কবিতা – এক
পিচকারি থেকে রে রে করে উড়ে
আসা প্রস্তাবটি ..
যে
কোনো আকাশে যাও , নদীর
ধারে কুড়িয়ে পাও ঋতুপ্রবণ যুবক । আতরঘর ডিঙোলেই স্বপ্ন , মাঝধার থেকে তুলে আনা ক'টি পংতি । তুমিটি হাজার কলস , গ্রন্থের পিচরাস্তায় অহেতুক কাঁপিয়ে দিচ্ছো দূরের
হারমোনিয়াম ...
অসমাপ্ত হরিণের ইলেক্ট্রা
, যেন আরেকটু মৃদু হলেই খসবে দাঁড়িকমার ম্যাকবেথ ,
প্রবাসী বাতাস কুড়িয়ে নেবে আয়ুর
অর্কেস্ট্রা ... তারপর দূরের রেফ আর ড্যাশ ...
নিজস্ব রানার জ্যোৎস্নার
অবিকল ...
ডানা ছেড়ে বাঁশীতে উড়ে যাওয়া সমস্ত পাখিরাই মানুষ ...
আর ঘরে ফেরে যারা তাদের ডাকনামগুলি
পাখি ...
কবিতা – দুই
তুমি একা একা হাঁটো । তোমার চলায় ছন্দ আছে ...
পায়ের
গোলাপিতে ভারি হয়ে আছে উপত্যকা । সামুদ্রিকরা অনেকদিন আকাশ হয়ে গেছে ... মাঠময় পাকা চাঁদ , একফালি
আলো দেখতে দেখতে ভাবছি এবার তবে নিরুদ্দেশে যাই ... যাই বললেই
তো আর যাওয়া হয়না । যাওয়াটির দু’চোখ
ক্ষণিক , পলাশের আরেক
নাম পৃথিবীর অপর ...
কুহকফুলের
গাছে গাছে ফুটেছে বিবাহের অহঙ্কার । তোমাকে গড়েছি মেঘের পরিবর্তে ... একতারাটি পাহাড়ের নীচে ছড়িয়ে দিচ্ছে গান ,
গানের বোল উড়িয়ে দিলো অলঙ্কার বীজ ... ঋতুকণার
বদলে জলাশয় , ত্রিকোণনদী ... সোহিনীর
আদলে তোমার গোপন হয়ে আছি ...
হোলিশিখার
সামনে বসি হাঁটু মুড়ে ... যৌথলন্ঠন
ছুঁয়ে জন্মে যায় বিবাহদিন ...
কবিতা-তিন
আকাশের মতো সবুজহীন আর কেউ
হয় না ...
পুরনো
নদীরা আগলে রাখে ডুবুরি ভাসানো নৌকোর স্নেহজল ... বৃক্ষের ভেতরে হেঁটে যাই পাখিদের সাথে ।
লম্বা লম্বা গানের ছায়া , ছায়াদের কাঁধে হেলান দিয়ে মৌসুমি শহর , উপকথার বাদামী উপহার দিচ্ছে রোদের ডান হাত
, আঙুলের সুড়সুড়ি থেকে জন্ম নিচ্ছে বেহালাবাদক
। বেহালার গোধূলি , একের পর এক শূন্যতার ছড় ... ঘুমোওনি তুমিও ...
পালতোলা
মেপে রাখে মেঘ গাঢ় , পাথরের
ঠোঁট । হাওয়ার পালক ওড়ানো শোক , যেন এইমাত্র
জন্ম নিলো নতুন অপেরাগ্রহ ... ঘরানার প্রান্তর জুড়ে কুসুম
,
জবাটির দিলমোহনায়
হয়েছি উধাও ... বেরিয়ে পড়ছি দোতলার
কাঠামো ছেড়ে ...
আমার
চাইতে দীর্ঘ কোনো শ্বাস নেই তোমার ...
[রত্নদীপা]