গতি আর নোঙ্গরে’ই বর্ষীয়ান সারেঙ আমি। সুত্রে’ই যার দিগন্ত উন্মোচন ! অথচ – ইচ্ছে’সলিলে ও’বুকে যতো মুখ’ডুবি , প্রশান্তে বিভ্রান্ত অর্জিত গতিবিধি ! নীরব বিস্ময়ে , নিবিড় প্রশ্রয়ে , গুটিয়ে ছোট্ট হতে হতে মুখ’মাখি উত্তুঙ্গ কমলায়। আরধ্য পান্থে’র প্রসূন সুডৌলে’ই নোঙ্গর মেলি হর্ষে । গোধূলির চাপল্য উচ্ছ্বাসে...... আকণ্ঠ ঠোঁট পাতাবুকে দুর্লঙ্ঘ ঝরো সমুদ্রতট।
সাঁজ বাইয়ে –
জলপাল্কীর কার্নিশ নাইয়ে অখণ্ড চাঁদ। নিঃসৃত আলো ভেজা পথে , চাঁদধোয়া পারুল। প্রসার্যে - অগল মুক্তিকামী নীলতট , অনাবৃত নির্লেপ জঠর , নিতম্বনী ঢেউ ! সনির্বন্ধে , ঋদ্ধ করে অনিন্দ্য বৈশাখী’কেশ , ললাটে চন্দ্রবিন্দু , নুড়ির কণ্ঠহার , ঝিনুকের বাজুবন্দ , শঙ্খবিছায় বিনীত’নাভির নিরঙ্কুশ উল্লাস। বিচয়ন ঢেউয়ে ঢেউয়ে...... আমি যেন ভাস্কদা গামা। কৌমার্য্যে’র প্রত্নতত্বে , সমূলে বয়স খোয়াই নাব্যতায়।
নিশীথ নাইয়ে –
উচ্ছাসের ফেনায় ফেনায় ভরা জোয়ারের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। অভিবাদনে , ঝরো চুমুর বর্ধিষ্ণু দার্ঢ্যে’র ছটা , দৈর্ঘ্যে’র কোষ জুড়ে প্রস্থের কোমল আবারণ , নোঙ্গরে নিলাম্বুজ - ভুঁইয়ে চন্দ্রশোভিত অম্বর। প্রত্যয়ী চিররহস্যাবৃত্ত সাম্রাজ্যে , খ্যাপা আমি পুরো’ই বিভোর , ভেসে থাকার মহাবিস্ময়ে !
অতঃপর ;
সম্বিত নিঃসঙ্গে , উদিত গ্লাসে - কোষে কোষে লেপে নেওয়া আজ নৈমিত্তিক জাগ্রত সুর্য্য। সেঁকে নেওয়া - চুমুকে চুমুকে বয়োজ্যৈষ্ঠ নিঃশব্দ প্রলাপ। পিষে দেই প্রমুর্ত রাতবাতি। এই আঁধার যেন পরম আত্মভু , অনাদি , অন্তহীন। নৈশব্দ কতদূর স্পর্শময় জেনেছি এইটুকু। ইচ্ছে নিগূঢ় নিরন্ধ্র তিমিরপুঞ্জে উল্লাসে থাক আলোর স্পন্দন। পোষণে যত স্ফুলিং ভেসে যাক- স্পন্দিত দীপ্তির চৈতন্যে ,আলোর সাথে পারুল বাতাসে ......
দূরে - সুদূরের দুর্ভেদ্য জ্যোৎস্না। চেয়ে দেখি - সতর্পনে , রোজ জেগে থাকি । সে জাগবে’ই চোখ ভাঙ্গার শব্দে......
উত্তরবঙ্গ / ভারত
দারুন ছুঁয়ে যাওয়া ।
ReplyDelete