চন্দ্রাহত পৃথিবী
********
মেঘ তুমি ঢেকে দিও চাঁদ এর অহংকার ,
জোছনা গলে শিশির নামাও
নুয়ে পড়া হাসনুহানা মনে ।
ইচ্ছামৃত্যুর অপেক্ষায় কাঁদে
নিস্তরঙ্গ ইছামতি তীর ;
শরশয্যা আসন পেতেছি
চুমোর সবুজ গহনে ,
বসন্ত চুল্লিতে ঢেকেছে আকাশ
চাঁদ হাসে একাকি নির্জনে ।
নীল জোছনার কটাক্ষে
জেগে ওঠে চর ,
জোনাকিরা মালা গাঁথে
আকাশের বুকে ।
আমার দু' চোখে লেগেছে গ্রহণ ,
এতো আলো, তবু...
আলো খুঁজে বেড়াই চারিদিকে ।
********
মেঘ তুমি ঢেকে দিও চাঁদ এর অহংকার ,
জোছনা গলে শিশির নামাও
নুয়ে পড়া হাসনুহানা মনে ।
ইচ্ছামৃত্যুর অপেক্ষায় কাঁদে
নিস্তরঙ্গ ইছামতি তীর ;
শরশয্যা আসন পেতেছি
চুমোর সবুজ গহনে ,
বসন্ত চুল্লিতে ঢেকেছে আকাশ
চাঁদ হাসে একাকি নির্জনে ।
নীল জোছনার কটাক্ষে
জেগে ওঠে চর ,
জোনাকিরা মালা গাঁথে
আকাশের বুকে ।
আমার দু' চোখে লেগেছে গ্রহণ ,
এতো আলো, তবু...
আলো খুঁজে বেড়াই চারিদিকে ।
চাঁদ আসে না
********
মহাসেন আসবে বলেই
কথা রাখেনি চাঁদ;
ডুবে গেছে সূর্য ওঠার আগেই ।
দু’ চোখে শুধু অপেক্ষার পূর্ণগ্রাস ।
বৃষ্টি নামবে বলেই
থেমে গেছে ঝড়;
তারারা খুঁজেছে সারারাত ছায়াপথ ।
তুমি কাঁদছ কৃষ্ণ চতুর্দশী রাত ?
দেখো চেয়ে, ধ্রুবতারা থমকে আছে ;
অশোক বনে আজও পুড়ছে সীতার মধুমাস !!
********
মহাসেন আসবে বলেই
কথা রাখেনি চাঁদ;
ডুবে গেছে সূর্য ওঠার আগেই ।
দু’ চোখে শুধু অপেক্ষার পূর্ণগ্রাস ।
বৃষ্টি নামবে বলেই
থেমে গেছে ঝড়;
তারারা খুঁজেছে সারারাত ছায়াপথ ।
তুমি কাঁদছ কৃষ্ণ চতুর্দশী রাত ?
দেখো চেয়ে, ধ্রুবতারা থমকে আছে ;
অশোক বনে আজও পুড়ছে সীতার মধুমাস !!
আমার পৃথিবী আমার চাঁদ
**************
তোমার ঐ মুখ আমি দেখিনি কত শতাব্দী,
তবু আজও এভাবে আমাকে টানো চাঁদ ?
যেভাবে টানে সমুদ্র মানুষ কে ।
সরে যায় দু'পায়ের মাটি,
আমি ভেসে যাই এক বিস্মৃতির নগরে ।
.
...মনে পড়ে এক অন্ধকার গলি,
সমুদ্র সফেন নূপুরের উচ্ছাস
কোনও এক বাইজী পাড়ায় ;
বেদনায় রাঙা এক মুখ,
বেদানার রঙে রাখা মদ,
বালুতটে তপ্ত শ্বাস ফেলে
হেসেছিল এক কলঙ্কিনী চাঁদ ।
.
তারপর...
দু'জনে হেঁটেছি পাশাপাশি -
হেঁটেছি এক অনন্ত পথ.।
সমুদ্রের গভীরতার গভীরে,
ভেসে ওঠে এক বিলুপ্ত নগরী -
ব্যবিলন কিম্বা মিশরীয় সভ্যতার মত..
মাথা তুলে থাকা এক প্রবাল দ্দ্বীপ
আর তার ভেতর ইতিউতি ছড়ানো
কত সহস্রাধিক ঝিনুক..
স্বপ্নের মত উঁকি মারে নিসর্গ প্রকৃতি ;
হাজার বছর আগে ফেলে আসা
আমার নিজস্ব পৃথিবী
আর মাথার ওপর নিষ্পাপ , নিষ্কলঙ্ক চাঁদ ।
**************
তোমার ঐ মুখ আমি দেখিনি কত শতাব্দী,
তবু আজও এভাবে আমাকে টানো চাঁদ ?
যেভাবে টানে সমুদ্র মানুষ কে ।
সরে যায় দু'পায়ের মাটি,
আমি ভেসে যাই এক বিস্মৃতির নগরে ।
.
...মনে পড়ে এক অন্ধকার গলি,
সমুদ্র সফেন নূপুরের উচ্ছাস
কোনও এক বাইজী পাড়ায় ;
বেদনায় রাঙা এক মুখ,
বেদানার রঙে রাখা মদ,
বালুতটে তপ্ত শ্বাস ফেলে
হেসেছিল এক কলঙ্কিনী চাঁদ ।
.
