শক অ্যাবজর্বার স্যুট
বেশ কিছুকাল আমাদের সকলের খুব প্রিয় ডাঃ গৌতম মানে গৌতম বৃদ্ধ কিছু আবিষ্কার
করে উঠতে পারেন নি । শরীরটা বেজুত হয়ে ছিল । শরীরের আর দোষ কি ? এতবড় বিজ্ঞানী
কিন্তু তবু ভারতরত্ন পেলেন না বলে মন খারাপ করে পড়ে ছিলেন । আর মন যেহেতু শরীরকে
চালায় তাই তাঁর শরীরও বেজায় খারাপ হয়ে পড়েছিল । একদিন রাস্তা হাঁটার সময় অন্যমনস্কতার
সুযোগে একটা গাড়ী তাকে একেবারে পিষে দিচ্ছিল আর কি । গাড়ির দোষ কি । সে তো তার
নিজের রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিল । কিন্তু ডাঃ গৌতমই গাড়ির রাস্তায় নিজেকে এনে
ফেলেছিলেন । অতি কষ্টে বেঁচেছেন । রাস্তা পার হবার সময় একটা মোটর
গাড়ী প্রচন্ড বেগে আসছিল কিন্তু তিনি দেখতে পান নি । পথচারী একজন দারুণ
প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব দেখিয়েছিল । তাঁর হাতটা খপ করে ধরে জোরে এনে ফেলেছিল এদিকের
ফুটপাথে । একটু চোট লেগেছিল বটে তবে প্রাণে বেঁচেছেন এই ঢের । কৃতজ্ঞতায় একেবারে
গলে গিয়ে হাত দুটো ধরে ফেলেছিলেন সেই দ্বিতীয় জন্মদাতার।
- আপনাকে যে কি বলে –
- থাক থাক আর কিছু বলতে হবে না । ভদ্রলোক একটু বিরক্ত হয়ে বললেন, আর একটু হলেই
তো প্রাণটা যাচ্ছিল । নয় তো সারা শরীরে মাল্টিপল
ফ্রাকচার । হাড় মাস সব একাকার । একটু দেখে পেরোতে পারেন না রাস্তাটা ?
লজ্জিত আর অপ্রস্তুত একটা মানুষ । ভীতও বটে খুব । সেই মুহূর্তে কল্পনায়
মাল্টিপল ফ্রাকচারওলা একটা মানুষকে খোঁড়াতে দেখলেন ডাঃ গৌতম । আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর
সারা শরীরের সব লোম খাড়া হয়ে উঠল । ভয়ে আর ভাবনায় । এই বুড়ো বয়েসে মাল্টিপল
ফ্রাকচারের ঝক্কি কম নাকি ? একা থাকেন ।
বিছানার পড়ে থাকলে কে সামলাবে ?
জানেন আমাদের সেই ভ্যান চালকের কথা ? সেই উদ্ধারকর্তা বললেন ।
ডাঃ গৌতম বোকার মত ফ্যালফ্যাল করে খানিক চেয়ে আস্তে আস্তে ঘাড় নাড়লেন । তার
মানে তিনি জানেন না ।
- সে তো তিনমাস পরে মারা গেল, ভদ্রলোক কোনও ভনিতার ধারই ধারলেন না । সরাসরি
বলতে শুরু করলেন, বাসে ধাক্কা লেগেছিল । ভ্যানটা বাসের চাকার তলায় পিষে গিয়েছিল ।
কেউ আর চিনতে পারে নি । লোকটার ভাগ্য ভাল সঙ্গে সঙ্গে মরে নি । ছিটকে গিয়ে পড়েছিল
একটা দেওয়ালে । শিরদাঁড়ায় লেগেছিল মশাই । একেবারে স্পাইন্যাল কর্ডে । রক্ত জমে
গিয়েছিল । একেবারে জীবন্মৃত হয়ে পড়েছিলেন । কথা নেই বার্তা নেই মুখটা শুধু
যন্ত্রণায় নীল থাকত সারাক্ষন ।
ডাঃ গৌতমেরও একই অবস্থা । মানে মনে মনে যেন তিনি জীবন্মৃত । মাঝে মাঝে শিউরে
উঠছেন । কেঁপে কেঁপে উঠছে সারা শরীর ।
ঘড় ঘড় করে একটা মোটর বাইক এসে থামল ।
- আসুন দাদু আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দি ।
পথচারী আর একজন ইতিমধ্যেই খুব সকরুন হয়ে এসে তাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে চাইছে । তিনি তো আপ্লুত । বিগলিত হেসে বললেন, বাড়ী পৌঁছে দেবেন ? চেনেন আমায় ?
মোটর বাইকের যুবক হাসল, পাঁচ পাঁচ খানা “একান্ত ব্যক্তিগত” আবিষ্কার করে
আমাদের ধন্য করেছেন দাদু । আর আমরা আপনাকে চিনব না ?
