সংশপ্তক: বাংলাসাহিত্যের সাথে প্রথম প্রেমের সুত্রপাত ঠিক কিভাবে
ঘটেছিল ?
মধুছন্দা: প্রথমেই
‘সংশপ্তক’ কে আমার
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ,
আমাকে এই বিভাগে
আমন্ত্রণ করার জন্য । বাংলাসাহিত্যের সাথে
প্রেমের শুরু সেই
কিশোরীবেলা থেকেই । পাঠ্যপুস্তকের বাইরে
প্রচুর গল্পের বই
পড়তাম । বাবা অফিসের লাইব্রেরীর
‘শিশু – কিশোর’ বিভাগে আমার
নামে একটা সদস্য
পদ নথিভুক্ত করে
দিয়েছিলেন । পাড়ার
লাইব্রেরীরও সদস্য পদ ছিল
। প্রতি
সপ্তাহে ওই দুই
গ্রন্থাগার থেকে দুটো
করে মোট চারটে
বই বাড়িতে আসতো। বাড়ির আলমারিতে শরদিন্দু
অমনিবাস , উপেন্দ্রকিশোর রচনাবলী ,
রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ , বিভূতিভূষণের
চাঁদের পাহাড় , সত্যজিৎ
রায়ের ফেলুদা সিরিজ ,
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের
ঠাকুমার ঝুলি - ঠাকুরদার ঝুলি
, আরব্যরজনী , ক্ষীরোদপ্রসাদ
বিদ্যাবিনোদের আলিবাবা , সুনীল
গঙ্গোপাধ্যায়ের কিশোর উপন্যাস
গুলো , বুদ্ধদেব গুহের
ঋভু দার গল্প গুলো ----
এমনতর প্রচুর বইয়ের
সংগ্রহ ছিল । জন্মদিনেও
অনেক বই উপহার
পেতাম আত্মীয় পরিজনদের
কাছ থেকে, বাবার
বন্ধুদের কাছ থেকে ,
গৃহশিক্ষক দের কাছ থেকে ।
সেগুলো বেশিরভাগই মনীষীদের
জীবনীভিত্তিক , রবীন্দ্র স্মৃতি
, বিবেকানন্দ স্মৃতি ,
নজরুল স্মৃতি ইত্যাদি ।
প্রেমেন্দ্র মিত্রের ঘনাদা
সিরিজ , নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদা
সিরিজ , ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের পাণ্ডব
গোয়েন্দা কতো বইয়ের
উপহারে বাড়ির বইয়ের
আলমারির তাক ভরে
থাকতো । বাড়িতে আমার জন্য
রাখা হতো , শুকতারা ,
কিশোর ভারতী , চাঁদমামা আর
অরণ্যদেব – ম্যানড্রেকের কমিকস । বাবা
নামকরা কিছু অনুবাদ
সাহিত্য কিনে দিয়েছিলেন ,
টিনটিন , চার্লস ডিকেন্স ,
মপাসার ছোটগল্প , শালক
হোমস , অগাথা ক্রিস্টি ,
তলস্তয় । ক্লাসের হোম ওয়ার্ক
শেষ করেই ওই
গল্পের বইগুলো গোগ্রাসে
গিলতাম । বাবা মা
কিন্তু তাতে একটুও
বকতেন না । বরং
পড়াশুনার পাশে এই
যে দেশি বিদেশি নানান
সাহিত্যের সাথে ক্রমশ
পরিচয় গড়ে উঠছে --
এটা তাঁরাও চাইতেন ।
সংশপ্তক: বাংলাসাহিত্যের নানান শাখাপ্রশাখা মধ্যে কাব্য
সাহিত্যের গুরুত্বের স্বরূপ ও তার বিবর্তন সম্বন্ধে আপনার অভিমত কি?
