জলছায়া
লিখব সঙ্কল্পেই ......
কলমের আঁচড়ে আঁচড়ে ভেসে ওঠে আধভাঙা খোঁপা। ক্রমশঃ লজ্জার চৌকাঠ ! আঁচড় গড়িয়ে , আড়মোড়া ভাঙ্গা সুকেশী আঁচল। যার বুনুন জুড়ে’ই শীতলে গ্রাস করা - আগুনে’র সঞ্চিত শব্দ। সন্মোহিত! সজ্জিত মধ্য বুকে , এই বুঝি উঁকি দেয় - পাঁজর ঘ্যাসা নবজাতকের উল্লাস।
আচ্ছা , এখনো কি ! অমন করেই , কারুকেশে স্তনবৃন্ত ঢাকো।
সাদা তোয়ালার শোভন দূরত্বে , সদ্য জলডোবা অন্তঃপুরের একেশ্বরী। ধারার দুরন্ত শ্রমে – দগ্ধে প্রশমিত , কুঁড়ি থেকে প্রস্ফুটিত গন্ধরাজ। উৎসের লীনে - উচ্ছল অবয়ব মুড়ে’ই বিন্দু বিন্দু যেন মনোহর গঙ্গা। যার হলদে সাদায় উদ্ভাসিত , গোপনীয়তার মাখন আবরণ।
আপ্যায়িত সঙ্কল্পে - ডুব শরীরে খুঁজে পাওয়া , সোহাগী নকশী কাঁথার মাঠ ...
যেন পুণ্যাহে -
লালপেড়ে গরদে , বুক ঘিয়ে ব্লাউজে পৌষের কুসুম আলো। চিবুকের রেখায় , গালের ডৌলে , নাকের ডগায় সমুজ্জল দুব্বা শিশির । দৈব্য রূপ ! বুঝি একেই বলে , ঠাকুর দালানের রূপটান ? সংজ্ঞায় কলম ডুবিয়ে দেই। দৈব্য’বুকে শুষে নেই ঠাকুর দালানের ম ম গন্ধ। ফুল , চন্দন , ধুনোয় বাউল মাতাল আমি।
এলিয়ে মধ্যাহ্নে –
বর্ধিষ্ণু শীত! রোদে দেই , পারুলে। অগলমুক্ত হতে চায় সম্ভ্রম । ক্রম অনুসারে বিনয়াবত সহিষ্ণু’র , যতো অসহিষ্ণুর তাপ উত্তাপ। কোমল ছাঁচে ছাপ তোলা তুমুল যুবা’য় , কালো শিফনের বুনো দাপট। উৎসে –
কত যে নদীর মুখ , সে যে কত গভীর
যায় বোঝা নাব্যতায় - বিভাজিত খননে ,
সে তো শুধু বুক নয় , শুধুই ইটরঙা স্তন’মুকুল নয় –
এবং নয় শুধু অমৃত হরণে ।
এহেন, সীমানা জুড়েই দুর্ভেদ্য রামকিংকর কোলাজ। অমর মনোহর ভাস্কর্য্য। এমনকি , সীমানা মুছে যাওয়া দুই রঙে মর্মগ্রাহী হতে শেখায় আগামী’র ঠোঁট। ক্রমশ- স্ফুরিত হবে দেব’ শিশু। মমতার লাবন্যে ভরা কুসুমিত মধুভান্ড স্তন , কাতরে , অমৃতক্ষরা ...... বড় অদ্ভুত ! ব্যাঞ্জনাময়ী । এতুমি , সাধারণ মানবী নও , এক শক্তির আঁধার । তুমি ঈশ্বরী ।
স্থির সায়াহ্নে -
উদ্ভ্রান্ত করে দিচ্ছে , স্মরণাতীতকালের যত শোভন স্মৃতি।, আবহে ... কণিকা । বিচ্ছরিত তরঙ্গে নাইছে মুঠোফোন। সুখ শ্রাব্যে ...... হৃদয় বাসনা পূর্ণ হলো ...।।
শুনছ , হে ইষ্টতম
শুনছ , তিলোত্তমা
......... ! ও প্রান্তে শব্দ নেই। সংযোগে নীরবতার বাঁধ।
শিরদাঁড়া বেঁয়ে ঘনীভূত যান। উড়ালপুল। উঁচিয়ে ইউক্যালিপটাস । পিছিয়ে যাচ্ছে স্টেশন , ব্যারাকপুর , বারাসাত ...। আকাশ বেঁয়ে ডানা ঝেঁপে রুপোলী গোলচে চাঁদ। সম্ভাষণে , ভিজিয়ে দেয়া সমূলে রাতবাতির মায়া। বিদায়ে অন্তরায় নৈসর্গিক শ্বাস প্রশ্বাসের বিগত যুগল ধ্বনি , অ্যাই উইল লাভ ইউ টিল দা এন্ড ।
এই দ্যাখো ... পারুল !
শহুরে ভাবনার প্রত্যুত্তর হয়ে কোথায় বশীভূত হবো , চোখ ঝরিয়ে দিলাম খোলা পাতায় । বেপরোয়া কালো অক্ষরগুলি , ভরপেটে অবলা অশ্রুবিন্দু ।
পাতা জুড়ে সাদা কালোর দুরন্ত মেঘ , ঝম ঝম করা বৃষ্টি ... বৃষ্টির স্বরে দৌড় দৌড় অনেক দৌড় । হাঁপিয়ে মধ্যে মাঠ । খোলা আকাশে – শীতল বাতাসে তোমার হাপুশ উপুশ কচি দুব্বা ঠোঁট , শুষে নেওয়া আমার প্রথম ঈশ্বর কণা ।
উত্তরবঙ্গ । ভারত।
sundor lekha kobita .
ReplyDelete