ঊষসীর কবিতা
শুরুর দৃশ্যে
আদিম রিপুতে একটা বিকেল
ম্যাজিক দেখিয়েছে প্রকাশ্যে-
রবিশঙ্কর–ববডিলান যৌথ সহবাস,
গভীরে ঝাঁপ মেরেছি!
তুমুল আলোড়নে-
আগুন দাউদাউ জ্বলতে থাকে
‘পারমিতা’ সম্বোধনে
রক্তে বন্যা বইয়ে দিয়েছ ।
কোন লোভ আমার ছিলনা
লড়াইয়ের সুযোগে
কোন অস্ত্র হাতে তুলে নিই নি,
বুভুক্ষ দরজায় কড়া নেড়ে
ফিরে আসা নিয়তি ছিল-
এ বিস্তার প্রভাব এড়াতে পারেনা কেউ !!
তবু, আমার কোন প্রতিদ্বন্ধি নেই,
প্রেমের কোন প্রতদ্বন্ধি থাকেনা ।
ভ্রষ্ট
কার কাছে দিয়ে যাব তোমাকে?
বুঝতে পারিনা –
অঙ্গহানি প্রত্যয়ে মুখ চুবিয়ে চুপ তারপর
সন্ততি বা ভ্রষ্ট বুক
নষ্ট করছে তোমার চশমার কাঁচ
মল্লিকা , মালবিকা , নিরুপমা
হাতাহাতি করছে তোমায় নিয়ে;
করুন ঠোঁটে থুতু গিলে খাচ্ছে নবনীতা।
আলনায় মেলা কালো পাঞ্জাবীর সেন্ট
বুকে সিটিয়ে রাখবে সে!
তুমি বিছানা- বিলাস বিকিয়ে দিয়েছ নাটকের রিহার্সালেই
তোমার ‘আমি’
টাকে রেখে যাব কোথায়?
সেটাই বুঝতে পারিনা।
যখন পালানো দুপুরে,
নির্জনতার খোঁজে একলা মরা ফড়িং ..
তখন একলা ট্রাম কন্ডাকটার –
হেঁটে চলে গেছে একা একা ট্রাম গাড়ি।
আমি সেলফিন পেপারে মুখ ঢেকেছি।
তোমাকে রেখে আসতে পারিনি।
তাই আজো গর্ত খুঁড়ে ,
বীজ বুনছি আগাছার । ।
কবিতা বলা চলেনা ...
পাইপ বেঁয়ে চামচিকে নাচছে ইতস্তত ,
পাশের বাড়ির ছেলেটি
কৃষ্ণগোপাল ,
নাদুস নুদুস...
বিকেলের রোদ মৌমাছি চুষে খায় ।
প্রলাপ বকছে পাগলী,
বিয়াল্লিশের মন্বন্তর -
লাফিয়ে যাচ্ছে ঢেউ,
পাঁচিলে বসেনা না কাক
আমরা যারা অবাক,হতে হতে
রেললাইন টপকে
চিনের দেয়াল সাজিয়েছি-
তারাও বক বকম বিড়াল।
কাঁধে ঝোলা ব্যাগ
হাতে ডট পেন
খাতায় প্রেমিকা প্রবাহ -
হেঁটে যাচ্ছেন বৃদ্ধ ঈশ্বর ।
পাগলী প্রলাপ গাইছে
'ও বুড়ো ,
রাস্তা কালো
আলো জ্বেলে যা'
... !