২৩ নং কাশীনাথ রোড
বৈধব্যতিলক চোখে প্রশান্তির ছায়া
মামুলী যাপনেও থেকে যায় নক্ষত্র স্মৃতি -
বিবশ আঁচলে এখনো ঘোর ছোঁয়াছোঁয়ি খেলা।
২৩ নং কাশীনাথ রোড, মাতামহের পোড়ো বাড়ি
ভাগের মা পায়নি গঙ্গা ...
ঘুণপোকার কারুকাজ হেথায় হোথায়
পলেস্তারা গেছে খসে, ভঙ্গুর সব দেরাজ -জানালা...
আগাছা আঙ্গিনায় তবু উড়ে আসে ছটিঘর
চেয়ে চেয়ে দেখি-
আলোমায়ায় প্রথম আমার সেই চোখ মেলা।
নারী তুমিও পারো
ঈশ্বরও মানে সীমারেখা
বাঁধ ভেঙ্গে গেলে জ্বলে উঠে দূর্বাসা আগুন।
জটাধারী বৃক্ষই জানে জাদু
প্রশান্তিতে শুষে নেয় অতিবেগুনী।
আর নারী তুমিও পারো
নিঃসঙ্গ হাবিয়ায় ঝরাতে সবান্ধব ফাগুন
একাকী পাঠ করো শিলালিপি আমাকে ছুঁয়ে।
তবু ধরা থাকে পুরুষের হাত
স্বাধীন নারী হেঁটে যায়
পাখির শীষে দোল খায় তালপাতার পাখা।
কোমরে বিছা, নাকে নথ
কেটে গেছে শেকল, কাটে কি মায়া!
নুপুরের ছন্দে আজো মাতাল পুরুষ।
স্বাধীন নারী হেটে যায়
কোমর পেঁচিয়ে তবু ধরা থাকে পুরুষের হাত।
কতোটুকু যাবে আর
অধরা প্রজাপতি উড়ে যায়
জমিনে ফেলে যায় স্বপ্নের রেশ -
বৈরী ঢেউয়ে উঠেছে তুফান
উঠোন মাড়িয়ে হেঁটে যায় নীল আঁচল
যায় কি সবটুকুই!
তুমিও বুঝি যাবে চলে !
কতোটুকু যাবে আর -
চুম্বকটানে আটকে থাকে স্মৃতিঘর।
দ্রৌপদিও হোঁচট খায়
মননে আমি মোগল বাদশাহ
প্যারালাল প্রসেসিং-এ হেরেম বিস্তার।
সম্পর্কের জটিল গণিত
হেলে কি আছি কোনদিকে !
দ্রৌপদিও হোঁচট খায় ভারসাম্যে।
চিহ্নহীন চিহ্ন
চিহ্নহীন চিহ্ন শেষটায় রয়েই যায়
নিশানাহীন কবরের খতিয়ান মাটি জানে
স্মৃতি ও শ্রুতি এখনো বাজায় সুর।
বংশলতিকার পথ বেয়ে ফিরে আসে প্রস্তর যুগ
নাদেখা পূর্বসুরীর অলৌকিক মুখ বলে উঠে
'তুমিও রেখে যাও চিহ্নহীন চিহ্ন মহাকালের গায়ে'।
অচিন পাখি ধন্ধ
পর্দার ওপারে কুশীলবের গুঞ্জন
তৃতীয়মাত্রায় চোখ ফেলে করে পাঠ কেউ কেউ
শুনেছি আমি।
সাঁইজির তানে কাঁপে আইনস্টাইন লন্ঠন
ধন্ধে সোমরস-
লুকোচুরী খেলায় কি মাতে অচিন পাখি!
