>
>>
  • SriSuvro
  • >>
  • VERA DROZDOVA
  • >>
  • TILOTTAMA BOSE
  • >>
  • THADDEUS HUTYRA
  • >>
  • SUTAPA KHATUA
  • >>
  • SUMANA BHATTACHARJEE
  • >>
  • STEPHEN STONE
  • >>
  • STACIA LYNN REYNOLDS
  • >>
  • SOUMYA SEN SARMA
  • >>
  • SIAMIR MARULAFAU
  • >>
  • SHARMILA DASGUPTA
  • >>
  • RUMA CHAKRAVARTI
  • >>
  • ROULA POLLARD
  • >>
  • RINITA MAZUMDAR
  • >>
  • RIMI PATI
  • >>
  • RANIA ANGELAKOUDI
  • >>
  • PRERNA SINGLA
  • >>
  • PHILLIP
  • >>
  • PAPIA ROY
  • >>
  • NUPUR LAHIRI
  • >>
  • NILANJANA BANERJEE
  • >>
  • NANDITA SAMANTA
  • >>
  • NANDITA BHATTACHARYA
  • >>
  • MITRA GHOSH CHATTOPADHYAY
  • >>
  • MITA CHAKRABORTI
  • >>
  • MICHAEL MILLER
  • >>
  • MASSIMILIANO RASO
  • >>
  • MARY SCULLY
  • >>
  • MARY L PALERMO
  • >>
  • MARIETA MAGLAS
  • >>
  • MANISH MITRA
  • >>
  • LaDean Birkhead
  • >>
  • KOLPITA BASU
  • >>
  • KALYAN MUKHOPADHYAY
  • >>
  • JYOTI BISWAS
  • >>
  • JULIE ANNA
  • >>
  • JAYANTHI SEN
  • >>
  • GITA ASSEFI
  • >>
  • EFTICHIA KAPARDELI
  • >>
  • DEBORAH BROOKS LANGFORD
  • >>
  • CLIFF GOGH
  • >>
  • CHRYSSA VELISSARIOU
  • >>
  • BRITTA HOFFMANN
  • >>
  • BENEDICTA RUIZ
  • >>
  • ASIM RANJAN PATI
  • >>
  • ARONI
  • >>
  • ANURADHA BHATTACHARYYA
  • >>
  • ANTORA
  • >>
  • ANNA ZAPALSKA
  • >>
  • ANINDA GHOSH
  • >>
  • ANCHITA GHATAK
  • >>
  • ANCA MIHAELA BRUMA
  • >>
  • AMRITA KANGLE
  • >>
  • ADRIJ
  • >>
  • SUBHODEV DAS
  • >>
  • MARY SCULLY
  • >>
  • LIPIKA DEY
  • >>
  • CHRYSSA VELISSARIOU
  • মৌ দাশগুপ্তা






    সংশপ্তক: মানুষের সমাজ ও সভ্যতায় ট্রেন ও বিদ্যুৎ শক্তির আবিষ্কারের মতোই এক যুগান্তকারী ঘটনা ইন্টারনেট প্রযুক্তির বিকাশ। যার হাত ধরে উত্থান সোশ্যাল মিডিয়ার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই নবতম উপহারের সাথে আপনার পরিচয়ের সূত্রপাত সম্বন্ধে যদি একটু আলোকপাত করেন!

    মৌ দাশগুপ্তা:  বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমাদের যোগাযোগের সুলভ ও সহজতর মাধ্যম হল ইন্টারনেট প্রযুক্তিআমার সাথে  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই নবতম উপহারের পরিচয়ের সূত্রপাত সর্ব জ্ঞানের আকর গুগলের মাধ্যমে। সময়টা আন্দাজ ১৯৯৭র মাঝামাঝি। রাউরকেলা এন আই টিতে সবে পি এইচ ডির বিষয় নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। ওদিকে বাড়ীতে মাস সাতেকের ক্ষুদে বাচ্চা, স্বামী স্ত্রীর ছোট্ট সংসারের গুচ্ছের কাজ সামলে প্রতিদিনের বি টেক, এম এস সি স্টুডেন্টদের জন্য কেমিস্ট্রি ক্লাশের নোটস তৈরী, লাইব্রেরী ওয়ার্কের সময়ই পেতাম না। তখনই আমার কর্তামশাই ঘরে বসে লিটারেচার সার্ভে জাতীয় লাইব্রেরী ওয়ার্ক সারার এক নতুন বিকল্প পথের সন্ধান দিলেন। ইন্টারনেট সার্ফিং। সেই শুরু।তারপর মেইলিং, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, ব্লগিং আরো কত কি।এখন সত্যি বলতে কি ফেসবুক, ফ্রপার, ট্যুইটার- শব্দগুলো আমাদের জীবনে যেন পাড়ার গুলতানির মজলিশ, আড্ডা দেবার রক, আনন্দবাজার, স্টেটসম্যান , মুড়ি- সিঙ্গারা -চা, PNPC মতনই  রোজকার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ  হয়ে উঠেছে বিগত কয়েক বছরেই

