মশাল
রাস্তারা চলেছে
হেঁটে—
দশ,
কুড়ি, কখনও চল্লিশ ।
জল,বাস্প উড়ে গিয়ে
শিকড়ে পাহারা
অহর্নিশ ।
দুহাতে আঁকড়ে
রাখো
কচি প্রাণ ,ক্যাকটাস ফুল ।
পাখিমা আতঙ্কে
কাঁপে
তবু বুকে আগলায়
মুকুল ।
মায়েরা,
মেয়েরা ,চোখে
জল জ্বেলে মশাল
বানায় ।
কামদুনি ,বারাসাত ,
কোনে কোনে খড়গ
শানায় ।
লড়াই সম্মানের
জন্যে
সম্মানের দাম কত
টাকা?
সিঁদুরের মেকি রং
আজ যেন বড় বেশি
ফাঁকা।
চালচিত্র পিছে
থাক।
শিব ,
আহা, উঠুন ছাদেতে ।
বাচ্চার পোশাক ,বই
মায়ের মনের
আহ্লাদেতে
কেনা হোক
ইচ্ছাসুখে।
শুধু খাদ্য
পানীয়েই সুখ ?
কলেজে ওঠার পয়সা?
ছবি আঁকা?
সমাজ বিমুখ।
আমরা চালাই দেশ।
চলে রাজ্য আমাদের
হাতে।
তবে কেন অপমানে
মা’র চোখে জল প্রতি রাতে?
বাল্যেতে পিতার
বশ ।
যৌবনে স্বামীর ,শেষে ছেলে।
কেন স্কুলে ঠেলো
রোজ ---
সুশিক্ষিত জোঁক
হব বলে?
চটি,
জুতো ,ক্লিপ, কাঁটা
ফুচকা দিয়ে
কিনবেন স্বামী ।
কোন পায়ে দাঁড়ায়
মেয়ে ?
পা কেটেছে রঙিন
গোলামি ।
মালিক তো দেবেনই
খোঁটা ।
কাটে গরু খোঁটায়
জাবর ।
মর্জি সুখে হাত
বোলান
বে-মর্জিতে গালেতে থাপ্পড়।
অর্থশাস্ত্র শেখো
মেয়ে ।
ভাত খাও ঘামে
ভেজা পাতে।
মগজে শানাও তীর ।
কুর্ণিশ ছিনিয়ে
নাও হাতে।