>

জয়া চৌধুরী

SongSoptok | 12/10/2014 |




ভালোবাসার সংজ্ঞা
খাভিয়ের মালিয়া

একবার ভালোবাসার একটা সংজ্ঞা শুনেছিলাম।
“এই ভালোবাসা এমন এক জিনিষ যখন একজন মানুষ তোমার কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ থাকে, যে তুমি সেই মেয়েটির জন্য সব স্বার্থত্যাগ করতে পারো, ফলাফলের কথা না ভেবেই- তাকেই বলে ভালোবাসা।”
ইয়ে , আমিও এখানে ঠিক তাই।
আমি যেন একটা বাসের মত ব্যাপার হয়ে আসছি, যে কি না তার বউয়ের সামনে থাকা নর্দমার নোংরা উপচে ফেলতে পারে। হয়তো সেটা এই জন্য যে আমার অবচেতনেই আমার বৌ অনেক ব্যাপার ঘটিয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে। কিংবা হয়ত বিষয়গুলো সোজাসুজিই আমার মনে সন্দেহ জাগায়। ভাবতে ভাবতে কোনো একটা বোকামি ঘটিয়ে ফেলার আগ মুহূর্তে  আমার মনে এই প্রশ্ন উঠল যে জেব্রা ক্রসিং্যে দাঁড়ানো  সামনের এই নারীটি কি বাসের বিশাল চাকার তলায় পিষে চিঁড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাবার জন্য তৈরী? আসলেই একটা মহৎ আত্মবলিদান তার বরাদ্দ? - ইয়ে এই জীবনটার কথা বলছি।
আমার গাড়িটা অপ্রতিরোধ্য গতিতে মেয়েটার দিকে এগোচ্ছে, আমি জানি সেটা। কারণ আমি আমার শোফারের মতই গাড়িটাকে থামাবার কোন পথ না বের করে হাঁ করে তাকিয়ে দেখছি ব্যাপারটা। ওটা মারাত্মক গতিতে যাচ্ছে। মেয়েটার মুখটায় রক্তের কোন চিহ্নই আর নেই। ওটা সম্পূর্ণ একটা লিনেনের কাপড়ের মত মুখে বদলে গেছে।   
এটা কি করে সম্ভব? আমার মনে সন্দেহ এল কেন? আমি ওকে ভালই বাসি তো?
তাহলে এইটা কি? আমি তো নিজেকে একজন মহান মানুষ ভাবি। এইসব ভাবনা গুলো যে আমার মুখ ভর্তি করে এই কথাটাই বলে চলেছে- ইস এটা যদি আমার সঙ্গে ঘটত!
যাইহোক আমার এখন একথা ভেবেই পাদুটো ঠকঠক করে কাঁপছে, ওই মেয়েটার কি কাঁপছে?  আসলে কার কাঁপছে  – ওর না আমার,  কি বাঞ্চোত করেছি আমি?
হতে পারে যে এটা আমার টিকে থেকে যাবার একটা ইন্সটিংকট, অথবা হয়ত বাস্তবে আমার খুপরিটা এই কাজটা না করবার জন্য একটা ছুতো বা বাহানা খুঁজছে এইটা না করবার জন্য।
এক পক্ষে আমার বড় ভাবনা আছে- যে আমার নারীটি মারা গেলে আমার পুরো বন্দকীটাই শোধ করা হয়ে যাবে, আবার অন্য দিকে এটা নিশ্চিত যে মেট্রো শহর গুলোর সরকারি যানবাহন কোম্পানিগুলো আমার মনের দুঃখ দূর করার জন্য আমার পকেট ভারী করে দেবে। আর এইসব অন্তহীন ভাবনারা আমার পা দুটো ফুটপাথের সঙ্গে স্ক্রু দিয়ে এঁটে রেখেছিলো। আমি এখন মনেও করতে পারছি না ঠিকঠাক যে ঐসব খুচরো আলোচনায় আমি শতভাগ সঠিকই ছিলাম কি না।
আর ঠিক তক্ষুনি একটা বেশ বেশিরকম কিপটে আর মিচকে শয়তান লোকের কথা আমার মনে হতে লাগলো, একটা কান্না আমায় ফিরিয়ে আনল ওই ভয়ংকর দৃশ্যে।
-   কান্না না কি?- আমার বৌ শোফারের সঙ্গে চিৎকার করছে। - ছাগল কোথাকার।
-   এই এই , তুমি এটা দেখছো না, না কি?- আমায় সে জিজ্ঞেস করল- তুমি কি ওখানে আছো??? অ্যাঁ? চল চল আমাদের বাড়ি ফেরার তাড়া আছে।
-   বাজারের থলে হাতে নতুন উদ্যমে সাজানো উপদেশ আমার ওপর বর্ষিত হতে লাগলো। কোন মানবিক ত্যাগসাধন না করেই ওটার জন্য আমি কৃতজ্ঞ চিত্ত হয়ে অকুস্থল থেকে কেটে পড়লাম। গাড়ি থেকে নেমে ফুটপাথে পা বাড়াতেই আমি শোফারের মুখের দিকটা নজর করলাম। পরপর দুটো শ্বাস ফেললাম। দ্রুত ফুটপাথ বদল করতে করতে একটা কথা আমি উপলব্ধি করলাম আবার