    সংশপ্তক: মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্যোশাল মিডিয়ার মতোন এমন শক্তিশালী মাধ্যম আবিষ্কৃত হয় নি আগে। এই যে গোটা পৃথিবীটাই প্রায় আপনার হাতের মুঠোয়; এই বিষয়টি আপনাকে কতটা প্রভাবিত করে?

    মৌ দাশগুপ্তা: দেখুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলাটাই মানুষের ধর্ম। দিন যতই এগোচ্ছে, মানুষও ততই আধুনিক হচ্ছে, আর তাই ... আর ইন্টারনেটের চাহিদা হবে নাইবা কেন৷ হাতের মুঠোয় যদি পৃথিবীটাকে ধরে রাখা যায়, তবে কেমন হয় বলুনতো? ... মানেটা খুবই সহজ, জ্ঞানের ভান্ডার  Google..  সাহায্যতে  এনিটাইম প্রস্তুত; তারপরেই  আছে একাকীত্বের হাত  থেকে  বাঁচার উৎকৃষ্ট  সমাধান; ফেসবুকে ফেস লুকিয়ে বকবকম করো..., কি টুইটারে  টুইট  করে যাও নিজের কথা, ইমেল, চ্যাট, হাইক কি স্কাইপে দিয়ে সুদূর প্রবাসীচোখের নাগালের বাইরে থাকা, আত্মীয়স্বজন -বন্ধুবান্ধবীদের সাথে যোগযোগ করাটা তো এখন বাম হাতের খেল। ইন্টারনেট, যন্ত্রজাল বা আন্তর্জাল যাই বলি না কেন তার সাথে আমার হাতেখড়ি প্রায় দু দশকের। ফলে এ বেড়াজালে আমিও আছি। তারপর ধরুন, যদি আপনি সঙ্গীতপ্রেমী বা কলাপ্রেমী  হন তাহলেও তো জীবনের অনেকটা ঘিরেই ইন্টারনেট ।  আন্তর্জালে ইউ-টিউবের মত  উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কত অনামা সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, বাচিক শিল্পী, অভিনেতা- অভিনেত্রীরা পৃথিবীর আনাচেকানাচে বিনি-পয়সায় প্রচারের আলো দেখতে পাচ্ছে। আজ আমরা অণু পরিবারের সদস্য হলেও আদতে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক আমাদের সামাজিক পরিবারকে একান্নাবর্তী করে তুলেছে । শুধু বোতাম টিপতে জানলেই হল ,অল্প স্বল্প পড়তে জানলেই হল – – ব্যাস ! পৃথিবী হাতের আঙুলে ! ইউ- টিউবে গান শুনছি , সিনেমা দেখছি , খেলা দেখছি , রান্না শিখছি, ছবি আঁকছি, লিখছি, পেপার, বই,জার্নাল ম্যাগাজিন পড়ছি.অনলাইন শপিং করছি, গপ্পাচ্ছি, আড্ডা দিচ্ছি ভাবা যায়! তাছাড়াও আমাদের হাতে আছে বিভিন্ন চ্যাটসাইট ভিডিও কনফারেন্স,‌ -মেইল, ইন্টারনেট টেলিফোন আরও কত কি...সত্যিই, ইন্টারনেট আমাদের সারা দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।

    সংশপ্তক: মানুষের সৃষ্টিশীলতা সৃজনশীলতার বিকাশের ক্ষেত্রে এই সোশ্যাল মিডিয়া সম্পূ্র্ণ একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। যা এক কথায় অভুতপূর্ব! আগে নির্দিষ্ট কিছু মাধ্যমের ছাড়পত্র না পেলে আপন প্রতিভা প্রকাশের কোন উপায় ছিল না বললেই চলে। কিন্তু এখন যে কেউ তার সৃষ্টিশীল সৃজনশীল শক্তিকে বিশ্বের দরবারে নিজেই হাজির করতে পারছে। এই বিষয়টি আপনি ঠিক কি ভাবে দেখছেন?

