প্রেমিক
দৃশ্যাবলী নয় ফেড হয়ে যাচ্ছে
আমিত্ব অভিমানে
উত্তয়াধুনিক ভাষ্যে পিছিয়ে পড়া
গায়ে মাখতাম না
যদি...
সহজ শূন্যস্থানে প্রবল
ঝঞ্ঝাবাত্যা ভরে উঠছে সেরে উঠছে
মায়োপিক চাওয়ার
অসুখ
সব ব্যস্ত ইদানীং চেনায়
অল্পচেনায়
ফিরে আসা নেই ‘দু মিনিট পর
আসছি’ বলে
কারুর
আমি বসে থাকি বসে থাকি বসেই
থাকি
সারসার ফেলে রাখা কাজএর তাজ
মাথায়
নিষ্কর্মাবতারের তিনশো
সাতান্নতম এডিশান
ঝুল ঝেড়ে খুলে বসি তেপান্তরের
ইনফ্যাচুয়েশান
ঝরঝর বয়ে যেতে দি
অ্যাড্রিনালিন
ক্যাথারসিস শেষে একলা দুনিয়ার
শ্লোগান মুখরিত নাবাঁচা
কাঁধে থুতনি ঘষে কামড়ায় কানের
লতি
সেই আদি অকৃত্রিম চিরন্তনের
এঁটুলি প্রেমিক
উত্তর
না হয় ব্ল্যাংক এসএমএসই দিলে
পেলাম খানিক অভিমান
না হয় চুপকথাটি বোলো
শ্বাসের ওঠাপড়ার ঘাতে
আমি কুড়িয়ে বেড়াই তোমায়
তোমার অভিব্যক্তি তল
তোমার এমনি এমনি থাকা
আমার আকাঙ্ক্ষা জল ছেনে
তুমি স্বতন্ত্র মন ,
জানি
কিছু এদিক সেদিক ভাবো
আমার অ্যান্টেনাতে কাক
ভ্যাবলা নাবুঝ ইশারাতে
তোমার মন্দ ভালোর ঠিকা
আমার সাধের হরলিক্স
প্রেম দিব্যি বাড়ছে দেখো
খেয়ে তোমার কমপ্ল্যান
তুমি থাকছ যোগে ভাগে
আমার অঙ্কে গোঁজামিল
ঠিক মিলিয়ে দেবো শেষে
বেবাক উত্তরেতে তুমি
শান্তি
একটি ডাকের লোভেই না হয় থেকে
যাওয়া যেত
মৃদু রিনরিন কবেকার চাওয়া পেয়ে
হারানোর
সে ডাক আমার কিছুকাল জুড়ে
আত্মখননে
ভাসালো ডোবালো তোর ফিরে আসা
জন্মে আবার
ডাকটির মোহে ক্ষণজন্মের সিঁড়ি
চিনে গেছি
ধাপে ধাপে আরও জড়িয়ে মরিয়ে
কষ্টের ফেরা
ডাকবিনা তুই ঐ নামে আর কেন বা
ডাকবি
আমিতো তেমন ছুঁতেই পারিনি
মনমানি তোর
একটি হারালে আরেকটি হোক খুব
কাছাকাছি
জিন তত্বের আকর হাতড়ে বুক
বেঁধে গেছি
বদলের ডাক মুখ ফেরানিয়া দুখ
দিতে পারে
পাঁক ঘেঁটে শেষে উপলব্ধির চূড়ান্ত
পাওয়া
দেখনদারির পোশাকি মাত্রা না হয়
পড়িনি
তিন চার গতে ফেলে ফেলে আসি
মায়া অধিকার
ভিতের আড়ালে গুম খুন ঘরে নাও
আমাকে
শান্তি দাও গো সর্বসহা বসুন্ধরা
[শর্মিষ্ঠা ঘোষ]