুঁচকে ছোট হয়ে আসছে আমার পৃথিবী,
অবলা কিছু চুপকথা দিগন্তব্যাপী প্রতীক্ষায় বীজজন্ম ছেড়ে
কলমীলতার মত ঝাড়ে বংশে দ্রুত বেড়ে ওঠে নিশ্চুপে,
মেঘ মেঘ বৃষ্টি বুকে লুকিয়ে রাখা মায়াতরুর সবকয়টি পাতা ভিজিয়ে
পর্ণমোচী সময়কে ভাসিয়ে নিয়ে যায় জলঘড়ির দেশে,
নেমে আসে নীলকান্ত বানভাসি মেঘের দল।
চোখ কিন্তু ভেজে না, মরুগ্রাসী আকণ্ঠ তৃষ্ণায়
গন্ডুষে গ্রাস করে নেয় নাভী চেরা অমৃতকুম্ভ।
সুসময় দুঃসময় দুই যমজ
আমার শরীরে চৌখুপি চৌষট্টি ঘরের ছক কেটে রাখে,
রাজা মন্ত্রী সেপাই, আলাদা আলাদা মুখোশে,
গুনে গেঁথে পা রাখি আলাদা আলাদা সাদা বা কালো খোপে,
এভাবে কখন যেন পার হয়ে যাই দাবার ছকের তেপান্তর মাঠ,
বেঙ্গমার ঠোঁটে কেচ্ছাকাহিনীর মত
গোপনে বাড়তে থাকে আমার বয়স,
আমার মুখোশের ওপর
সারা রাত ফেণিল ঢেউ তুলে ফিরে যায় যত ফেলে আসা দিন
আর আমি প্রতিদিন একটু একটু করে নুয়ে পড়ি.
একটু একটু করে
বয়সের ভারে কুঁচকে ছোট হয়ে আসে আমার পৃথিবী।
বয়স-২
আলো আর আঁধারের ঝুলন্ত একটা সাঁকো ,
নীচে মেঘ বৃষ্টি রো্দুরের স্মৃতির মত নিরাকার প্রবাহ,
গুটি গুটি পায়ে বৃদ্ধ যাযাবর খুঁজে চলছে ওর বসতভিটা আর
তিনহাত মাত্র জমি …
ভুঁই চাঁপার মত দুঃখ কষ্ট বেদনা ঝরে পড়েছে টুপটাপ,
যাযাবরের মাথায় মুখে বুকে,
মায়ের স্পর্শ নিয়ে রাজ্যের ধুলো নিবিড়ভাবে জড়িয়ে নিচ্ছে,
কাঁটায় কাঁটায় পিছলে যাচ্ছে জলঘড়ি নিশ্বাস ..
বিশ্বাস অবিশ্বাসের শেকলে বাঁধা অস্পৃশ্য স্বাধীনতা,
সময়টা ভালো যাচ্ছে না ,
কবে আর ভালো ছিলো বলো !
বয়স বাড়তে কমতে, কমতে বাড়তে, সাপলুডোর দান,
বৃদ্ধ যাযাবরের দু’চোখে নিত্যতুন এক একটি স্বপ্ন।
চলো তবে,
একটু গা বাঁচিয়ে সময়ের সাথে পা মিলিয়ে আমিও নাহয়
বয়সের সাথে কানামাছি খেলি।
প্রতিদিন একটু একটু করে
বয়সের ভারে কুঁচকে ছোট হয়ে আসছে আমার পৃথিবী,
অবলা কিছু চুপকথা দিগন্তব্যাপী প্রতীক্ষায় বীজজন্ম ছেড়ে
কলমীলতার মত ঝাড়ে বংশে দ্রুত বেড়ে ওঠে নিশ্চুপে,
মেঘ মেঘ বৃষ্টি বুকে লুকিয়ে রাখা মায়াতরুর সবকয়টি পাতা ভিজিয়ে
পর্ণমোচী সময়কে ভাসিয়ে নিয়ে যায় জলঘড়ির দেশে,
নেমে আসে নীলকান্ত বানভাসি মেঘের দল।
চোখ কিন্তু ভেজে না, মরুগ্রাসী আকণ্ঠ তৃষ্ণায়
গন্ডুষে গ্রাস করে নেয় নাভী চেরা অমৃতকুম্ভ।
সুসময় দুঃসময় দুই যমজ
আমার শরীরে চৌখুপি চৌষট্টি ঘরের ছক কেটে রাখে,
রাজা মন্ত্রী সেপাই, আলাদা আলাদা মুখোশে,
গুনে গেঁথে পা রাখি আলাদা আলাদা সাদা বা কালো খোপে,
এভাবে কখন যেন পার হয়ে যাই দাবার ছকের তেপান্তর মাঠ,
বেঙ্গমার ঠোঁটে কেচ্ছাকাহিনীর মত
গোপনে বাড়তে থাকে আমার বয়স,
আমার মুখোশের ওপর
সারা রাত ফেণিল ঢেউ তুলে ফিরে যায় যত ফেলে আসা দিন
আর আমি প্রতিদিন একটু একটু করে নুয়ে পড়ি.
একটু একটু করে
বয়সের ভারে কুঁচকে ছোট হয়ে আসে আমার পৃথিবী।
বয়স-২
আলো আর আঁধারের ঝুলন্ত একটা সাঁকো ,
নীচে মেঘ বৃষ্টি রো্দুরের স্মৃতির মত নিরাকার প্রবাহ,
গুটি গুটি পায়ে বৃদ্ধ যাযাবর খুঁজে চলছে ওর বসতভিটা আর
তিনহাত মাত্র জমি …
ভুঁই চাঁপার মত দুঃখ কষ্ট বেদনা ঝরে পড়েছে টুপটাপ,
যাযাবরের মাথায় মুখে বুকে,
মায়ের স্পর্শ নিয়ে রাজ্যের ধুলো নিবিড়ভাবে জড়িয়ে নিচ্ছে,
কাঁটায় কাঁটায় পিছলে যাচ্ছে জলঘড়ি নিশ্বাস ..
বিশ্বাস অবিশ্বাসের শেকলে বাঁধা অস্পৃশ্য স্বাধীনতা,
সময়টা ভালো যাচ্ছে না ,
কবে আর ভালো ছিলো বলো !
বয়স বাড়তে কমতে, কমতে বাড়তে, সাপলুডোর দান,
বৃদ্ধ যাযাবরের দু’চোখে নিত্যতুন এক একটি স্বপ্ন।
চলো তবে,
একটু গা বাঁচিয়ে সময়ের সাথে পা মিলিয়ে আমিও নাহয়
বয়সের সাথে কানামাছি খেলি।