অন্যদিনের কবিতা
কবি
কালের সাগর সেঁচা ন্যাপথালীন
গন্ধ গতরে মেখে
বেশ উড়ে উড়ে বেড়াও তুমি মাটির
জোনাক, জানোনিত
সাতরঙা শিশির ছুঁয়ে দিলে
হৃদয়ে প্রোথিত সবুজ নিঃশ্বাসে
জমাট বাঁধবে ধূসর মৃত্যু।
মহাকাল ইতিহাস লিখছে অবিরাম,
তবু তুমি যাবতীয় ভালবাসাবাসি
উচ্ছিষ্ট খাবারের মত
ছুঁড়ে ফেলে দাও!
বুকের চাতালে চির দেখা দিলে
এমনি লিখে ফেলে কোন কবি,
আর তারপর?
শব্দের খোঁজ পালিয়ে বেড়ায়, তরল আগুন চুইয়ে দিক্বিদিক
ঘুরপাক খায় শুন্যতারা, বর্ণমালা জমাট বাঁধেনা আর, কাঁপা কাঁপা
দেশলাই কাঠি দলবেঁধে তামাশার
পাহাড় গড়ে, মোগল হেরেমের
দারোয়ান কথার দরজা আগলে বসে
থাকে, নিকোটিন কুন্ডুলী
পাকিয়ে ছুড়ে মারে প্রশ্নের
তীর, পাঁজরের গভীরে
হেঁকে বসা অস্থিরতায়-
ভীষণ দম বন্ধ হয়ে আসে। বুনো
কাঠ চেরার মতো খিল খিল
হাসে রাগী মৌনতারা। কী ভীষণ
দম বন্ধ হয়ে আসে.........
এরপর,
দীর্ঘ বিরতি শেষে আচমকা
বিজলীর চাবুক খাওয়া বাকী লাইন –
আকাশ, সমূদ্র, মাটি, অন্তহীন ঘুরে ঘুরে
হৃদয়ের অতলান্ত স্নানে ভিজেছে
সময়,
তাতে কবির কি দোষ বল?
তারার চোখেতে শনি।
বিকেলের রোদ রং
চুরি করে
সমাধির নীরবতা
রেখেছিলাম
তোমার সোনালী
চুলে;
রোদেরা জীর্ণ হলে
সুতোকাটা ঘুড়ির
ভঙ্গিমায়
ভেসে গেছি আমি।
তুমি হয়তো ভেবে
নিয়েছো
রাগের রাত এলো,
জ্যান্তবাতাস
পুড়বে এবার।
অথচ তারাগুলো
লুকিয়েছিল
দিনের আলোর গভীরে,
এবং তারার চোখেতে
শনি।
তুমি জানোনি,
কেননা
তুমি জানতে পারনি
জমাট স্তব্ধতারা
কোনদিন,
আগুন ছুঁয়ে
শূন্যতারা কোনদিন
কবিতা কিংবা
গান হয়ে যাবে।
নইলে বড্ড দম
বন্ধ হয়ে আসে।
পর্যটক ধোঁয়া।
'সই, কেমনে ধরিব হিয়া
আমার বঁধুয়া আন বাড়ি যায়
আমার আঙ্গিনা দিয়া'
- চন্ডিদাস
নাগরদোলায় চড়ে সকাল এলেই যে প্রেম আমি রোজ দেখি, ঘুম থেকে জেগে কিংবা ঘুমোতে যাবার সময়, পাশাপাশি বসি, এক সাথে খাই, বহু কথা বলি, সে প্রেমে উষ্ণতা থাকে, রহস্য থাকেনা। ঘাড় গুঁজে পড়ে থাকা কেয়াপাতায় শিশির টলমল করে। কখনো এক-ফালি ভালবাসাবাসি পুরনো ঠিকানায় ফেরি হয়। মুনিয়ারা কদাচিৎ ডানা ঝাপটায় ফুরিয়ে যাবার আগে। রিখটার স্কেলে কোন সতর্কবার্তা নেই। নীল দেয়ালে জমে তেঁতো সম্পর্কের বিষরেণু। চারিদিকে সুনসান; সেই নৈশব্দ বেয়েই নেমে আসে গলানো চাঁদ। তারপর বিছানা বালিশে বৃষ্টি শব্দ খেলা করে সারারাত।
আয়ু ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিন এগুতেই বন্দি পাখির বুকে ভালবাসা মৃত প্রায়, তাই চাই উড়াল, চাই বিশ্বস্ত বিভ্রম! হৃদয় খুঁড়ে ফেলে এক গোপন সুরঙ্গ, সেখানে উত্তরণের ছায়ায় ঘাপটি মেরে থাকে হাটখোলা বিস্ময়। মুনিয়ার আক্ষেপ পড়ে থাকে জলকাদা মেখে। জীবনে অনুচ্চারিত কিছু এখনো থেকে গ্যাছে বলে বোধ হয়, রূপকথা ঠাসা হয় নেপথ্যে চৌকাঠে, বৃষ্টিগুলো আরো গাঢ়। মুঠোফোনে, অন্তর্জালে নাগপাশ, প্রজাপতি মহোৎসব। অবশিষ্ট মেঘ শুধুই জলধোয়া অস্পষ্টতার ছবি আঁকে। মৌতাত ভেঙ্গে গেলে নাজুক বিষাদ, মনাঞ্চল নীল হয় অদ্ভুত ব্যথায়-
ইচ্ছেগুলো আকাশ ছোঁয়া,
আর প্রেম!
চায়ের কাপে ধোঁয়া.........
প্রথম আর তৃতীয়টা খুব বেশী সুন্দর !
ReplyDelete