মধুছন্দা: বাংলা সাহিত্যে আমার জ্ঞানগম্মি কিন্তু খুবই সীমিত। দর্শন শাস্ত্র নিয়ে স্নাতকোত্তর করেছি। আমি বাংলা সাহিত্যের স্কুলশিক্ষক বা অধ্যাপক নই। নিজের আনন্দে বাড়ি বসে লিখি। তবে আমার মনে হয় শুধু বাংলা সাহিত্য কেন , প্রতিটি দেশজ ভাষার সাহিত্য ও বিশ্ব সাহিত্যেরই রয়েছে অনেক রূপ। আবার সেই রূপবৈচিত্রের মধ্যেও আছে নানান শ্রেণী। এই শ্রেণী বা শাখাপ্রশাখা ছড়িয়ে আছে সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায়। সেগুলোর স্থির বা সুনির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞা নেই। থাকা উচিতও নয় ।কাব্যসাহিত্য তো সাহিত্যেরই এক শাখা। কবি যখন তাঁর দেখার প্রজ্ঞা ও নিজস্ব আবেগে ঘোরের মাথায় লিখে ফেলেন তার সার্থক কবিতাটি -- সাদা পৃষ্ঠায় অক্ষরের সমন্বয়ে যেটা বেরিয়ে এলো। সেই সাদা পৃষ্ঠায় নিজেকে বা কোনও বিষয়কে স্থাপন করতে করতে কবি নিশ্চিত ভাবেই একসময় মনে করেন , তার ভেতর যেন এই শব্দকথনটিই এতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল। কবি তাঁর কলম বন্ধ করলেন। একটা কবিতার তাৎক্ষণিক জন্ম হল।কবিতার আকাশটাই তো বেজায় বড়। তাতে নিয়তই চলে পরীক্ষা - নিরীক্ষা , আধুনিক, উত্তর আধুনিক, পুনরাধুনিক কতো কি। এই বিবর্তন সমসাময়িক কবিতাকে আরও ঋজু ও মেধাবী করে তুলছে। সম্পূর্ণ নতুন কবিতার জন্ম দিচ্ছে।
সংশপ্তক: বাংলাসাহিত্যের ওপর বিশ্বসাহিত্যের প্রভাব অপরিসীম । আপনার নিজের লেখালিখির
মধ্যে এই প্রেরণার রূপ ও তার বিকাশের স্বরূপ সম্বন্ধে যদি আমাদের পাঠকদের অবহিত
করেন
মধুছন্দা : আপনার সাথে সহমত । বাংলাসাহিত্যের ওপর বিশ্বসাহিত্যের প্রভাব অপরিসীম।ব্যক্তিগত ভাবে স্বীকার করে নিই , আমি বিশ্বসাহিত্য যতটুকু পড়েছি সবটাই বাংলা অনুবাদে । পাঠ্যপুস্তকের বাইরে , অরিজিনাল ইংরাজি লিটারেচার টেক্সট তেমন পড়া নেই । সুতরাং আমার লেখালিখির ক্ষেত্রে অন্তত বিশ্বসাহিত্যের কোনও প্রেরণা ও প্রভাব একেবারেই নেই । ভাষাগত দিক দিয়ে আমি আদ্যন্ত বাঙালি । বাংলাতেই লিখি । কখনও লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকদের ফরমায়েশে ইংরাজি কবিতা ও হিন্দি কবিতাও লিখেছি । কখনও নামী কোন হিন্দি কবি বা ইংরাজি কবির কবিতার অনুবাদ । আবার অনেক ক্ষেত্রে , নিজের লেখা কোনও কবিতারই হিন্দি বা ইংরাজি অনুবাদ । ইদানিং মরাঠি ভাষাও কিছু রপ্ত করছি । ইচ্ছে আছে নিজেরই কোনও কোনও কবিতাকে মরাঠি ভাষায় অনুবাদ করবো । আমার নিজের লেখালিখির কথায় বলতে পারি , একজন লেখকের বা কবির লেখা প্রকাশের প্রথম হাতেখড়ি হয় সাধারন লিটল ম্যাগাজিনেই । আমিও তার ব্যাতিক্রম নই । আমার মনে হয় কবিতা বা গদ্য লেখনের যা কিছু নতুনত্ব তাকে লিটল ম্যাগাজিনই জারিত করে । আমিও একদম প্রথম থেকেই ওখানেই নিয়মিত মুক্ত গদ্য , কবিতা , নিবন্ধ , ভ্রমণ লিখে গেছি । এখনও নিয়মিত লিখি । সাথে সাথে প্রাতিষ্ঠানিক পত্রপত্রিকা গুলোতেও নিয়মিত লেখা চলছে ।
সংশপ্তক: আমাদের সাহিত্যসাধনায় সাধারন ভাবে পূর্ববর্তি লেখকদের প্রভাব
বেশি পরে। নাকি সমসাময়িকদের লেখকদের প্রভাব বেশি পরে বলে আপনার মনে হয় ? আপনার
নিজের লেখার ক্ষেত্রে কোন প্রভাব বেশি বলে আপনার নিজের মনে হয় ?
মধুছন্দা: সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা মুস্কিল। খুবই অল্প কয়েকজন। কলেজ জীবনে হয়তো কেউ কেউ ছিলেন, তো সময় পেরিয়ে পরবর্তী সময় কেউ কেউ। ওভাবে চিহ্নিত করা এখন সত্যিই মুশকিল। তবে আমার লেখাজোকায় আবিশ্যিক ভাবেই সমসাময়িক লেখক কবিদের প্রভাব আছে বলে আমার মনে হয়।
সংশপ্তক: এইবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি, বাংলা কাব্যসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের গুরুত্ব এবং আপনার জীবনে
সাহিত্যসাধনার যাত্রাপথে বিশ্বকবির ভূমিকা ঠিক কিরকম ?