ছেলেটির প্রতি বেশ কৃতজ্ঞ হয়ে পড়লেন ডাঃ গৌতম । চেনে দেখছেন তাঁকে । আবার তাঁর
“একান্ত ব্যক্তিগত”-র খবরও রাখে । কিন্তু তাঁর বড় পরিতাপ দেশের সরকার তাঁকে চিনল
না । দিল না তাঁর প্রতিভার মূল্য ।
- আপনি পেছনে বসুন দাদু । আর বলুন আপনার বাড়ীর ঠিকানা । আমি পৌঁছে দিচ্ছি ।
ডাঃ গৌতম খুশি হলেন কিন্তু তবু মনের সন্দেহটা একেবারে গেল না । একটু আগেই একটা
গাড়ি তাঁকে পিষে দিতে চেয়েছিল । হাজার হলেও মোটর বাইক একটা গাড়ী তো বটে । একটু ভয়
ভয় করতে লাগল । কিন্তু কাটানো যায় কি করে ।
বেচারা তাঁর মানে তাঁর “একান্ত ব্যক্তিগত”-র ভক্ত যে । তাকে তো আর এমনি এমনি বিমুখ
করা যায় না । তাছাড়া হাঁটতে গিয়েও যদি গাড়ীর ধাক্কা লাগে তো বাইকে চাপা আর কি
দোষের ?
তবু কুন্ঠা । বললেন, মানে – আবার যদি একটা –
- আরে না না । যুবকটি আশ্বস্ত করল, অ্যাক্সিডেন্টের ভয় নেই দাদু । আমার গাড়ি
বেশী লাফায়ও না । ডোন্ট ওরি ।
একটু আশ্বস্ত হয়ে বসলেন বাইকের পেছনে । ভয় ভয় যে করল না তা নয় । রাস্তাটা বেশ
উঁচু নীচু এবড়ো খেবড়ো । এ রাস্তায় ক’বার রিক্সায় চেপে এসেছেন । বেশ কয়েকবার অটোতেও
। খুব ঝাঁকুনি হয় । পেটের নাড়িভুঁড়ি যেন ডিগবাজি খেতে থাকে । শরীরের দু’শ ছ’ খানা
হাড় নিজেদের মধ্যেই লড়াই করতে থাকে ।
- বাঃ এত খারাপ রাস্তা কিন্তু গাড়ি নাচছে না তো ভাই ।
সত্যি বাইকে ঝাঁকুনি তেমন নেই বললেই চলে । দিব্বি মজায় যেন দোল খেতে খেতে
চলেছেন । খুব ভাল লাগছিল খোলা গাড়িতে এই যাওয়াটা ।
একটা টোটোর পেছনে ধাওয়া করে তাকে ওভারটেকের ধান্দায় ছিল বাইকটা । টোটোগুলো বড়
বিরক্তিকর । যাবেও না আবার যেতেও দেবে না । যেতে দেবে কি করে ওর গতিবেগ যে ঘন্টায়
তিরিশ কিলোমিটারে বাঁধা । ইঞ্জিন যে করেছে সেই নাকি বেঁধে দিয়েছে গতিটা । মানে
গাড়ির কোম্পানী আর কি । ব্যাটারিতে চলে তাতে আওয়াজেরও জোর নেই । নিমোনিয়া
পেসেন্টের মত বুকের একটা সাঁই সাঁই আওয়াজ । কোথা থেকে আওয়াজটা আসছে খুঁজে বার করতে
না করতেই গাড়ীটা স্বয়ং আপনার একেবারে সামনে । টোটোটাকে ওভারটেক করে নিয়ে ডাঃ গৌতমের প্রশ্নের উত্তর দিল ছেলেটি ।
- আমার গাড়িতে ঝাঁকুনি কম দাদু ।
ডাঃ গৌতম জিজ্ঞেস করলেন স্বাভাবিক কৌতূহল বশে, কেন ভাই ?
- আপনি জানেন না ?
