মোনালিসার কবিতাবিতান।
তেঁতুল ৯
প্রত্যাশা ছিল না বলে আমি আছি এতকাল
ছড়াগান যত নৃত্যপটিয়সী হয় ছন্দ তত বশ্যতা মেনেছে ৷
গতকাল তুমি বলেছিলে আমি শুনেছিলাম এবার আজ বলি শোনো
বিশ বছর আগেই এই বিষবৃক্ষে বাসা করে আছে চিল শকুনেরা ৷
চিলের বেইজ্জ্জত ছায়ারা বহুপদযুক্ত প্রাণী , ওদের সামনে রাখো বিজোড় বিদুৎ ৷
কবি এসে দিয়ে গেছে জোড়হীন অগ্নিকোণ আকাশের ছায়া ৷
তেঁতুলের টকে এত বিষ তাই তুমি বলেছিলে , সিগারেট নয় সুরা .......সুরা দাও ঢেলে এই পাাত্রে ৷
এই পাত্রে আগে কেউ চুমুক দিয়েছে ?
সেজেছ এমন যেন সোনাঝুরি বা্তাসের হাট , রোজ শনিবার বসে যাবে ?
বলতে বলতেই হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি এল যেই
কপলের টিপ খুলে নিয়ে বলেছিলে ছোট্ট টিপ পরো , ছন্দ শিখে নাও শহরে ওড়ার ৷
খিলখিলিয়ে আদিবাসিটির গালে কালো তিলটি আমার
এই লজ্জা বলব কেমন করে ?
কামরঙা নেই মাছরাঙা নেই আছে তোমার ফরাসী কাব্য আর ঠান্ডা জল
না বলে কেমন করে পালাই বলো তোমায় ছেড়ে ?
তেঁতুল --তুমিই কানে কানে বলেছিলে ,
'"চারপাশে টকে যাওয়া পচাপান্তা , জলের স্বভাবে জলও ধান্দাবাজ কত !
সবাই পন্ডিত কবি কবিতার ৷
তেঁতুল১০
দাদা নেই , টাওয়ার নেই , নট রিচেবল রাস্তা
তবু হেঁটে যাবে একা একা ? পাবে নীল খাতা , হলুদ বালক খোকা প্রমোশন ?
পাশ ফেল উঠে গেছে কবে ! যে যার মত পছন্দে খুঁজেছে বউ ৷
এখন সবার পায়ে অলিভ অয়েল , অয়েল পেন্টিং ছবি , হবে হবে তোমার হবেই হবে ৷
শাপলা শালুক গেঁড়ি গুগুল এইবার সব হেঁটে হেঁটে যাবে চাঁদে ৷
চাঁদের বুড়িটি আর সুতো কাটুক না কাটুক এখন সবাই তাঁতকল ,
শাড়ির বদলে দেখো আঙুল পরেছে শত শত সন্ধিপত্র .কবির ফাাল্গুনী চিঠি ৷
আমাদের কৃত্তিবাসী রামায়ণ সীতার স্পা করা চুল আজ কালো পৃথিবীর জন্য ছিন্ন মুন্ডু ৷
পৃথিবী সহজ হলে ধর্মহীন
ছায়া ভাঙে কি কোনো দৃষ্টিপাতে ?
পাহাড়ের কোলে কুপি জ্বালা সারি সারি ঘর জেগে আছে একা,
আধভাঙা রাতে যদি ভুল করে আসে কোনো টেলিফোন ৷
ন'জন কোথায় আছে তেঁতুল পাতায় ?
আক্ষেপের সুরে তুমি বলেছিলে দক্ষিণের পোড়া মাঠ থেকে তেঁতুল তুলতে পারো নি ৷
তুমি আরো বলেছিলে এঁটো পাতা থেকে টক খাবো না কখনো ৷
স্বজন নিজের হয় জানি , তাই তোমাকে একটি কবিসন্তান দেব ৷
সে তার মুক্তির জন্য পুরস্কার পাবে ই পাবে ৷
তবু হেঁটে যাবে একা একা ? পাবে নীল খাতা , হলুদ বালক খোকা প্রমোশন ?
