>

ব্যানার্জী পর্ণা।

SongSoptok | 6/10/2014 |



কোলাজ

















মেট্রো গলিতে অবরোধ দেখে-
আমার ইচ্ছে হয়েছে “শূন্যতার” সময় অবরোধ করতে
সে বলেছে কাতর কণ্ঠে
নিঃশব্দ সম্ভাষণ স্পর্শ করেছে তাকে
নৌকাডুবি শূন্যের কাছাকাছি - পিয়ানো রিডের ওপর ঘুমিয়ে
লাল অবসরের দাগ ক্যালেন্ডারের পাতায় ওড়ে
শূন্যতা – ফটো ফ্রেমে আমার প্রতিনিধিত্ব করছে
নিবেদন নিঃশ্বাসে সাজিয়ে রাখা –
প্রতীক্ষা –হাজার আলোর মাঝে
“অভ্যাস”!!!! ফ্রি ট্যাবলেট হয়ে অবরোধের
কালো পতাকা লাগায়না কানাগলিতে ...।।


“নিয়ম”

নিয়ম মেনে ঢেউ গুলো একে একে আছড়ে পড়ে
ক্রমিক সংখ্যা হিসেবে -
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ধরা পড়েনা – ভেঙে পড়ার যন্ত্রণা
হয়ত – ঢেউগুলো ভেবেছিল পাড়ে এসে সংসার বাঁধবে
তার আগেই – ভেঙে গেল –জমাট বাঁধা স্বপ্নগুলো
উচ্ছ্বাস জলরাশির মাঝে ম্রিয়মান ফেনার সম্ভার
সস্তার অন্তরঙ্গ-
ককটেল পার্টির শেষে খালি বোতল গুলো গুছিয়ে ফেরত
দিয়ে গেল যত্নে
পারলে –ভরতে পারো আবার নতুন নেশা এতে
লেবেলটা কিন্তু নতুন দিও –
এক ব্র্যান্ড হলে এবার সঙ্গে নেবেনা ঢেউ -
সুখ অসুখগুলো বেশ ভাল ভোগ্যপণ্য –
তাই ব্যবসার ক্ষেত্রে বাজারের
চাহিদা অনুয়ায়ী বসিয়ে দিও হোর্ডিং
নুয়ে পড়া ল্যাম্পপোস্ট গুলোর মানও বাড়বে তাতে ,
এখন পারলে শুধু চুপটি করে ভেঙে পড়া ঢেউগুলো গোন -


একটি ক্ষুদ্র বিন্দু

আকার ও নিরাকারের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে
তার মাঝে কিছু উত্তাপ বিহীন অসহিষ্ণু করুণা
ঋতু বদল কর্কট লীলায় মন্থর গতি নিয়েছে
স্বপ্নেরা শুধু রং তুলির টানে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখে
সস্তার আয়ু নিঃশব্দে ধুঁকছে –
বিন্দুটি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম হতে থাকে –
বছরের শেষ দিন আসতে আর বেশি দেরি নেই
উষ্ণ নিঃশ্বাসের সাথে জমাট বাঁধবে এক বৃত্তে আলর
প্রতিক্রিয়া
শব্দগুলো সুখ দুঃখের শিকড় খুঁজে ঠিক পাবে –