    মৌ দাশগুপ্তা: উত্তর দিতে দিতে ভাবছি, ইন্টারনেট নিয়ে বলতে বসে নিজের অজান্তে নেটের উইকিপিডিয়ার জ্ঞানভান্ডার খুলে বসিনি তো ! শিল্প-কলা-কৃষ্টির সাথে ইন্টারনেটের সারা পৃথিবী জুড়ে একটা বিশাল ভূমিকা আছেআমি ব্যক্তিগভাবে এই সোশ্যাল মিডিয়াকে আমার রোজকার খবরের নিজস্ব সূত্র, পড়ার লাইব্রেরী, আমার অভিধান, আমার জানা না জানা তথ্যের অফুরান ভান্ডার হিসাবে ব্যাবহার করে চলেছি এখনো ... আপনিও আপনার যাবতীয় তথ্য সবার কাছে শেয়ার করতে পারবেন। বিজ্ঞানী বা গবেষকরা তাদের সকল কিছু সবার মাঝে শেয়ার করে মানুষের কল্যাণের জন্য,  যেটা শেয়ার করার প্রক্রিয়া খুব সহজ। একজন কলাশিল্পী সশরীরে হাজির না থেকেও ডিজিটালি উপস্থিত থাকতে পারেন  তার ছাত্রছাত্রীর সাথেঅনলাইন চ্যাট ও ভিডিও-কলের সাহায্যে । তার  অনুষ্ঠানের প্রোমোগুলি প্রচার করতে পারেন সহজে । কত অজানা মানুষের  ফিডব্যাক পেতে পারেন বিভিন্ন সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইটে... আপনি খুঁজতে পারেন বিভিন্ন ধরনের চাকরি। পড়তে পারেন বিভিন্ন বিভিন্ন ভাষায় বা বিভিন্ন দেশের বইপত্র , ম্যাগাজিন, রিসার্চ পেপার।ফলে বিভিন্ন লেখক লেখিকা. প্রকাশক সংস্থা,সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত  সংস্থাগুলি তাদের প্রচার, প্রকাশ ও প্রকল্প রূপায়নের জন্য বেছে নিচ্ছেন এই সোশ্যাল মিডিয়াকে।এখান থেকেই  আপনি জানতে পারেন লেটেস্ট ফ্যাশন ট্রেন্ড, পেতে পারেন দেশবিদেশের রান্নার টিপস, বিউটি টিপস।ফলে বিভিন্ন লোক যারা এই রান্নাবান্না বা বিউটিশিয়ান কোর্স নিয়ে কাজ করেন বা জীবিকা নির্বাহ করেন তারা এই সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজেদের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করেন। তাই এই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একাধিক অনলাইন ট্রেডিং, অনলাইন কাউন্সেলিং, অনলাইন টিউশন বা স্টাডি বাড়ী বসে আপনাকে সব সুবিধা লহমায় হাতের নাগালে এনে দিচ্ছে এই সোশ্যাল মিডিয়া...এর জন্য আপনাকে না কোন অ্যাড কোম্পানীকে টাকা দিতে হচ্ছে না দোকান খুলে বসতে হচ্ছে না নিজের গাঁটের পয়সায় এজেন্ট নিয়োগ করে লোকের সামনে নিজের পুঁজিকে সাজিয়ে গুছিয়ে পেশ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে আপনিও ঘরে বসে মাউস ক্লিক করলেই পেয়ে যাচ্ছেন ঈপ্সিত খবর, তথ্য, জিনিষপত্র বা যোগাযোগের সাধন।এখন দেখুন, এ আমার নিজস্ব ধারণা, সব জিনিষেরই ভালো মন্দ দুটো দিক আছে। ভালোরা পাল্লাভারী নাকি মন্দরা. আপনিই কিন্তু সে ব্যাপারে শেষ কথা বলবেন।

    সংশপ্তক: এই প্রসঙ্গেই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের বিচলিত করে। আগে প্রতিভা বিকাশের কোন না কোন একটি মাপকাঠি ছিল। কিন্তু আজকে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে যে কেউ নিজেকে কবি সাহিত্যিক সংগীতশিল্পী বলে প্রচার করতেই পারেন। এবং বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনদের প্রশংসায় এই ভাবে মধ্যমেধার বাড়বারন্ত শিল্পসংস্কৃতির পক্ষে কতটা স্বাস্থ্যপ্রদ বলে আপনার মনে হয়?