মধুছন্দা: মুগ্ধতার ঘোরে আচ্ছন্ন করে রাখেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর লেখনী অগোচরেই ছায়া ফেলে। আমাদের মানসগঠনে, ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতায়। রবীন্দ্রকাব্যের নিজস্ব মৌলিকত্ব ও আবেদন আজও অটুট থেকে গেল এতো সময়কাল পার করেও। রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশতবছর, গীতাঞ্জলী প্রকাশের শতবর্ষ, সব পেরিয়ে আজও তিনি ‘আমার রবীন্দ্রনাথ’। আজও প্রাসঙ্গিক। খুব অল্প বয়স থেকেই রবীন্দ্রসংগীত চর্চার জন্য কবিগুরুর অনন্য সাহিত্যসম্ভার থেকেও রবীন্দ্রগানকে অনেকটা বেশি জেনেছি। অন্তরে মননে। যখনই হারমোনিয়াম নিয়ে বসি, গীতবিতান খোলা থাকে সামনে। আমি চোখ বুজে, প্রাণমন নিবেদনে তাঁর গানে বিভোর হয়েছি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র কবিতা আবৃত্তি ও গীতিআলেখ্যে ভাষ্যপাঠ করেছি। রবীন্দ্রনাথের নারীচেতনার স্বাতন্ত্র্যটিও চিরকাল।
সংশপ্তক: প্রবাসী বাঙালি হিসেবে
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সাহিত্যচর্চার ধারাটিকে আপনি কিভাবে প্রত্যক্ষ করেন?
মধুছন্দা ‘প্রবাসী
বাঙালি’
বলতে
ঠিক
যা
বোঝায়,
আমি
কিন্তু
ঠিক
সেই
অর্থে
প্রবাসী
বাঙালি
নই।
বছর
চারেক
হল
মুম্বই
মহানগরীতে
রয়েছি।
ফিরেও
যাবো
নিজ
বাসভূম
কলকাতায়। পশ্চিমবঙ্গ ও
কলকাতার
সাথে
যোগাযোগ
অক্ষুণ্ণ
রয়েছে।
বছরে
তিনবার
কলকাতায়
যাই।
জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী তো
প্রায়
পুরোটাই
থাকি।
ওই
সময়
‘ওয়ার্ল্ড পোয়েট্রি ফেস্টিভাল’, লিটল ম্যাগাজিন মেলা, বইমেলায় অংশগ্রহণ করি। ওই
অনুষ্ঠানে
কবিতাপাঠ
তো
থাকেই,
গতবার
বইমেলায়
‘মঁমার্ত মঞ্চ’ –এ একটি সান্ধ্য অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেছিলাম। কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ ও
বহির্বঙ্গের
প্রায়
অনেক
পত্রপত্রিকায়
লিখি। আমার
কাছে
মুম্বইতে
অজস্র
পত্রপত্রিকা
নিয়মিত
আসে।
বিশেষ
করে
আমি
যে
সমস্ত
পত্রপত্রিকায়
লিখেছি,
তারাও
সৌজন্য সংখ্যা
পাঠায়। আর ফেসবুকে সব
সাহিত্যর
খবরাখবর,
বন্ধুরা
কি
লিখছেন,
কার
কি
বই
প্রকাশিত
হচ্ছে,
ওয়েব
ম্যাগাজিনগুলির
খবর,
নানান
পত্রপত্রিকার
খবর
আপডেট
হয়ে
যাই।
সংশপ্তক: বিশ্বসাহিত্যের ক্ষেত্রে
কোন কোন দেশের সাহিত্য ও বিশেষ কোন কোন সাহিত্যিক আপনাকে মুগ্ধ করেছে ?
মধুছন্দা : বিশ্বসাহিত্য যেটুকু পড়েছি, সবই অনুবাদে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বিদেশী সাহিত্যের অরিজিনাল টেক্সট লিটেরেচার সেভাবে পড়া হয়নি। ফলতঃ অনুবাদ সাহিত্য থেকে যতটুকু ভালো লাগা আহরণ করা যায়। তবে মূল ভাষায় কোনও সাহিত্য রচনা পড়ার তো আলাদা আভিজাত্য আছেই।
সংশপ্তক: আধুনিক বাংলাসাহিত্য কোন কোন লেখক লেখিকাকে আপনার বিশেষ ভাল লাগে ?
