পুপুর কবিতা
(১)
ফ্রী ড ম ,তুমি আকাশ নীলে
হাল্কা ডানার পাখি,
ফ্রি ডম, তুমি পথের বাঁকে
দেখা দেবে নাকি?
উঁচু পাঁচিল, মোটা দেওয়া
মাথায় আকাশ তুমি।
দিনের পরে দিনের হিসেব
দেওয়ালে আঁক গুনি,
আসবে কবে সেই ভাবনায়ে
স্বপ্ন দেখতে থাকি –
মায়ের আদর, বাপের গলা
বন্ধু নামক ফাঁকি,
ফাঁকা ঘরের আঁধার ঠেলে
মনের আলো খোঁজা,
ফ্রি ডম কেন তোমায় পাওয়ার
রাস্তা নেই গো সোজা?
সবাই আছে তোমার কাছে
লম্বা পথের শেষে ।
কাজের হিসেব চুকিয়ে
তোমায়ে
পাবো ছুটির দেশে।
(২)
বাদল , তোমার ছুটি
মেঘের সাথে আলো
দোপাটির সাথে বিনায়কের কবিতা ,
রঙ্গিন কচুপাতার ওপর
দু চার ফোঁটা জল ;
এই সব মিলিয়ে মিশিয়ে কবিতা খুঁজছি।
মেঘ- বাদলকে বলেছি ,”এস গিয়ে,
তোমায় আমার আর দরকার নেই”।
কত আর মন ভার করে থাকব বল?
এমন ঝকঝকে পুজোপুজো রোদ ।
সকালের ঘুমে মায়ের গলা।
পুজোবার্ষিকী অবধি নেটে।
পুজো আসছে।
এবারের খবর ;
চার পাশের দুর্গারা ক্রমশই চামুণ্ডা রূপে পূজিতা...
কাপড় তো অসুরেরা ছিঁড়ে নিয়েছে কবেই
হাতে খাঁড়া নিয়ে প্রতিবাদে
বীভৎস না হয়ে উপায় কি ?
রাজরাজেশ্বরী ষোড়শী
আপাতত ছিন্নমস্তা হইয়াছেন।
রক্তমাখা শ্মশানে দাঁড়িয়ে
কুমোর ভারতবর্ষকে ডাকছি।
থিম- শিল্পী কই?
বই পিঠে ছোট্ট এই উমাকে
নিশ্চিন্ত শিউলির সাজে সাজাতে
পারো না?