অনুবাদ গল্প
EL
SUICIDA
Enrique Anderson Imbert
Al pie de la Biblia abierta -donde estaba
señalado en rojo el versículo que lo explicaría todo- alineó las cartas: a su
mujer, al juez, a los amigos. Después bebió el veneno y se acostó.
Nada. A la hora se levantó y miró el
frasco. Sí, era el veneno.
¡Estaba tan seguro! Recargó la dosis y
bebió otro vaso. Se acostó de nuevo. Otra hora. No moría. Entonces disparó su
revólver contra la sien. ¿Qué broma era ésa? Alguien -¿pero quién, cuándo?-
alguien le había cambiado el veneno por agua, las balas por cartuchos de
fogueo. Disparó contra la sien las otras cuatro balas. Inútil. Cerró la Biblia,
recogió las cartas y salió del cuarto en momentos en que el dueño del hotel,
mucamos y curiosos acudían alarmados por el estruendo de los cinco estampidos.
Al llegar a su casa se encontró con su
mujer envenenada y con sus cinco hijos en el suelo, cada uno con un balazo en
la sien.
Tomó el cuchillo de la cocina, se desnudó
el vientre y se fue dando cuchilladas. La hoja se hundía en las carnes blandas
y luego salía limpia como del agua. Las carnes recobraban su lisitud como el
agua después que le pescan el pez.
Se derramó nafta en la ropa y los fósforos
se apagaban chirriando.
Corrió hacia el balcón y antes de tirarse
pudo ver en la calle el tendal de hombres y mujeres desangrándose por los
vientres acuchillados, entre las llamas de la ciudad incendiada.
আত্মহত্যা
এনরিকে অ্যান্ডারসন ইম্বের্ত (আর্জেন্টিনা)
অনুবাদ- জয়া চৌধুরী
খোলা বাইবেল টার পায়ের কাছে যেখানে লাল কালিতে সব বাণীগুলো দাগানো সেখানেই ওর বউকে লেখা, বিচারককে লেখা, বন্ধুদের লেখা সবকটা চিঠি পড়েছিল। তারপর সে বিষ খেল। এবার শুয়ে পড়ল।
কিস্যু না। একটা সময় সে উঠে পড়ল। ফ্লাস্কটার দিকে তাকাল। হুঁ, ওটায় বিষই ছিল।
এত নিশ্চিত ছিল সে! আবার বিষের ডোজ চাপাল। আরেক গ্লাস বিষ ঢকঢক করে খেয়ে নিল। আবার নতুন করে শুয়ে পড়ল। আবার এক ঘণ্টা অপেক্ষা। নাঃ। মরে নি তো সে। রিভলবার থেকে নিজের বুকে একটা গুলি ফুঁড়ে দিল। এটা কি ধরণের মাজাকি হচ্ছে! কেউ একজন করেছে। কিন্তু কে? কখন? কেউ একজন বিষের বদলে জল ভরে রেখে গেছে। গুলির জায়গায় খালি কার্তুজ রেখে গেছে। বুকে আর একবার একসঙ্গে চারখানা গুলি ফুঁড়ে দিল সে। বেকার। বাইবেলটা বন্ধ করে রেখে দিল। চিঠিগুলো হাতে তুলে নিল। পাঁচ পাঁচটা গুলির শব্দে যতক্ষণে হোটেল মালিক, সাহায্য কারিণী মেয়েরা, কৌতূহলী লোকজন ছুটে এল ততক্ষণে সে বেরিয়ে পড়েছে হোটেল থেকে।
বাড়ি ফিরেই দেখল বউ বিষ খেয়ে আর পাঁচটা ছেলে মেয়ে বুকে গুলি নিয়ে মেঝেতে মরে পড়ে আছে।
রান্নাঘরে গিয়ে হাতে ছুরিটা নিল। প্রথমে পাকস্থলী ছাড়িয়ে নিল। তারপর কুচিকুচি করে কাটতে লাগল। বাইবেলের পাতাটা পাতলা করে কাটা মাংসের মধ্যে ডুবে ছিল। পরে বেরিয়ে এল এমন যেন জলে ধোয়া ঝকঝকে। মাংস গুলোও তাদের যথাযথ ভাব ফিরে পেল, ঠিক মাছেদের জল থেকে তোলার পরে জলে ধোয়ার মতই।
হুড়মুড় করে পোশাকে ন্যাপথালিন পড়ল। দেশলাই কাঠিগুলো চিরচির করে জ্বলেই নিভে গেল। বারান্দার দিকে দৌড়ে গেল সে। লাফ দিয়ে ঝাপিঁয়ে পড়ার আগে দেখল জলন্ত শহরের মধ্যে দিয়ে ছিন্নভিন্ন করা পাকস্থলী নিয়ে নারী পুরুষ গুলোর অনর্থক অপচয়।