তারপর...
দু'জনে হেঁটেছি পাশাপাশি -
হেঁটেছি এক অনন্ত পথ.।
সমুদ্রের গভীরতার গভীরে,
ভেসে ওঠে এক বিলুপ্ত নগরী -
ব্যবিলন কিম্বা মিশরীয় সভ্যতার মত..
মাথা তুলে থাকা এক প্রবাল দ্দ্বীপ
আর তার ভেতর ইতিউতি ছড়ানো
কত সহস্রাধিক ঝিনুক..
স্বপ্নের মত উঁকি মারে নিসর্গ প্রকৃতি ;
হাজার বছর আগে ফেলে আসা
আমার নিজস্ব পৃথিবী
আর মাথার ওপর নিষ্পাপ , নিষ্কলঙ্ক চাঁদ ।
আগামীর ইতিহাস
**********
আজও খুঁজে বেড়াই সেই বাংলা মায়ের মুখ ;
ঘন সবুজ ঘাসের বিছানায়
কিংবা টলটলে শিশির কণায়
দেখি প্রানের ভালোবাসা, জীবনের সব সুখ ।
.
হেঁটে যাই পায়ে পায়ে - ঐ পদ্মা নদীর তীর -
আহা! কি অপূর্ব আকাশ - নীল - অপরাজিতা নীল !
সোঁদা মাটির গন্ধ খুঁজে বেড়ায় একদল তিতির,
ভোরের আলো টুকু শুষে উড়ে যায় শালিক আর চিল।
ভেসে আসে বাউলের ভাটিয়ালি সুর,
হৃদয়ের কাছাকাছি, তবু যেন দূর - বহুদুর
ঐ পদ্মার ওপাড়ে মন টানে বারেবারে ,
যেখানে আকাশ মেশে আরও এক আকাশের তলে ।
কলকা পাড়ে শাড়ি পরা কমলা ভটচারজির মুখ,
চন্দন চিতায় পোড়া উন্নত চিবুক
আজও আকাশ প্রদীপ হয়ে জ্বলে ।
.
ফিরে আসি ঐ ছায়াপথ ধরে - ইতিহাসের অদুরে
প্রান্তরের পাড়ে - পাতার পরে পাতা জমে ঢেকে যাওয়া পিরামিডে
অস্ফুটে কে যেন ডাকে 'মা' বলে ;
বরকত, রফিক, জব্বর এর বিদেহি আত্মারা
এখানে ধুপের মত জ্বলে ।
মাথার ওপর আধ খাওয়া চাঁদ
যেন মৃত মমির আর্তনাদ !
ইচ্ছে করে ঐ কবরের পাশে রক্ত গোলাপ হয়ে চুমি ।
প্রনমি মা - নাও প্রনমি !
তোমার অধিকার ফিরিয়ে দিতে সন্তানের শেষ শ্বাস,
ফাগুনের বুলেট বিদ্ধ আগুনে
অমরত্ব পাক মাতৃভাষার ইতিহাস ।
**********
আজও খুঁজে বেড়াই সেই বাংলা মায়ের মুখ ;
ঘন সবুজ ঘাসের বিছানায়
কিংবা টলটলে শিশির কণায়
দেখি প্রানের ভালোবাসা, জীবনের সব সুখ ।
.
হেঁটে যাই পায়ে পায়ে - ঐ পদ্মা নদীর তীর -
আহা! কি অপূর্ব আকাশ - নীল - অপরাজিতা নীল !
সোঁদা মাটির গন্ধ খুঁজে বেড়ায় একদল তিতির,
ভোরের আলো টুকু শুষে উড়ে যায় শালিক আর চিল।
ভেসে আসে বাউলের ভাটিয়ালি সুর,
হৃদয়ের কাছাকাছি, তবু যেন দূর - বহুদুর
ঐ পদ্মার ওপাড়ে মন টানে বারেবারে ,
যেখানে আকাশ মেশে আরও এক আকাশের তলে ।
কলকা পাড়ে শাড়ি পরা কমলা ভটচারজির মুখ,
চন্দন চিতায় পোড়া উন্নত চিবুক
আজও আকাশ প্রদীপ হয়ে জ্বলে ।
.
ফিরে আসি ঐ ছায়াপথ ধরে - ইতিহাসের অদুরে
প্রান্তরের পাড়ে - পাতার পরে পাতা জমে ঢেকে যাওয়া পিরামিডে
অস্ফুটে কে যেন ডাকে 'মা' বলে ;
বরকত, রফিক, জব্বর এর বিদেহি আত্মারা
এখানে ধুপের মত জ্বলে ।
মাথার ওপর আধ খাওয়া চাঁদ
যেন মৃত মমির আর্তনাদ !
ইচ্ছে করে ঐ কবরের পাশে রক্ত গোলাপ হয়ে চুমি ।
প্রনমি মা - নাও প্রনমি !
তোমার অধিকার ফিরিয়ে দিতে সন্তানের শেষ শ্বাস,
ফাগুনের বুলেট বিদ্ধ আগুনে
অমরত্ব পাক মাতৃভাষার ইতিহাস ।
[নির্মাল্য বিশ্বাস]