- না, সত্যি বলছি ।
- কেন আবার ? ছেলেটা বলল, এই যে দেখুন পেছনে সামনে রয়েছে জব্বর শক অ্যাবজর্বার
। এই যে দেখছেন দুটো টিউবের মত আছে এগুলোকে বলে শক অ্যাবজর্বার। গাড়ি যতই লাফাক আপনার কিন্তু লাগবে না ।
এতক্ষনে বেশ ভাল নজর পড়ল ডাঃ গৌতমের । আরও ভাল করে দেখার ইচ্ছে হতেই ছেলেটা
বলল, এখন বেশী নড়াচড়া করবেন না দাদু । গাড়ী থামলে দেখে নেবেন ।গাড়ি থামল । ডাঃ গৌতম গাড়ি থেকে নেমেই ঝুঁকে পড়লেন দেখতে । বিষয়টা যতক্ষন না
ভাল করে পর্যবেক্ষণ করছেন ততক্ষন পেটের খাবার হজম হচ্ছে না যেন। ওপরে নীচে করে দুটো ধাতব টিউব ।
- ওর ভেতরে আছে শক্ত ষ্টীলের স্প্রিং । ছেলেটা বলল, গাড়ীটা লাফালে ঐ স্প্রিং
দুলুনি দেয় আর ধাক্কাটা লাগতে দেয় না লোকের গায়ে । বুঝতে পারছেন দাদু ? দাদু তো বুঝতে পারছেন ঠিক । আর এও বুঝতে পারছেন যে আবার তাঁর ধ্যানের সময় এসে
গেল । সেই ধ্যান যা তাঁকে আর জগতকে এ
পর্যন্ত পাঁচ পাঁচটা ‘একান্ত ব্যক্তিগত” উপহার দিয়েছে । এই ছেলেটা তাঁকে মোটরবাইক
চড়িয়ে এনে বড় ভাল কাজ করেছে । তাঁর তো বটেই সারা জগতেরও বটে । কারণ এই যে গাড়ীর শক
অ্যাবজর্বার দেখলেন তাতেই আবার তাঁর ধ্যানে বসার ইচ্ছে হয়েছে আর তাঁর প্রত্যেক বার
ধ্যানের শেষে একটা না একটা কিছু উপহার দিয়েছেন জগতকে ।
আবার সেই বটগাছ । সেই লাল শান বাঁধানো চত্বর । ডাঃ গৌতম বসেছেন ধ্যানে । পাক্কা
তিনমাস পরে ধ্যান ছেড়ে উঠেই চললেন কোলকাতায় । প্রেস ক্লাবে ডাকলেন প্রেস কনফারেন্স
। জব্বর এক কনফারেন্স । ছোটবড় সব কাগজের রিপোরটারে একেবারে গিজ গিজ করছে ।
ডাঃ গৌতম আর তাঁর আবিষ্কারের ব্যাপারে কে আর কিছু না জানে । তাই সকলেই গরম গরম
খবরটা পরিবেশন করতে চায় । সকলেরই খুব কৌতূহল । আবার
কি সাংঘাতিক এক চমকপ্রদ আবিষ্কার করে জগতকে একেবারে মন্ত্রমুগ্ধ করবেন কে জানে । ডাঃ গৌতম এক সুন্দর পোশাক পরেছেন আজ । একটা টাইট ফুলপ্যান্ট আর একটা ধুসর
রঙ্গের গেঞ্জি । সাধারণত তিনি কখনও গেঞ্জি জাতীয় কিছু পরেন না । পরেন শার্ট ।
কিন্তু আজ পরেছেন । কেন পরেছেন তা হয়ত অবিলম্বে ব্যাখ্যা করবেন তাই সব সাংবাদিক
চোখ আর কান খাড়া করে আছে । আর নোট বই আর পেন একেবারে রেডি । চিত্র সাংবাদিকদের
ক্যামেরা এমন কি নিউজ চ্যানেলের ওবি ভ্যান সব একেবারে প্রস্তুত ।
একজন মাইকে এলেন । বললেন, আজ স্বনামধন্য ডাঃ গৌতম তাঁর নবতম আবিস্কারটির কথা
জানাবার জন্যে আপনাদের এখানে ডেকেছেন । মাইকে এলেন ডাঃ গৌতম । বললেন, আমি কিছু বলব না । শুধু দেখাব । আপনারা কেবল দেখুন - দেখে যান । তারপর যা জিজ্ঞেস করার করবেন । ডায়াস ছেড়ে নীচে এলেন । তাঁর ইঙ্গিতে এগিয়ে এল চার চারটে পালোয়ান গোছের লোক । হাতে
সকলেরই বক্সিং গ্লাভস ।
কিন্তু এ কি করছেন তিনি ? সবাই আশ্চর্য হয়ে গেল । লোকটা কি গবেষণা করতে করতে
শেষে পাগল হয়ে গেল নাকি ? কেউ বলল, বিজ্ঞানীরা তো পাগলই হয় । কেউ পাগল হয়ে গবেষণা
করে আবার কেউ গবেষণা করতে করতে পাগল হয় । কিন্তু পাগলামিটা কি ? ডাঃ গৌতমের ইঙ্গিতে সেই চারটে পালোয়ান চার দিক থেকে
মারতে লাগল তাঁকে । একেবারে এলোপাথাড়ি । কিল চড় ঘুসি । আবার দুচারটে থাপ্পড় টাপ্পড়
। বেশ মনের সুখে । শেষ হতেই লোহার বড় বড় হাতুড়ি । শাবল, গাঁইতি কি নয় । ছুরি,
কাটারি এমন কি তলোয়ারের কোপ পর্যন্ত । আবার হলের বাইরে নাকি অপেক্ষা করছে একটা
মোটর বাইক তাঁকে ধাক্কা মারার জন্য ।
আর ডাঃ গৌতম ? তিনি কি গবেষণায় অসফল হয়ে শেষে আত্মহত্যার এই পথ বেছে নিয়েছেন ?