আমি আমার বউকে এর চেয়ে বেশি এত কখনও ভালোবাসি নি।
  


Definición de amor.
Javier Malia
Una vez escuché la definición de amor.

``Es cuando te importa tanto una persona, que serías capaz de sacrificarte por ella, sin importarte las consecuencias.´´

Y aquí estoy yo.
Viendo como un autobús está a punto de arroyar a mi mujer. A lo mejor es por que el subconsciente es capaz de procesar datos a la velocidad de la luz, o simplemente me entran dudas, pero antes de cometer alguna estupidez, me pregunto si la persona que está en el paso de cebra a punto de ser aplastada por una enorme rueda, merece el mayor de los sacrificios. Mi vida.

El autocar avanza inexorablemente hacia ella, lo sé. Por que estoy viendo como el chofer intenta sin remedio detenerlo. Va demasiado rápido y su cara ya ha perdido cualquier rastro de sangre, convirtiéndola en un lienzo en blanco.
 

¿Cómo es posible que me entren dudas? Si yo la quiero.
 
¿Cómo puede ser, si siempre me he creído una persona noble? De esas, que se han llenado la boca diciendo ¡ojalá me hubiera pasado a mí!
 

Sin embargo, ahora me tiemblan las piernas al pensar que o es ella o yo. ¿Qué coño hago?

Quizás sea el instinto de supervivencia, o que se yo, el hecho es que mi cabeza sólo busca excusas y pretextos para no hacerlo.
Por un lado tengo el tema del piso, si mi mujer fallece, tengo la hipoteca pagada, por otro lado, seguro que la compañía de transporte metropolitano me da una suculenta indemnización con tal de paliar el fuerte agravio que me han producido y, así un sin fin de pensamientos que me atornillan los pies a la acera. Si hasta me acuerdo de las discusiones triviales en las que yo tengo razón.
 

Justo cuando me siento el hombre más mezquino y ruin que hay en la faz de la tierra, un grito me trae de nuevo a la horripilante escena.

-¡Estás ciego o qué!- es mi mujer chillándole al chofer.- ¡Serás gilipollas!
-¿lo has visto?- me pregunta.- ¡Eh! ¿¡Estás ahí!? Vamos que tenemos prisa.-
Sujeto con renovadas fuerzas las bolsas de la compra y me alejo de la escena agradecido por no tener que hacer ningún tipo de sacrificio humano. Mientras avanzo por el paso de peatones me fijo en la cara del chofer. Suspiramos los dos a la vez. Cuando llego a la otra acera me doy cuenta de una cosa.



No quiero tanto a mi mujer.


[অনুবাদ- জয়া চৌধুরী]




Comments
0 Comments

No comments:

Blogger Widgets
Powered by Blogger.