শূন্য হয়েই দেবো ডুব
অলৌকিক ঘ্রাণে মাতাল আমি
নাহ্, রূপকের আড়ালে কোন গুঢ় নয়।
কবিতাও জানেনা পরম সত্য -
মহাশূন্য টানছে ভীষণ
শূন্য হয়েই দেবো ডুব কালের পটে।
বৈধব্যতিলক চোখে প্রশান্তির ছায়া
মামুলী যাপনেও থেকে যায় নক্ষত্র স্মৃতি -
বিবশ আঁচলে এখনো ঘোর ছোঁয়াছোঁয়ি খেলা।
২৩ নং কাশীনাথ রোড, মাতামহের পোড়ো বাড়ি
ভাগের মা পায়নি গঙ্গা ...
ঘুণপোকার কারুকাজ হেথায় হোথায়
পলেস্তারা গেছে খসে, ভঙ্গুর সব দেরাজ -জানালা...
আগাছা আঙ্গিনায় তবু উড়ে আসে ছটিঘর
চেয়ে চেয়ে দেখি-
আলোমায়ায় প্রথম আমার সেই চোখ মেলা।
নারী তুমিও পারো
ঈশ্বরও মানে সীমারেখা
বাঁধ ভেঙ্গে গেলে জ্বলে উঠে দূর্বাসা আগুন।
জটাধারী বৃক্ষই জানে জাদু
প্রশান্তিতে শুষে নেয় অতিবেগুনী।
আর নারী তুমিও পারো
নিঃসঙ্গ হাবিয়ায় ঝরাতে সবান্ধব ফাগুন
একাকী পাঠ করো শিলালিপি আমাকে ছুঁয়ে।
তবু ধরা থাকে পুরুষের হাত
স্বাধীন নারী হেঁটে যায়
পাখির শীষে দোল খায় তালপাতার পাখা।
কোমরে বিছা, নাকে নথ
কেটে গেছে শেকল, কাটে কি মায়া!
নুপুরের ছন্দে আজো মাতাল পুরুষ।
স্বাধীন নারী হেটে যায়
কোমর পেঁচিয়ে তবু ধরা থাকে পুরুষের হাত।
কতোটুকু যাবে আর
অধরা প্রজাপতি উড়ে যায়
জমিনে ফেলে যায় স্বপ্নের রেশ -
বৈরী ঢেউয়ে উঠেছে তুফান
উঠোন মাড়িয়ে হেঁটে যায় নীল আঁচল
যায় কি সবটুকুই!
তুমিও বুঝি যাবে চলে !
কতোটুকু যাবে আর -
চুম্বকটানে আটকে থাকে স্মৃতিঘর।
দ্রৌপদিও হোঁচট খায়
মননে আমি মোগল বাদশাহ
প্যারালাল প্রসেসিং-এ হেরেম বিস্তার।
সম্পর্কের জটিল গণিত
হেলে কি আছি কোনদিকে !
দ্রৌপদিও হোঁচট খায় ভারসাম্যে।
চিহ্নহীন চিহ্ন
চিহ্নহীন চিহ্ন শেষটায় রয়েই যায়
নিশানাহীন কবরের খতিয়ান মাটি জানে
স্মৃতি ও শ্রুতি এখনো বাজায় সুর।
বংশলতিকার পথ বেয়ে ফিরে আসে প্রস্তর যুগ
নাদেখা পূর্বসুরীর অলৌকিক মুখ বলে উঠে
'তুমিও রেখে যাও চিহ্নহীন চিহ্ন মহাকালের গায়ে'।
অচিন পাখি ধন্ধ
পর্দার ওপারে কুশীলবের গুঞ্জন
তৃতীয়মাত্রায় চোখ ফেলে করে পাঠ কেউ কেউ
শুনেছি আমি।
সাঁইজির তানে কাঁপে আইনস্টাইন লন্ঠন
ধন্ধে সোমরস-
লুকোচুরী খেলায় কি মাতে অচিন পাখি!
শূন্য হয়েই দেবো ডুব
অলৌকিক ঘ্রাণে মাতাল আমি
নাহ্, রূপকের আড়ালে কোন গুঢ় নয়।
কবিতাও জানেনা পরম সত্য -
মহাশূন্য টানছে ভীষণ
শূন্য হয়েই দেবো ডুব কালের পটে।