    মৌ দাশগুপ্তা: খুব ভয়ঙ্কর প্রশ্ন। উত্তর দিতে গেলেও মুশকিল আবার চুপ করে থাকতেও মন সায় দিচ্ছেনা। এটা খুব সত্যি কথা যে আজকে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তৈরী হয়েছেঅনলাইন সাহিত্যতাতে নিতান্ত মুখচোরা লাজুক না হলে যে কেউ নিজেকে কবি সাহিত্যিক সংগীতশিল্পী বলে সদম্ভে জাহির করতেই পারেন। কেননা আজকের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-র দৌলতে মোটামুটি সবাই স্বঘোষিত সাহিত্যিক, শিল্পী, কলাপ্রেমী ও সংস্কৃতির ধ্বজাধারী। আমিও সেই দলের, তাই নিজের মত করে একটু বুঝিয়ে বলি। । সাহিত্য কি নানান মাধ্যমে থাকে না? এখন সাহিত্যধারার নুতন ধারাটি হচ্ছে অনলাইন সাহিত্যঅনলাইনে সাহিত্যচর্চা সাধারণত ব্যক্তিপর্যায়েই হচ্ছে। এটা একধরনের নিজের ঢাক নিজে পেটাও গোছের দাপুটে আত্মপ্রকাশ। নোট বা স্ট্যাটাস হিসাবে প্রকাশিত প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, তাৎক্ষণিক ঘটনার উপর রিএ্যাকশন, চুটকি, ছবি, বার্তা ইত্যাদি।যা দিয়ে যে কেউ নিজেকে প্রাবন্ধিক, কবি, গল্পলিখিয়ে, সমসাময়িক সাহিত্যমনস্ক বলে জাহির করতেই পারেন তার জন্য কোন বিশেষ লেখনীগত বা সঠিক ভাবপ্রকাশ সম্পর্কিত যোগ্যতার দরকার পড়ে না, দরকার পড়ে না যিনি লিখছেন তার বানান, যতিচিহ্ন, নত্ব-বিধান, ষত্ব-বিধান সম্পর্কে কোন জ্ঞান আছে কিনা তা যাচাই করার, এমনকি সেটি কোন অন্যলোকের লেখা থেকে টুকলি করা কি অন্যভাষায় ইতিমধ্যে প্রকাশিত কিছুর আক্ষরিক বা ভাবানুবাদ কিনা সেটা দেখে নেবার দরকারও পড়েনা। শুধু লাইক আর কমেন্টের সংখ্যা দেখে বিচার করে নেওয়া যায় তার খ্যাতি বা পরিচিতি কতটা। অনেকসময়েই মন্তব্য, পাল্টামন্তব্য, ভিতর দিয়ে অনেক চমৎকার বিষয় যেমন উঠে আসে, তেমনি বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, ফলোয়ারদের বা বিষয় অনভিজ্ঞ পরিচিত গন্ডীর লোকজনদের না বুঝেসুজে করা লাইক বা কমেন্ট দিয়ে মানুষটির সত্যিকারের সৃজনশীলতার স্বভাবজাত বিকাশও দারুণ ব্যাহত করা হয়। লেখার সাবাসি করে গেলেই কিন্তু লেখার মান বড়েনা। গঠনমূলক সমলোচনায় কিন্তু ভুলত্রুটি গুলোই বেশি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়। যাতে সংশোধনের মধ্য দিয়ে পরবর্তী লেখার মান বাড়ে।যেটা এই মেকি সাবাসি বা লাইক কমেন্টের ঝড়ে হারিয়েই যায়। খাপের সাইজে তলোয়ার বানানো চলছে। এতে ব্যাক্তিগত ক্ষতির থেকেও বেশি ক্ষতি হয় সাহিত্যের। কোয়ান্টিটি আর কোয়ালিটি এই টার্মদুটো চিরকালই ব্যাস্তনুপাত মেনে চলে। অর্থাৎ সাহিত্যের সবধরনের ফর্মের জন্য এই পাটাতন তেমন কাজের কিছু নয়। কেবল কিছু স্ট্যাটাস আর লাইক বা কমেন্ট নামধেয় বস্তুগুলি দিয়ে সাহিত্যে সার্বিকভাবে ইতিবাচক অভিঘাত তৈরি করা কি সম্ভব? তাই জনান্তিকে বলে নিচ্ছি, অহেতুক হস্তক্ষেপ থেকে শুরু করে হাততালি বা গলাধাক্কা , বাকতোষণ থেকে খবরদারি এসবকিছুর জন্যই দায়ী মধ্যমেধার এহেন বাড়বাড়ন্ত, আর তা কোনভাবেই শিল্পসংস্কৃতির পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়।।

    সংশপ্তক: আবিশ্ব বিভিন্ন সংস্কৃতিকে পরস্পরের আরও কাছে নিয়ে আসতে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুমিকা কতটা শক্তিশালী হতে পারে?