কিছু এলোমেলো -
ভালবাসার ইন্টেনসিটি বদলাতে চাই । হাতে সিগারেট , দু
আঙ্গুলের ফাকে ধরে
ঊর্ধ্ব মুখি ধোয়া ছেড়ে সারা বিশ্বের উদ্দেশ্যে একটাই
হুংকার- “ভালবাসা নামক
বস্তুটির রদবদল করে দেখাতেই হবে, জীবনের কোন
একটি অধ্যায়ে”- ওয়াইনের গ্লাসটা
গড়িয়ে ওয়েজ হিলটার কাছ এসে ঠেকে গেল। থমকে গেল
কিনা জানিনা নাকি বিশ্বস্ত
আশ্রয়ের ভরসা পেল। তুলে নিলাম নিমেষের
মধ্যে খালি গ্লাসটা চোখের সামনে ধরে
জীবন তাকে প্রিজম আকারে একবার দেখব। পিরামিডের
ওপরে যে সাদা চাদর চড়িয়ে এসেছে
সভ্যতা তাকে আবার নতুন করে “রক অন” লাইফের
আখ্যা দিয়ে কার রেস এর লাইনের
সারিতে দাড়ঁ করাব গ্রিনফ্ল্যাগ এর অপেক্ষায়।
নানা গান নানা শহর নানা বৈচিত্র্য প্যাকেটে মোড়া হরেক
রকমের কাঁচের চুরি, জীবন
বলে ওঠে বাধ্যতামুলক জীবনের মধ্যে ওগুল বেমানান। চোখের
কোণে স্মাজ হয়ে যাওয়া
কাজলের রুক্ষতার ভেতর এখন অনেক মিষ্টত্ব খুজে পাওয়া যায়,
ভাঙ্গা কাঁচের চুরির
থেকেও । লো ওয়েস্ট জিন্স সঙ্গে অফ সোল্ডার টপ- উত্তম
সুছিত্রার সপ্তপদী না
হলেও লেটস গো বলে এক কিকে স্টার্ট হয়ে যায় জীবনের
বাইক। স্পার্ক চাই বুঝলি
স্পার্ক। এক ঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে কথাও
অপেক্ষা- ওই মানিকতলার
সিমেট্রিতে একটা নিজের স্ল্যাব খুজে পাওয়া -
সেটা কি জীবনের শেষ নাকি সেখান
থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে একবার সব ভাঙ্গা কাঁচের
টুকরো গুলোকে জোড়া লাগিয়ে দেব।
“মুলারুসের” সেই গায়িকা এখনও স্টিফেনহাউসের
কর্নারে দাড়িয়ে একটি ছোট্ট পিকআপের আশায়।
ছোটবেলায়ে অনেকবার পড়ার বই হাতে রেখে স্বপ্ন
কে আঁকবার চেষ্টা করেছি।
ঠাকুমার বলা গল্প, নিজের পড়া বই, দেখা চলচ্চিত্র সব যেন
বাস্তব হয়ে দাগ
কেটে যেত আকাশের ক্যানভাসে- পুরো আকাশটাই আমার,
ইরেযার
হাতে স্কেচ করেই চলেছি। হেসে মনে হত ওই মেঘ গুলোর
জায়েগা পরিবর্তন করা তো
আমার অঙ্গুলিহেলনিতে হচ্ছে তবে একটা মাস্টারস্ট্রোক
দিয়ে ফেলিই না কেন!
হাতের সামনে ব্রাশটা যখন ডোবাতে যাই, সব রঙ
ভাঙা কাঁচের টুকরো গুলির মতো সেও
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অঙ্গ হিসেবে সরিয়ে ফেলে নিজের মুখ
ভার করে আমার থেকে।
বলে ওঠে চিৎকার করে -আরে আরে দাঁড়া, আজ আর
অঙ্গুলিহেলন নয়। বাষ্পের আর বুদবুদ
হয়ে নিজেরাই এক এক জায়গায় নিজেদের
আস্তানা গুছিয়ে নেয়-
ওয়াইনের গ্লাসটায় কিছুতেই নেশা ধরেনা। যতই
সাঙ্গোপনে ওকে নিয়ে গিয়ে কানে কানে
বলার চেষ্টা করি, আমার হাতে ধরা সিগারেটটা পুড়ে ছাই
হয়ে যাচ্ছে, তোর কি তাতেও
একটুও মায়া হয় না। অবাস্তব, আজগুবি ছোটবেলার মেঘগুলোর
মতো ও ঠিক হা করে আমার
লাল ঠোঁটের চুম্বন খায়। শিরা ধমনীতে একবারও
ভালোবেসে বয়ে যায় না।
মানে বদলাব কি করে! সুস্থ অবস্থায়
তো সাদা কে আমি সাদাই বলবে। কালো কে কালো
তাহলে তার ওপরে রঙিন জলছবি আমি চাপাব কিভাবে!
পিরামিডের সাদা চাদরটাও যে ময়লা,
ভেবেছিলাম ওটার উপর সবুজ রঙ চাপিয়ে রেসের
মাঠে নাড়িয়ে দেব একবার, কুইক সুইফট
স্টার্ট অফ রেস্ফুল লাইফ আর পড়ে থাকা সিমেট্রি স্ল্যাবটায়
দিনক্ষণ বাদ দিয়ে
খোদাই করে রাখব নাম টা।





Comments
0 Comments

No comments:

Blogger Widgets
Powered by Blogger.