পাশ ফেল উঠে গেছে কবে ! যে যার মত পছন্দে খুঁজেছে বউ ৷
এখন সবার পায়ে অলিভ অয়েল , অয়েল পেন্টিং ছবি , হবে হবে তোমার হবেই হবে ৷
শাপলা শালুক গেঁড়ি গুগুল এইবার সব হেঁটে হেঁটে যাবে চাঁদে ৷
চাঁদের বুড়িটি আর সুতো কাটুক না কাটুক এখন সবাই তাঁতকল ,
শাড়ির বদলে দেখো আঙুল পরেছে শত শত সন্ধিপত্র .কবির ফাাল্গুনী চিঠি ৷
আমাদের কৃত্তিবাসী রামায়ণ সীতার স্পা করা চুল আজ কালো পৃথিবীর জন্য ছিন্ন মুন্ডু ৷
পৃথিবী সহজ হলে ধর্মহীন
ছায়া ভাঙে কি কোনো দৃষ্টিপাতে ?
পাহাড়ের কোলে কুপি জ্বালা সারি সারি ঘর জেগে আছে একা,
আধভাঙা রাতে যদি ভুল করে আসে কোনো টেলিফোন ৷
ন'জন কোথায় আছে তেঁতুল পাতায় ?
আক্ষেপের সুরে তুমি বলেছিলে দক্ষিণের পোড়া মাঠ থেকে তেঁতুল তুলতে পারো নি ৷
তুমি আরো বলেছিলে এঁটো পাতা থেকে টক খাবো না কখনো ৷
স্বজন নিজের হয় জানি , তাই তোমাকে একটি কবিসন্তান দেব ৷
সে তার মুক্তির জন্য পুরস্কার পাবে ই পাবে ৷
তেঁতুল১১
আকাঙ্ক্ষা ও অহঙ্কারে ক্ষতস্থান বাড়ে ৷
বল তূই কেন এত অহঙ্কারী ?
কালিমা মোছার জন্য এই জন্ম গাঁটে গাঁটে ৷
দেখ ফিরে আমি কত স্নিগ্ধ বায়ু সৌরভ ছড়ালো - সে আমার সাড়া পেতে অভিমান দূর অবশেষে ৷
দেশের বাড়িটি যাও ? তুমি জোর এক বাতাস বিমানকথা ,
তোমার পায়ের মাটি শক্ত বরাবর তাই আমার প্রেমিক তুমি ৷
অতি ভদ্র যখন নিজের স্বর মিছিমিছি টক খাবে কেন ?
হীরক রত্নের জন্ম যার জন্মকোষ্ঠী তাল আর খেজুরসারির ছায়াতলে নাই বা দাঁড়িয়ে টকজল খেলে !
ফুটপাতে ঘুরে ক্ষাপা পাগলিনীর নাচ কেন যে দেখতে গেলে
সেই থেকে পিছু নিল ক্ষুধার্ত বাঘিনী ৷
জানি জেদী মেয়ে ভালোবাসো , ভনিতা ক্ষীনতা মাত্র
অসময়ে দাঁত টকে গেছে তবুও গাইছ একা গৌড়মল্লার রাগটি ৷
রাগ সে এমন এক আক্রমণ , যা আকাঙ্ক্ষা ও অহঙ্কার ৷
বনদেবী পুজোফল সব কারুকাজে থেঁতলানো তেঁতুলের থকতকে কাদা .......
শোনো এইবার বলি সোনালি পাখার আলো তাকে রাখো কাচকবিতায় ৷
বল তূই কেন এত অহঙ্কারী ?
কালিমা মোছার জন্য এই জন্ম গাঁটে গাঁটে ৷
দেখ ফিরে আমি কত স্নিগ্ধ বায়ু সৌরভ ছড়ালো - সে আমার সাড়া পেতে অভিমান দূর অবশেষে ৷
দেশের বাড়িটি যাও ? তুমি জোর এক বাতাস বিমানকথা ,
তোমার পায়ের মাটি শক্ত বরাবর তাই আমার প্রেমিক তুমি ৷
অতি ভদ্র যখন নিজের স্বর মিছিমিছি টক খাবে কেন ?
