অসংলগ্ন আত্মকথন
মদ্যপ হয়ে টলতে টলতে শৃঙ্গের শীর্ষে উঠে
চিৎকার করে , ‘বাঁচবো না’ ...
ঘোলা চোখ বোঝেনা
বুদবুদ হয়ে উড়ে গেছে আর্তনাদ;
ঘোড়সওয়ার শব্দেরা দিগ্বিদিক ছুটে চলে অন্বেষণে –
পরিযায়ী পালক উড়তে উড়তে
ভেসে বেড়ায় বনে বাঁদারে;
প্রতিধ্বনি ফিরে আসে কর্ণকুহরে -
‘যে বাঁশি ভেঙে গ্যাছে,
তারে কেন গাইতে বল?’
আত্মায়ী বংশীবাদক নিজ বনে তীর্থ রাজা;
চোখের বালি হয়ে পড়ে থাকে শব্দের খেলাঘর।
টলতে টলতে বাড়ে বেলা –
হাতড়ে বেড়ায় প্রান্তদেশ,
সম্বিত ফিরে পেতে, শব্দেরা কুপোকাত!
এভাবেই অভ্যস্ত দ্বিপ্রহর;
প্রত্যয়ী বাণী চিরন্তনী
ধারণ করে শূন্য আধার।
আহাজারি শুনিয়ে যায় –
যাত্রা একমূখী , ফিরে আসবার পথ ভিন্ন।
বৈপরীত্যে আকণ্ঠ বিষপান, উপহাস শেষ প্রত্যয়।
মাতালের সুর একটাই,
প্রতি চুমুকে বুঁদ হয়ে জমিয়ে রাখা অসংলগ্ন আত্মকথন।
ঈশ্বর হতে চাই
আঁধারের সাথে সখ্যতা সহ্যসীমার উজ্জ্বলতা হারানো পথগুলোয় প্রতিমুহুর্ত অতিক্রমে অভ্যস্থ জীবন ;
যুঝে চলা সমঝোতা রক্তচক্ষু ফেলে রাখে মলিনতায় ঢেকে যাওয়া গন্তব্যে।
আমি ঈশ্বর নই,
লিখতে পারিনি নিজ হস্তরেখা ! তাই ঈশ্বর প্রচেষ্টায় সাদা কাগজে বারবার লেখা, মোছা, ঘষা, মাজা ...
দাগ পড়ে থাকে দুটো শব্দে, 'ভালবাসি'....'ঘৃণা করি'।
মিটিয়ে দেয়া পথেই বারবার হেঁটে যাই,
জুড়ে থাকা সময়গুলোতে ফিরে আসি অচেতনে ।
হারিয়েছে সব, যেন নিজেকেই হারিয়ে এসেছি সযত্নে!
হয়েও হয়নি যা - বয়ে নিয়েছি নিজ দায়ে,
তাই নিজের সীমাই অতিক্রম করার অভিপ্রায় সমঝোতায় বেঁধেছি আশ্বাস।
ভার হয়ে আসা জীবনে একবার ঈশ্বর হতে চাই ;
ভুলে থাকবার জন্য আজ যে কাঠিন্যতা ধারণ,
ঈশ্বর হয়ে একবার ফিরে আসতে চাই সেই অমিমাংশিত অধ্যায়ে ।।
খুব সুন্দর রে। দ্বিতীয়টা বেশী ভালো।
ReplyDelete:) আকাশ
Delete