>
>>
  • SriSuvro
  • >>
  • VERA DROZDOVA
  • >>
  • TILOTTAMA BOSE
  • >>
  • THADDEUS HUTYRA
  • >>
  • SUTAPA KHATUA
  • >>
  • SUMANA BHATTACHARJEE
  • >>
  • STEPHEN STONE
  • >>
  • STACIA LYNN REYNOLDS
  • >>
  • SOUMYA SEN SARMA
  • >>
  • SIAMIR MARULAFAU
  • >>
  • SHARMILA DASGUPTA
  • >>
  • RUMA CHAKRAVARTI
  • >>
  • ROULA POLLARD
  • >>
  • RINITA MAZUMDAR
  • >>
  • RIMI PATI
  • >>
  • RANIA ANGELAKOUDI
  • >>
  • PRERNA SINGLA
  • >>
  • PHILLIP
  • >>
  • PAPIA ROY
  • >>
  • NUPUR LAHIRI
  • >>
  • NILANJANA BANERJEE
  • >>
  • NANDITA SAMANTA
  • >>
  • NANDITA BHATTACHARYA
  • >>
  • MITRA GHOSH CHATTOPADHYAY
  • >>
  • MITA CHAKRABORTI
  • >>
  • MICHAEL MILLER
  • >>
  • MASSIMILIANO RASO
  • >>
  • MARY SCULLY
  • >>
  • MARY L PALERMO
  • >>
  • MARIETA MAGLAS
  • >>
  • MANISH MITRA
  • >>
  • LaDean Birkhead
  • >>
  • KOLPITA BASU
  • >>
  • KALYAN MUKHOPADHYAY
  • >>
  • JYOTI BISWAS
  • >>
  • JULIE ANNA
  • >>
  • JAYANTHI SEN
  • >>
  • GITA ASSEFI
  • >>
  • EFTICHIA KAPARDELI
  • >>
  • DEBORAH BROOKS LANGFORD
  • >>
  • CLIFF GOGH
  • >>
  • CHRYSSA VELISSARIOU
  • >>
  • BRITTA HOFFMANN
  • >>
  • BENEDICTA RUIZ
  • >>
  • ASIM RANJAN PATI
  • >>
  • ARONI
  • >>
  • ANURADHA BHATTACHARYYA
  • >>
  • ANTORA
  • >>
  • ANNA ZAPALSKA
  • >>
  • ANINDA GHOSH
  • >>
  • ANCHITA GHATAK
  • >>
  • ANCA MIHAELA BRUMA
  • >>
  • AMRITA KANGLE
  • >>
  • ADRIJ
  • >>
  • SUBHODEV DAS
  • >>
  • MARY SCULLY
  • >>
  • LIPIKA DEY
  • >>
  • CHRYSSA VELISSARIOU
  • বিপ্লব রহমান।

    SongSoptok | 7/10/2014 |

    মাতৃভাষার অধিকার।






    কিছুদিন আগে বিশিষ্ট আদিবাসী গবেষক, চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ের সঙ্গে আলাপ-চারিতা হচ্ছিল আদিবাসী শিশুর মাতৃভাষায় লেখাপড়ার বিষয়ে। তিনি জানালেন, পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সমতলের চেয়ে পাহাড়ে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার অনেক বেশী। এর একটি প্রধান কারণ, শিশু শিক্ষায় ভাষাগত বাধা। তবে এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি জরিপ চালানো হয়নি বলে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন।রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, আদিবাসী শিশু বাসায় যে ভাষায় কথা বলছে, স্কুলে সে ভাষায় লেখাপড়া করছে না। বাংলা বুঝতে না পারার কারণে শিশুমনে পাঠ্যবই কোনো দাগ কাটছে না, স্কুলের পাঠ গ্রহণ করাও তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। …তাই আমরা অন্তত প্রাথমিক শিক্ষায় আদিবাসী শিশুর মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা চাই, মাতৃভাষায় বর্ণপরিচয়, ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট-খাট অংক, নিজ জাতির ও বাংলাদেশের ইতিহাস শিক্ষার পাশাপাশি যেনো আদিবাসী শিশু বাংলাতেও অন্যান্য পাঠগ্রহণ করতে পারে। এটি শিশুর মনোস্তাত্ত্বিক বিকাশের জন্যও জরুরি।