    মৌ দাশগুপ্তা: সারাদিনে মনে আসা ছাপ্পান্নো ভোগের মত অনুভূতিকে যেকোনো মুহূর্তে গুচ্ছের লোকের সামনে তুলে ধরার চটজলদি পথটা খুলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মানছি ইন্টারনেট আমাদের সারা দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।আমরা মাউস ক্লিক করেই লহমার মধ্যে জেনে নিচ্ছি দেশবিদেশের খবর, সাহিত্য সংস্কৃতি, লোকজ শিল্প, আচার বিচার, রীতি নীতি।কিন্তু বাস্তবে প্রযুক্তির দৌড় এতটাই বেড়ে গেছে যে ঘরে বসেই আমরা নিজেরাই নিজেদের গিনিপিগ বানাতে বাধ্য হচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গোটা দুনিয়াজোড়া হিউম্যান ডেটাবেস তৈরি করছি তো আমরাই। আজ একটা মানুষকে নিয়ে জানতে চাইলে তার প্রোফাইলে গিয়ে আধঘন্টা সময় কাটালেই আমরা  তার বিশ্বাস অবিশ্বাস অভ্যাস অনভ্যাস -পছন্দ অপছন্দ- সমস্ত খুঁটিনাটি যখন অনায়াসেই জানতে পারছি, তখন আবিশ্ব বিভিন্ন সংস্কৃতিকে জানা , অনুভব করা ,বা আত্মস্থ করাটা কোন ব্যাপারই নয়। কিন্ত সেটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুরু করাটা যে কোন প্রকল্পের শিলান্যাসের মত নিতান্ত মামুলি ঘটনা অথচ প্রাথমিক স্তরে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এর শুভারম্ভ না হলে কিন্তু যৌথ বা সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। ফলে দলগত অনুশীলন করলে বোধহয় সোশ্যাল মিডিয়া স্থানীয় পরিসরে এই আবিশ্ব সাংস্কৃতিক যোগাযোগের জন্য  মতাদর্শিক অথবা নান্দনিক স্পেস হয়ে দাঁড়াতে পারে

    সংশপ্তক: সোশ্যাল মিডিয়া স্বভাবতঃই সমাজ দর্পনের ভুমিকায় একটি কার্যকরী মাধ্যম। আমাদের বাঙালি সমাজের প্রেক্ষিতে এই দর্পনের বর্তমান প্রতিচ্ছবিটি কতটা আশাব্যঞ্জক আপনার কাছে?

    মৌ দাশগুপ্তা: সোশ্যাল মিডিয়া স্বভাবতঃই সমাজের মূলধারাবা মেইনস্ট্রিমের সঙ্গে ব্যক্তিবিশেষের প্রতিবাদী, প্রতিরোধী অথবা পরিপোষক অবস্থান জিইয়ে রাখার সুযোগ করে দিয়েছে; সেই সঙ্গে যন্ত্র আর মানুষের মিথস্ক্রিয়াকে আকর্ষণীয় উপায়ে ফুটিয়ে তুলছে। এর প্রতিদানে আমরা এই সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো বা মন্দ প্রতিবর্তের কতটুকু নেব আর কতটুকু নেবনা (বা বলা ভালো নিতে পারবোনা) তার হিসাবনিকাশ  দরকার  আছে। যেকোনো পড়াশুনো, লেখালেখি, শিল্পকলার অনুশীলন বা নীরস রিসার্চের কাজে সাহায্য পেতে পারি এই মিডিয়ার। সংবাদ, তথ্য, যোগাযোগ, এমনকি  ব্যবসা-বানিজ্য, বিনোদন ইত্যাদি অনেক কিছুর জন্য মানুষ এখন সোশ্যাল মিডিয়া-র উপর নির্ভরশীল।এমনকি আজকের সমস্যাসঙ্কুল জীবনের স্ট্রেস কি স্ট্রেণ খানিকটা সময়ের জন্য হলেও দূরে সরিয়ে হালকা হওয়ার জন্য অথবা মন খারাপের সমস্যা বা মাঝে মাঝে একটু আধটু দুঃখ-কষ্ট ভুলবার জন্য,একাকীত্ব কাটাতে, সোশ্যাল মিডিয়াই বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে কাজ করে। তবে আলোর পিছনে যেমন থাকে অন্ধকার তেমনিই কিছু অপকার তো হচ্ছেই  সমাজের যখন শুনি মোবইলে ক্লাসের মধ্যে ছেলেমেয়েরা ফেসবুক খুলে আপডেট দেখছে বা টিফিন টাইমে টিফিন না খেয়ে তথাকথিত নিষিদ্ধ ভিডিও দেখছে ইউটিউবে, তখন দুশ্চিন্তা হয় বইকি ! এই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই রাজনৈতিক নেতা নে্ত্রীরা, ধর্মগুরু, ফিল্মস্টার বা অন্যান্য সব সেলিব্রিটিরা জনতার দরবারে পৌঁছচ্ছেন, জনসংযোগ করছেন, আমরা অর্থাৎ আম জনতার দল তাতে ধন্য হয়ে যাচ্ছি।  রোজকার খবর ও তার প্রতিক্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়াতেই পাচ্ছি। নামী কোম্পানীরা প্রোডাক্টের সার্ভে করছে বা বিক্রিবাটা বাড়াচ্ছে এই সোশ্যাল মিডিয়ার টোপ ফেলেই। এদের  দৌলতেই পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে অধ্যাপককে, রাস্তায় পড়ে থাকছে কোন এক দিদির প্রতিবাদী ভাই,কোন রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বলি বা কোন প্রতিবাদী ব্লগারের রক্তাক্ত মৃতদেহ। রাজনৈতিক মেরুকরনের অবাধ সমীকরনে স্কুল-কলেজ, মিটিং-মিছিলে ছড়াচ্ছে সন্ত্রাস, ‘আমরা ওরা’- র রাজনীতি। আগুনের শিখায় কৃষ্ণদর্শন, বেঢপ সাইজের আলুতে গজানন দেখা, সদ্য কাটা বেগুনের বীজে কোরানের পবিত্র অক্ষরলিখন, এসব মামুলী ব্যাপার-স্যাপার থেকে মৌলবাদী জঙ্গিদের দ্বারা ধৃতবন্দীদের মুন্ডচ্ছেদ, সাম্প্রদায়িক হুমকি থেকে পণবন্দীদের ওপর অত্যাচার কিংবা ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে মহিলা ও শিশুদের ওপর নারকীয় নির্য্যাতন,সবই চোখের দেখা দেখা যায় এই সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত।অনেকের বিকৃত রুচিই প্রযুক্তির সাহায্যে বিকৃতরূপ নিচ্ছে। তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব রোজই পড়ছে আধুনিকের জীবনযাত্রায়।  আর এ যে শুধু গুরুগম্ভীর আঁতলামি বা আগাপাস্তালা ফোঁপরা জ্ঞানদানের গন্ডীতে আটকে না থেকে আমাদের বাস্তবজীবনেও ছায়া ফেলছে তা বলাই বাহুল্য। তবে কিনা ঐ যে বলে আশায় বাঁচে চাষা। তেমনি হাজার নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট থাকা স্বত্বেও আশায় আছি সোশ্যাল মিডিয়া নামের সমাজ দর্পনে একদিন না একদিন আজকের সাদাকলো স্বপ্নেরা রং ধরাবেই।