মধুছন্দা: আমাদের বাংলা সাহিত্য তো রত্নগর্ভা। দুর্দান্ত তার সাহিত্য ভাণ্ডার। অনেক সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্মের প্রতি বিশেষ মুগ্ধতাবোধ রয়েছে। এখনও তাঁদের লেখা পেলেই গোগ্রাসে পড়তে থাকি। পূর্বতন ও বর্তমান মিলিয়ে অনেকেই প্রিয় সাহিত্যিক আছেন। সেভাবে বলা মুশকিল। কাকে ছেড়ে কার নাম বলবো ? তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকবে।
সংশপ্তক: ওপার বাংলার সাহিত্যের অগ্রগতি
সম্বন্ধে এপার বাংলায় আমরা বিশেষ ওয়কিবহাল নই। এ বিষয় আপনার অভিমত জানতে চাইছি।
মধুছন্দা: আমিও খুব একটা ওয়কিবহাল নই। ওপার বাংলার হাতে গোনা কয়েকজন সাহিত্যিকের লেখার সঙ্গে পরিচয় আছে।
সংশপ্তক: সাহিত্যের আঁতুড় ঘর লিটল
ম্যাগাজিনের বর্তমান পরিসর কতটা আশাবাঞ্জক আপনার কাছে ?
মধুছন্দা : আমার নিজের লেখালিখির মকশো করার প্ল্যাটফর্মও ওই লিটল ম্যাগাজিন। বহুকাল যাবৎ লিখছি। আলাদা পরিচিতি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বানিজ্যিক পত্রপত্রিকায় লিখলেও, পশ্চিমবঙ্গ ও বর্হিবঙ্গের বহু লিটল ম্যাগাজিনে এখনও নিয়মিত লিখি।
এখন ইন্টারনেটের বাড়বাড়ন্তের যুগে অনেক ওয়েব ম্যাগাজিনও প্রকাশিত হচ্ছে। ফেসবুকের মাধ্যমেই কতো নিত্যনতুন ওয়েব ম্যাগাজিনের হদিশ পাই। আশাব্যাঞ্জক অবশ্যই।
সংশপ্তক: আধুনিক
জীবনের গতি সর্বস্বতা সাহিত্যকে কি কোণঠাসা করে দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য অপ্রাসঙ্গিক
করে তুলবে বলে আপনি মনে করেন ?
মধুছন্দা: আমার মনে হয়, আধুনিকতার ধারনাটাই সময়ান্তরে বদলাতে থাকে। প্রায় প্রতিটি বিষয়ের মতো সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। দেশ - কাল - সময় - পারিপার্শ্বিকতার চলমানতার মধ্যে জীবনের গতি সর্বস্বতাও মাত্রায়িত হতে থাকে। এই বিশ্বায়নের যুগে পারিপার্শ্বিকের বাস্তবতার বদল হচ্ছে ঠিকই। লেখক/কবিদের অন্তর্জগতেও তো কতরকম পালাবদল চলছে। তাই বলে সাহিত্যের রাজত্ব তো শেষ হয়ে যায়নি। না হলে একেকটা বইমেলায় এতো এতো বই প্রকাশিত হত না। বইয়ের বিক্রিবাটাও হতো না।
যান্ত্রিক অগ্রগতির ও প্রযুক্তির গতি বদলের ফলে সাহিত্য যে আমজনতার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থেকে কিঞ্চিত সরে আসছে, সেটা বলা ঠিক হবে না। বাজারে প্রচুর পত্রপত্রিকা বেরোচ্ছে। প্রচার মাধ্যম এখন অনেক বেশি শক্তিসালি। অতএব একটা নতুন সাহিত্য পত্রিকা বা বই সৃষ্টি হল, অথচ পাঠকের কাছে পৌছনোর সুযোগই হল না, সেই দিন আর নেই।
সংশপ্তক: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সাহিত্যের
কাছে আপনার প্রত্যাশা ও দাবি কি ?
মধুছন্দা : আমি কিন্তু এই প্রজন্মরই অধিবাসী। আমি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সাহিত্যের কথা কি বলতে পারি ? আমার প্রত্যাশা বা দাবি করাও সাজে না। নিজে যখন কিছু লিখতে শুরু করি, তারপর যখন সেই লেখাটা শেষ হয়ে যায় --- তখন সেই মুহূর্তে অন্তত নিজেকে বেশ পরিপূর্ণ মনে হয়। গদ্য ভ্রমণ কবিতা নিবন্ধ ছোটোগল্প ---- যাই লিখিনা কেন, কিছু একটা লেখার বাস্তবিক অনুভূতিটা মনে বড়ো তৃপ্তি এনে দেয়। ওটা কিন্তু ঠিক ততক্ষণই, যতক্ষণ না পরবর্তী আবারও একটা লেখায় হাত দিচ্ছি।
Thanks Songsoptak
ReplyDelete