    তিনি খানিকটা দুঃখ করেই বলেন, চার-পাঁচ দশক আগেও আদিবাসী ভাষা চর্চার এতোটা বেহাল দশা ছিলো না।…আমি ছোট-বেলায় দেখেছি, পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক গুরুজনই চাকমা ভাষায় নিজেদের মধ্যে চিঠিপত্র লেখালেখি করতেন। মারমা ভাষাতেও সে সময় লিখিতভাবে ব্যক্তিগত ভাববিনিময় ও লেখালেখি চলতো। কিন্তু প্রতিযোগিতার যুগে ব্যবহারিক উপযোগিতা না থাকায় এখন ওই চর্চাটুকুর সবই হারিয়ে গেছে।…

    পাহাড় ও সমতলের ভাষাগত সংখ্যালঘু, তথা আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে আদিবাসীর মাতৃভাষায় পাঠের ওই বেহাল চিত্র প্রায় একই। পার্বত্য চট্টগ্রাম, বৃহত্তর উত্তরবঙ্গে, কক্সবাজার ও পটুয়াখালিতে ব্যক্তি উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে অল্প কয়েকটি চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, রাখাইন ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়। ব্রাকসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাও এগিয়ে এসেছে এ ক্ষেত্রে। আশার কথা, অনেক দেরিতে হলেও এবারই প্রথম খোদ সরকারই এগিয়ে এসেছে এই মহতি উদ্যোগ বাস্তবায়নে।

    একুশের গৌরবের পথচলায় গত কয়েক বছরে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় নতুন করে আবার বাংলার পাশাপাশি আদিবাসীর মাতৃভাষাও হয়েছে সমুন্নত। দেশের প্রায় ৭০টি আদিবাসী জনগোষ্ঠির ২৫ লাখের বেশী মানুষ হাজার বছর ধরে বংশপরম্পরায় ব্যবহার করছেন নিজস্ব মাতৃভাষা। পাশাপাশি বাঙালির সঙ্গে ভাব বিনিময়ে তাঁরা ব্যবহার করেন বাংলা। প্রতিটি আদিবাসী জনগোষ্ঠির রয়েছে নিজস্ব প্রাচীন ভাষা, রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। তবে কয়েকটি জনগোষ্ঠির ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই। এ জন্য তাঁরা রোমান ও বাংলা হরফ ব্যবহার করেন।

    এ অবস্থায় প্রধান কয়েকটি আদিবাসী জনগোষ্ঠির ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায়, তাদের নিজস্ব ভাষায় পাঠদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ভাষাগুলো হচ্ছে, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, গারো ও সাদ্রি। এর মধ্যে সাদ্রি ব্যবহার করেন উত্তরবঙ্গে বসবাসকারী ওঁরাও, মুণ্ডা, মালো, মাহাতো, রাজোয়ার, তেলি, বাগদি, লহরা, কর্মকারসহ ১৫টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি।

    বলা ভালো, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান রচনারকালেই কিংবদন্তি পাহাড়ি নেতা, স্বতন্ত্র সাংসদ এমএন লারমা সংবিধানে বাঙালি জাতির পাশাপাশি সব ক্ষুদ্রজাতিগোষ্ঠির অধিকারের কথা সংযুক্ত করার দাবি জানান। সে সময় তার দাবিটি উপেক্ষিত হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস গড়ায় প্রায় দুই দশকের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামে, সে ইতিহাস অবশ্য অনেকেরই জানা। এরপর শান্তিচুক্তিতে গেরিলা গ্রুপ শান্তিবাহী-সেনা বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধের অবসান হয়েছে, ত্রিপুরা থেকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে দেশে ফেরেন প্রায় ৭০ হাজার পাহাড়ি শরণার্থী। তবে ভূমি অধিকারসহ শান্তিচুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসেনি। আর সংবিধানে আদিবাসীর অস্তিত্ব, তথা ভাষা-সংস্কৃতির স্বীকৃতি দানের দাবি, এখনো রয়েছে অধরাই। উপরন্ত বিগত সময়ে ‘দেশে কোনো আদিবাসী নেই’, ‘উপজাতিরা বহিরাগত’ ও ‘বাঙালিরাই আদিবাসী’ — এমন বেসামাল সরকারি ভাষ্য আদিবাসী জনগোষ্ঠিকে নতুন করে দাঁড় করিয়েছে সরকারের বিপরীতে।

    আগেই বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্তত দুই দশক ধরে বেসরকারি উদ্যোগে চলছে নিজস্ব বর্ণমালায় চাকমা ও মারমা ভাষার প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাতৃভাষায় পাঠ দেন সংশ্লিষ্ট ভাষার শিক্ষক। আর পাঠ্যবইও লেখা হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে। কয়েকটি উন্নয়ন সংস্থাও এই উদ্যোগের সঙ্গে আছে। অন্যদিকে সাঁওতাল, গারো, ত্রিপুরা ও সাদ্রি- এই চার ভাষায় লিখিত চর্চা থাকলেও প্রাথমিক শিক্ষার জন্য নেই পর্যাপ্ত বই। এ জন্য সরকারি উদ্যোগে এবং আদিবাসী বুদ্ধিজীবীদের তত্ত্বাবধানে এই চারটি ভাষায় এখন পাঠ্যবই লেখার কাজ চলছে।