    সংশপ্তক: একথা আমরা সকলেই জানি, ইংরেজী ও হিন্দীর দূর্দমনীয় প্রভাবে আমাদের দৈন্দিন জীবনচর্চায় ভাষা হিসেবে বাংলার প্রাসঙ্গিকতা দ্রুতহারে ক্রমহ্রাসমান। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার অভূত্থানে বাংলা ভাষার পুনরুজ্জীবনে কি কোন আশার আলো চোখে পড়ছে আপনার?

    মৌ দাশগুপ্তা:  একেবারেই না। সোশ্যাল মিডিয়ার অনেকটাই লিখন মাধ্যম। তাতে বাংলা বানান ব্যাপারটাই ঘেঁটে ঘ হয়ে যাচ্ছে। একটা উদাহরণ দিই। বারি(জল), বাড়ি (আঘাত, ঘা মারা), বাড়ী (ঘরবাড়ী), তফাৎ ক’জন মানছেন? QUEEN এর বাংলা প্রতিশব্দ রানি, রাণি, রানী না রাণী? নত্ববিধান খুব কষ্ট করে পড়েছিলাম, এখন এই বিকট বানানগত অত্যাচারে সব ভুলতে বসেছি। ষত্ববিধান না হয় ছেড়েই দিলাম। অপভ্রংশ আর অপনিহিতি এই দুটোর যা চর্চা দেখছি, আমার তো চক্ষু চড়কগাছ। তবে হ্যাঁ, মিথ্যে বলবোনা। সাহিত্যপ্রেমী বাঙালিরা আজকাল অনলাইনে ছড়া-কবিতা-গল্প লেখালেখি ইত্যাদি নিয়ে ভীষণভাবে মেতে আছে। পড়ছে, লিখছে, চর্চায় আছে। এটা অবশ্যই স্বাগত, তবে কিনা বাংলা খুব সমৃদ্ধ ভাষা হলেও ব্যাকরণহীন ভাষাচর্চা কতটা ফলপ্রসূ সেটা আবার আমার জানা নেই।

    সংশপ্তক: আমাদের এই দ্বিখন্ডিত বাংলায় কাঁটাতারের দূরত্ব ঘুচিয়ে দুই পারের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও প্রীতির সম্পর্কের উন্মেষ ঘটিয়ে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষকে পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে আসার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে আপনার মনে হয়।

