~একটি সম্ভাব্য চিত্রনাট্য~
রঙ্গমঞ্চে আলো জ্বলে
ঝন ঝন করে বাদ্যি বাজে
পরদা ওঠে, বাদ্যের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়
নাটক শুরু হবে।
নিস্তব্ধতা।
প্রথম অঙ্ক।
তুই আসিস ধীরে ধীরে
আলোকবৃত্তের মাঝে পা ফেলে;
একটু একটু করে বড় হয় বৃত্তটা,
আর একটু একটু করে বড় হোস তুই।
আমি চমকিত।
দ্বিতীয় অঙ্ক।
পদধ্বনিতে সুরের ঝলক
তুই তালে তালে নিভৃতচারিণী,
সাদা আলোকবৃত্ত অনুরাগে লাল
আর লাল তোর গাল দুটি।
হেসে উঠি আপন মনে।
তৃতীয় অঙ্ক।
লাল আলো নিভে গেল
বিনা নোটিশে এল বিষণ্ণ নীল
তুই থমকে চেয়ে রইলি, আমার দিকে
নাকি আমাকেও ছাড়িয়ে, সুদূর দিগন্তে;
আমার বিস্ফারিত চোখ।
চতুর্থ অঙ্ক।
তুই প্রবেশ করলি
অপূর্ব রণাঙ্গনের বেশে,
রূপচ্ছটায় করলি অভিভূত।
আলোকবৃত্ত এখন উদ্ধত হলুদ
আমিও উত্তেজিত।
পঞ্চম অঙ্ক।
ও কি, আলোকবৃত্ত যে পালটায়
একরাশ গাড় লাল সবদিক ছেয়ে যায়...
অবাক মধুর বিস্ময়ে তোর পদস্খলন।
তরোয়াল ফেলে নিঃশব্দ আত্মসমর্পণ।
উত্তেজনার পারদ বাড়ে।
ষষ্ঠ অঙ্ক।
লাল রঙটা বড্ড বেশি গাড়
তাই একদল ঘন সবুজের প্রবেশ
ভ্রমের মায়াজাল বিছিয়ে দিল তারা
তোর মেরুদণ্ড ভাঙল দুমড়ে-মুচড়ে
আমি ক্রোধে অস্থির।
সপ্তম অঙ্ক।
আবার তোর পুনুরুত্থান।
আরও কঠিন রণমূর্তি, তাতে হলুদ ছোঁয়া;
কিন্তু আলোকবৃত্ত ঔজ্জ্বল্য হারিয়েছে
এখন তুই একলা সৈনিক...
আমার চোখে জল।
শেষ অঙ্ক।
তুই হেঁটে যাস, পায়ে পায়ে
বড় হোস, আরও বড়... ছাড়িয়ে যাস
ওই বাড়িটা, ওই কার্নিশের ছায়াটা।
আমি রুমালে মুখ ঢেকে কেঁদে যাই
সামান্য দর্শকের সামনে পরদার পতন।
রঙ্গমঞ্চে আলো জ্বলে
ঝন ঝন করে বাদ্যি বাজে
পরদা ওঠে, বাদ্যের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়
নাটক শুরু হবে।
নিস্তব্ধতা।
প্রথম অঙ্ক।
তুই আসিস ধীরে ধীরে
আলোকবৃত্তের মাঝে পা ফেলে;
একটু একটু করে বড় হয় বৃত্তটা,
আর একটু একটু করে বড় হোস তুই।
আমি চমকিত।
দ্বিতীয় অঙ্ক।
পদধ্বনিতে সুরের ঝলক
তুই তালে তালে নিভৃতচারিণী,
সাদা আলোকবৃত্ত অনুরাগে লাল
আর লাল তোর গাল দুটি।
হেসে উঠি আপন মনে।
তৃতীয় অঙ্ক।
লাল আলো নিভে গেল
বিনা নোটিশে এল বিষণ্ণ নীল
তুই থমকে চেয়ে রইলি, আমার দিকে
নাকি আমাকেও ছাড়িয়ে, সুদূর দিগন্তে;
আমার বিস্ফারিত চোখ।
চতুর্থ অঙ্ক।
তুই প্রবেশ করলি
অপূর্ব রণাঙ্গনের বেশে,
রূপচ্ছটায় করলি অভিভূত।
আলোকবৃত্ত এখন উদ্ধত হলুদ
আমিও উত্তেজিত।
পঞ্চম অঙ্ক।
ও কি, আলোকবৃত্ত যে পালটায়
একরাশ গাড় লাল সবদিক ছেয়ে যায়...
অবাক মধুর বিস্ময়ে তোর পদস্খলন।
তরোয়াল ফেলে নিঃশব্দ আত্মসমর্পণ।
উত্তেজনার পারদ বাড়ে।
ষষ্ঠ অঙ্ক।
লাল রঙটা বড্ড বেশি গাড়
তাই একদল ঘন সবুজের প্রবেশ
ভ্রমের মায়াজাল বিছিয়ে দিল তারা
তোর মেরুদণ্ড ভাঙল দুমড়ে-মুচড়ে
আমি ক্রোধে অস্থির।
সপ্তম অঙ্ক।
আবার তোর পুনুরুত্থান।
আরও কঠিন রণমূর্তি, তাতে হলুদ ছোঁয়া;
কিন্তু আলোকবৃত্ত ঔজ্জ্বল্য হারিয়েছে
এখন তুই একলা সৈনিক...
আমার চোখে জল।
শেষ অঙ্ক।
তুই হেঁটে যাস, পায়ে পায়ে
বড় হোস, আরও বড়... ছাড়িয়ে যাস
ওই বাড়িটা, ওই কার্নিশের ছায়াটা।
আমি রুমালে মুখ ঢেকে কেঁদে যাই
সামান্য দর্শকের সামনে পরদার পতন।