    এরপর আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট ভাষায় পারদর্শী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শুরু হবে পাঠদান। নিজস্ব হরফ বা বর্ণমালা না থাকায় গারো ও ত্রিপুরা ভাষায় রোমান হরফে এবং বাংলা বর্ণমালায় সাদ্রি ভাষায় লেখা হচ্ছে পাঠ্যবই। তবে বর্ণমালার বিতর্ক মীমাংসার অপেক্ষায় রয়েছে সাঁওতালি ভাষা। বাংলাদেশের সাঁওতালরা বহু বছর ধরে একই সঙ্গে রোমান ও বাংলা হরফে নিজ ভাষার চর্চা করছেন। প্রাথমিক পর্বের লেখাপড়ায়ও চলছে এই দুই বর্ণমালা। তাই বিতর্কটি মিটে যাওয়ার পর এ বিষয়ে নেওয়া হবে সরকারি পদক্ষেপ ।


    বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং এই লেখকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির গৌরব হচ্ছে সব মাতৃভাষার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা। তাই বহু ভাষাভাষির বাংলাদেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠি অন্তত প্রাথমিক শিক্ষাটুকু নিজ নিজ মাতৃভাষায় লাভ করবে, এটি একটি মৌলিক মানবিক অধিকার। দেরিতে হলেও সরকার আদিবাসীদের বহু বছরের পুরনো এই দাবিতে সাড়া দিয়েছে। এখন আমরা চাই, এর দ্রুত বাস্তবায়ন। পাশাপাশি আমরা নিজস্ব কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য বিষয়ে গবেষণা ও অধ্যয়নের জন্য চাই একটি ‘আদিবাসী একাডেমি’।

    সাঁওতালি ভাষার বর্ণমালা বিতর্কের বিষয়ে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন সরেণ এই লেখককে বলেন, উত্তরবঙ্গের সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞ্চলে বহু বছর ধরে বাংলা বর্ণমালায়ই চলছে সাঁওতালি ভাষায় লেখাপড়া। আমরা নিজেরাও শৈশবে বাংলা হরফেই সাঁওতালি শিখেছি। কিন্তু শিশুদের পাঠদানে রোমান হরফ চালু করা হলে পরবর্তী সময় তাকে অন্যান্য বিষয়ে লেখাপড়ার জন্য আবার নতুন করে শিখতে হয় বাংলা বর্ণমালা। অর্থাৎ শিশুর ওপর চেপে বসে দুটি বর্ণমালা। রোমান হরফে সাঁওতালি শেখার কোনো ব্যবহারিক মূল্য নেই। কারণ আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের লেখাপড়া সব বাংলা ভাষাতেই। আমরা রোমান হরফ গ্রহণ করলে উন্নয়নের মূল জনস্রোত থেকেই পিছিয়ে পড়ব।

    অন্যদিকে রোমান হরফের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন নওগাঁর ধামইরহাট মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক আলবার্ট সরেণ। তিনি মতে, মিশনারি শিক্ষার হাত ধরে ১৮৪৫ সাল থেকে এই উপমহাদেশে রোমান হরফে চলছে সাঁওতালি ভাষায় লেখাপড়া, সাহিত্যচর্চা ও গবেষণা। ভারতের ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, ওড়িষা, বিহার, আসাম, পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞ্চলে বহু বছর ধরে চলছে রোমান হরফে লেখাপড়া। নব্বইয়ের দশকে আমাদের দেশে বাংলা বর্ণমালায় শুরু হয়েছে সাঁওতালি ভাষার চর্চা। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিকতার স্বার্থে আমরা রোমান হরফেই প্রাথমিক শিক্ষা চাই। অন্যথায় সারা বিশ্বের সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে নিজ ভাষায় ভাব বিনিময়ে আমরা পিছিয়ে পড়ব। এ ছাড়া বাংলা হরফে সাঁওতালি ভাষার উচ্চারণও সঠিক হয় না।
    __


    Biplob Rahman is Senior Reporter at Kaler-Kantho and a longtime writer in CHT issues.

    Comments
    0 Comments

    No comments:

    Blogger Widgets
    Powered by Blogger.