     মৌ দাশগুপ্তা: কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ‘এপার বাংলা - ওপার বাংলা’ বানানোটা তো রাজনীতির দান আমরা সাধারন মানুষ ওসব জানিনা। আমাদের একটাই পরিচয়, আমরা বাঙালি, আর আমরা সবাই বাংলাতেই কথা বলি। ব্লগ থেকে ফেসবুক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার যেখানেই যাই না কেন দেশকালের গন্ডী ভেঙে আমি বাঙালিআমরা.বাঙালি বাংলাভাষার টানেই আমাদের দুই বাংলার মানুষদের মাঝে তৈরী হয় একধরনের মিলনাত্মক বোঝাপড়া।যা আমাদের এক ভারচুয়্যাল পরিবারের সদস্য করে তোলে, আপন-পরকে পারস্পরিক সখ্যতা, সৌভ্রাতৃত্ব, বা নাম না জানা এক বিশ্বাস, এক ভরোসার সম্পর্কে জড়ায়।  দেশহীন দেশেরও এক ঠিকানা আছে, সীমানাহীন সম্পর্কেরও এক পরিচিতি আছে। তাতে নাম, ধাম, ধর্ম, পারস্পরিক দুরত্ব, সামাজিক শ্রেণীবিভাগ বা রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রভাব হয়ত বা ফেলতে পারে কিন্তু নষ্ট করতে পারবেনা বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

    সংশপ্তক: মানুষের ইতিহাস জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে দাঙ্গা, রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে সংঘর্ষের ইতিহাস। সোশ্যাল মিডিয়ার এই উত্থান কি সেই ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে দিয়ে আবিশ্ব মানুষকে জাতি ধর্ম সম্প্রদায়ের উর্ধে উঠে একটা মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারবে বলে মনে হয় আপনার?

    মৌ দাশগুপ্তা:  ‘মানুষের ইতিহাস জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে দাঙ্গা, রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে সংঘর্ষের ইতিহাসকথাটা ভীষণ রকমের সত্যি। মানুষের আদিমপ্রবৃত্তি প্রায়শই নখ দাঁত বার করে বুঝিয়ে দেয় আমাদের পিতৃপুরুষদের কোন উত্তরাধিকার আমরা রক্তে বয়ে নিয়ে চলেছি।কি্ন্তু সময়ের সাথে বয়ে আসা মানবিক মূল্যবোধ, মনের সৃজনশীলতা, নান্দিকতা, চারুশীলতা এসব মানতে পারে না। সোচ্চারে না হোক অনুচ্চারে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। মনের চিন্তা ভাবনা অনুভূতিরা তখন তৈরী করে নেয় এক ভার্চুয়াল জগত।আর আজ এই ভার্চুয়াল জগৎ মিলেমিশে যাচ্ছে বাস্তবের সাথে। তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব রোজই পড়ছে আধুনিক জীবনযাত্রায়। ভার্চুয়াল জগৎএর অন্যনামই হলো সোশ্যাল মিডিয়া এই সোশ্যাল মিডিয়া আবার হলো এমন এক সরল সমাবেশ, যেখানে সবমানুষআমি- তুমি -সে’-র  বিভেদ ভুলে একই পাটাতনে দাঁড়িয়ে আছে। পুরো ব্যাপারটাই মানুষের নিজস্ব চিন্তাভাবনা নির্ভর, গঠনমূলক মানসিকতা প্রসূত। যেখানে যোগাযোগ ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির,ব্যক্তির সঙ্গে গোষ্ঠীর, গোষ্ঠীর সঙ্গে গোষ্ঠীর এখানে ছোটবাচ্চারা যেমন ছোট বরফের গোলা গড়িয়ে গড়িয়ে বড় বরফের বল যেভাবে তৈরী করে সেভাবে একজন দুজন তিনজন করে বরফের বল তৈরীর পদ্ধতিতে পারস্পরিক যোগাযোগ তৈরি হয়, যৌথতা তৈরি হয়। যূথবদ্ধতা গুলো আবার নানা সূত্রে ও শর্তে একে অপরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে, একে অপরের ভেতর প্রবিষ্ট থাকে।মানুষ চাইলেই ব্যাক্তিগত স্বার্থ সুবিধার ওপর যূথবদ্ধ জীবনের দায়ভারকে স্থান দিয়ে একটা সর্বজনীন কমিউনিটি তৈরী করতে পারে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে আমার মনে হয় আবিশ্ব মানুষকে নিয়ে জাতি ধর্ম সম্প্রদায়ের উর্ধে উঠে একটা মানবিক বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব। তবে গোটা প্রক্রিয়াই খুব সময়সাপেক্ষ আর যুক্তিবাদী মানুষজনের সুবিচারনির্ভর।

