>

সুমন্ত চ্যাটার্জী।

SongSoptok | 8/10/2014 |

                         মৃত্যুকাব্যে ও অন্যান্য কবিতা।




মৃত্যুকাব্যে


বিক্ষুব্ধ সময়ের অরাজক উত্তাল পেরিয়ে
কাব্যের জগতে যদি দুদন্ড শান্তির
আলেয়া ছুঁতে পারতাম পলায়নপর
অনায়াসে যেতাম মিশে কোনো আদিম
গুহার দেওয়ালে ওসাইরিসের ছবিতে
মরুভূমির ধু ধু ক্যাকটাসের জীবনরসে
চুর টাইগ্রিসের তীরে নিনেভের আলোয়
ঝলমলিয়ে যেত ইতেমান আনকি হাতছানি
ফলভারে নত খেজুরবীথির মাঝ বরাবর
সোপান মন্দির জিগুরাত অবধি সড়কপথে
ঈজিয়ান সাগর মধ্যপ্রাচ্যের রাত জেগে
মেসোপটেমিয়ার ধ্বংসাবশেষ সভ্যতায় সুদূর
জর্ডনের ধীর প্রবাহিনী জলে ভেসে ভেসে
অঙ্কুরিত হাসবানির বাঁকাচোরায় প্রত্যাশা
অনন্ত সাগরে অনাবিল অমৃত নিবাস
হৃদয়য়পটে বিস্মৃত শিল্পীর নিটোল টানে
নাবেটিয়ান সাম্রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে
দক্ষিণ ফিলিস্তানের মনোরম বেলাভূমিতে
জিহ্বাকৃতি পেনিনসুলা লিসান একদিকে
অন্যপাশে উসডাম পর্বত ঘেরা সাগরে
মসৃণ মিশে যেতেই উপলব্ধির দরিয়ায়
অগাধ আঁখিজলঅচল শান্তির অবগাহন!



আর্সেনিক


রাতপাপড়ির দেহে নতুন ভ্রমর
এসে দাঁড়ায় দরজায় হাত এলিয়ে
রক্তজবার মত ভ্রমরের চোখ
জড়ানো কথায় তাড়াহুড়ো কিসের


খিটখিটে মশারীর ভেতর শুইয়ে
নরক শিকলের ধাতব আওয়াজ


ক্ষয়গুঁড়োর হাড়কন্ঠা বেয়ে শিকড়
গজিয়ে ওঠা জানালার চোরকানাচে
একমুঠো উঁকি রাখে লালবেণী
আর কয়েকফোঁটা আর্সেনিক




মুখোশ


***
আসানসোলের সবজি মান্ডি ভেতর দিয়ে
খুপরি গলিগুলোর হিজিবিজি
পাইকারী দোকানের মুখোমুখি টাঙানো
নানা রঙের বসন্ত মুখোশগুলোর একটা
খসে পড়ে রোদ বাতাসের সূক্ষ দোলায়,
প্যাচপেচে কাদার ওপর কোনো হন্তদন্ত পা
অসতর্ক ব্যস্ততার হুড়োহুড়িতে
মাড়িয়ে যায় সেই বীভৎসার ভয় রঙ।


***
হাজরা ঝুপড়ি বস্তির মালিক
মিনিবাসের ধাতব পা-দানিতে
রাতের মোহময়তা জড়িয়ে
তামাটে রক্তের গন্ধ
মিশে যায় নিথর মুখের চামড়ায়,
দানা বাঁধতে থাকা আলগা ভিড়
ঘনিয়ে আসে পাথুরে আকাশ
করাল মুখ সরিয়ে মুখোশের উদ্বেগ।




Comments
0 Comments

No comments:

Blogger Widgets
Powered by Blogger.