এতগুলো পালোয়ানের এই মার কতক্ষন আর সহ্য করবেন নিরীহ ঐ ষাটোর্ধ বিজ্ঞানী ? তা
পারলেও ঐ বাইক মানে যন্ত্র-দানবটার ধাক্কা – যেন স্বয়ং যমদূতের মুশলাঘাত । সাংবাদিকরা রুখে দাঁড়াল, থামান আপনার এই পাগলামি । না হয় ফেল করেছেন একটা
গবেষণায় ? তাতে কি ? আবার এগিয়ে যাবেন কিছুদিন পর । রবার্ট ব্রুশের উদাহরণ তুলে ধরল
একজন রিপোর্টার । এই রকম এক একজন এক একটা । যে কোনও ভাবেই হোক না কেন নিরস্ত করতে
হবে পাগলা বিজ্ঞানীকে ।
কিন্তু ডাঃ গৌতম ? হাসছেন এই এত মার খাবার পরেও । ওস্তাদের মার নাকি শেষ
রাত্রে । কিন্তু এই দিনে দুপুরেই বেশ দেখা গেল শেষ মারটা। বাইরে ফাঁকা জায়গায় এলেন
ডাঃ গৌতম । একটা বাইক প্রচন্ড গতিতে এগিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত হল । মনে হয় সরাসরি
ধাক্কা মারবে । মারলও ধাক্কা । একেবারে সপাটে – একশ কুড়ি কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে । সবাই
ভাবছে এবার বুঝি সকলকে হেঁট হয়ে কুড়োতে হবে ডাঃ গৌতমের দেহের ছোট্ট টুকরো গুলোকে ।
পার্টসগুলোকে খুঁজতে হবে অনেক মেহনত করে ।
কিন্তু না । মাথা উঁচু করে সোজা সামনে তাকিয়ে হাসছেন ডাঃ গৌতম । কি মোলায়েম
হাসিখানা । যেন সাতরাজার ধন এক মাণিক পেয়েছেন তিনি । এবার তাঁর পরণের প্যান্ট আর টাইট গেঞ্জীর রহস্য ফাঁশ করলেন ভদ্রলোক । পাশ থেকে
তুলে নিলেন ঠিক আর একটা সেট । এগুলো
দেখতে সাধারণ হলেও মোটেই সাধারণ নয় ।
- আইডিয়াটা বাইকের শক অ্যাবজর্বার দেখেই মাথায় এসেছিল । বললেন, ডাঃ গৌতম, এই দেখুন
।রিমোটের বোতাম টিপতেই দেওয়ালে টাঙ্গানো স্ক্রিনে দেখা গেল প্যান্ট আর শার্টের
ভেতরের সব কিছু । ছোট্ট ছোট্ট স্প্রিং দিয়ে তৈরি । ছোট্ট কিন্তু ভীষণ শক্তিশালী । ঠিক
যেন গাড়ির শক অ্যাবজর্বারের ছোট্ট ছোট্ট কপি । গাড়ীর ছোটখাটো ধাক্কা দূরে থাক বড়সড়
ধাক্কাও অনায়াসে সামলে দিতে পারে এই শক অ্যাবজর্বার স্যুট। শুধু প্যান্ট শার্টই
নয়, রয়েছে পায়ের জুতো আর মাথার হেলমেট পর্যন্ত । জুতো তো জুতোর মতই কিন্তু
হেলমেটকে হেলমেটের মত নয় বরং দেখতে অবিকল আপনার মাথারই মত । অতি সূক্ষ্ম আর স্বচ্ছ
। আর অবাক কান্ড প্যান্ট শার্ট জুতো বা হেলমেটই হোক সব কিছু দিয়ে দিব্বি হাওয়াও
গলে যেতে পারে । গরমের ভয় নেই এতটুকু ।
সুতরাং রাস্তায় বেরিয়ে পথ দুর্ঘটনার ভয় ? কখন কোন ফাঁকে একটা গাড়ী এসে ধাক্কা
দেয় কি পেছন থেকে পাগলা ষাঁড় এসে গুঁতোবার ভয় ?
উঁহু ডাঃ গৌতম আর তাঁর “একান্ত ব্যক্তিগত” থাকতে কখনও নয়, কখনও নয় – কভি
নেই ।
১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫।
[অরুণ চট্টোপাধ্যায়]