    সংশপ্তক: আমাদের সমাজ ও সভ্যতায় দৈনন্দিন জীবনের পরিসরে অন্যায় অত্যাচার, শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের হাতিয়ার হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুমিকা কতটা কার্যকরী হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

    মৌ দাশগুপ্তা:  দূরদর্শনের পর্দায়, খবরের কাগজের পাতায়, সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে বা স্ট্যাটাসেঅন্যের ওপরে ঘটাযে অন্যায় অত্যাচার, শোষণ নির্যাতনের খবর পেয়ে আমি প্রতিবাদী কবিতা লিখছি ফেসবুকে, চেনা অচেনা মানুষের স্ট্যাটাসে বা পোস্টে গিয়ে অঢেল লাইক দিচ্ছি, গরমাগরম কমেন্ট মারছি, ইভেন্ট তৈরী করছি, কভার ফটো পুরো কালো করে বা বড় করে মোটা কালো হরফেছিঃলিখে সমবেদনায় গলে যাচ্ছি, সেগুলো নিজের চোখের সামনে হলে আমি একই সাহসে বুক চিতিয়ে দাঁড়াচ্ছি নাকি চোখ নামিয়ে মুখ বুজে পালিয়ে আসছি লেজ গুটিয়ে? দৈনন্দিনে জমতে থাকা যন্ত্রণা-ক্ষোভ-রাগের বিষবাষ্পটা যেন হঠাৎ রাস্তায় নেমে না আসে তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে সমাজ নামের প্রেসার কুকারে সেফটি ভালভ হিসেবে জাস্ট ব্যাবহার করে প্রতিবাদের অগ্নু্যৎপাতটাকে জোর করে রুখছি আমরা। দাউদাউ জ্বলতে থাকা মনের রাগটাকেঅসহায়তা, একাকীত্ব, বোকামো’ (ইত্যাদি বিশেষণকে) বালির মত ব্যাবহার করে চাপাচুপি ঢাকাঢুকি দিয়ে লুকিয়ে রাখছি। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া নামের নামজাদা রাঁধুনে দৈনন্দিন সামাজিক- রাজনৈতিক সাম্যবাদের যে সুগন্ধী খাবারের শোঁকাচ্ছে বিনা পয়সায়- তার এক ফোঁটাও কি আমরা বাস্তবে রেঁধে খাওয়ার সাহস রাখছি? আর কিছু বলার নেই আমার।

    সংশপ্তক: সংশপ্তকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এই সাক্ষাৎকার শেষ করবো একটি কথাই জানতে চেয়ে: সোশ্যাল মিডিয়ার এই হঠাৎ উত্থান আপনার ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে, তার প্রকৃতি ও বিকাশ সম্বন্ধে একটু যদি আলোকপাত করেন!

    মৌ দাশগুপ্তা:  উত্তরটা ছোট্ট করেই বলি।সোশ্যাল মিডিয়ার এই হঠাৎ উত্থান আমার ব্যক্তিগত জীবনে ডক্টর মহুয়া দাশগুপ্তা আদকের লম্বা চওড়া নামের আড়াল থেকে মৌ দাশগুপ্তাকে টেনে এনে আলাদা একটা পরিচিতি দিয়েছে যার দৌলতে সংশপ্তকের মত একটা বহুখ্যাত ওয়েব ম্যাগও আমার মত ছোটমাপের মানুষকে এত প্রশ্ন করার প্রয়াস পাচ্ছে, এই আর কি!


    মৌ দাশগুপ্তা: কবি সাহিত্যিক রসায়ন বিজ্ঞানী গবেষক পেশায় ভুতপূর্ব অধ্যাপিকা, রসায়ন বিভাগ এন.আই.টি (রাউরকেলা)। বায়ো-মেটেরিয়াল-র ওপর গবেষণা। পরিবেশ সম্পর্কিত রসায়নবিদ। এনভায়ারোটেক সংস্থার সিনিয়র কনসালট্যান্ট। বর্তমানে  পোষ্ট ডক্টরাল রিসার্চের কাজে গবেষণারত ফেলে দেওয়া ভেষজ পদার্থ থেকে সংশ্লেষিত ন্যানো মেটেরিয়াল শোষকপদার্থ নিয়ে।


    Comments
    4 Comments

    4 comments:

    1. মাইল আজ মাইক্র
      তোমাতে আমাতে টাই
      আজ সজা তাকান, নয় ব্ক্র
      দুনিয়া হাতের মুঠয় পাই



      ভাল লাগ ল মৌ দি


      ReplyDelete

    Blogger Widgets
    Powered by Blogger.