হীরক রত্নের জন্ম যার জন্মকোষ্ঠী তাল আর খেজুরসারির ছায়াতলে নাই বা দাঁড়িয়ে টকজল খেলে !
ফুটপাতে ঘুরে ক্ষাপা পাগলিনীর নাচ কেন যে দেখতে গেলে
সেই থেকে পিছু নিল ক্ষুধার্ত বাঘিনী ৷
জানি জেদী মেয়ে ভালোবাসো , ভনিতা ক্ষীনতা মাত্র
অসময়ে দাঁত টকে গেছে তবুও গাইছ একা গৌড়মল্লার রাগটি ৷
রাগ সে এমন এক আক্রমণ , যা আকাঙ্ক্ষা ও অহঙ্কার ৷
বনদেবী পুজোফল সব কারুকাজে থেঁতলানো তেঁতুলের থকতকে কাদা .......
শোনো এইবার বলি সোনালি পাখার আলো তাকে রাখো কাচকবিতায় ৷
শিয়াল
খবরদার ! বলতেই পালালে ?
পালালো চতুর রুঢ কর্কশ সূচক শব্দ ----
উচ্চকন্ঠে তাল ভাঙা গান , গানের বিলাপ করে সেই উচ্চহাসি
মাঠ, নয় , জঙ্গলের ঝোপে ঝাড়ে লুপ্তপ্রায় তুমি , তবু লোভ শেষ হয়নি তোমার !
রোজ তবু দেখি যেন অবিশ্বাসী এক বোকা গর্তে মুখ লুকিয়ে গভীর প্রজ্ঞাবান ৷
প্রতিদ্বনি শুনে শুনে যেন তার প্রতিদ্বন্দী বাড়ে !
প্রতিনিয়ত বেয়াড়া কোনো আর্তস্বর প্রতিনিধিত্ব করে ,যেন কোণ রাজদূত রাজধর্ম পালন করছে !
রাজভাষা তার জানা নেই , তবু যেন সে এসেছে বোবা অন্ধকারে রাজসাক্ষী দিতে !
রাতকানা তূই নাই বা হলি ! দিনকানা লোভাতুর হাঁদারাম , লোলজিহ্বা দেখে লোমহর্ষ জাগে........
সাবধান ! আমি তোর খবরদারী লোকালয় , যেখানে থেমেছে তোর হুক্কাহুয়া ডাক !
কোনো লৌকিক শিষ্টাচারেই তুই সভ্য হলি না , শরবিদ্ধ শবদেহ নিয়েও কিসের এত কাড়াকাড়ি !
শরম কি তোর আছে শয়তান ?
পালালো চতুর রুঢ কর্কশ সূচক শব্দ ----
উচ্চকন্ঠে তাল ভাঙা গান , গানের বিলাপ করে সেই উচ্চহাসি
মাঠ, নয় , জঙ্গলের ঝোপে ঝাড়ে লুপ্তপ্রায় তুমি , তবু লোভ শেষ হয়নি তোমার !
রোজ তবু দেখি যেন অবিশ্বাসী এক বোকা গর্তে মুখ লুকিয়ে গভীর প্রজ্ঞাবান ৷
প্রতিদ্বনি শুনে শুনে যেন তার প্রতিদ্বন্দী বাড়ে !
প্রতিনিয়ত বেয়াড়া কোনো আর্তস্বর প্রতিনিধিত্ব করে ,যেন কোণ রাজদূত রাজধর্ম পালন করছে !
রাজভাষা তার জানা নেই , তবু যেন সে এসেছে বোবা অন্ধকারে রাজসাক্ষী দিতে !
রাতকানা তূই নাই বা হলি ! দিনকানা লোভাতুর হাঁদারাম , লোলজিহ্বা দেখে লোমহর্ষ জাগে........
সাবধান ! আমি তোর খবরদারী লোকালয় , যেখানে থেমেছে তোর হুক্কাহুয়া ডাক !
কোনো লৌকিক শিষ্টাচারেই তুই সভ্য হলি না , শরবিদ্ধ শবদেহ নিয়েও কিসের এত কাড়াকাড়ি !
শরম কি তোর আছে শয়তান ?
মোনালিসা চট্টোপাধ্যায়