জাগরন
মন যেন চায় খুলে দিতে
ভাবনার সব আগলগুলো
শিরায় বয়ে নিয়ে চলা
যন্ত্রণারা এলোমেলো...
প্রকাশের প্রসব ব্যাথা
কুরে কুরে খাচ্ছে জীবন,
চলছে দারুন দিন নিদারুন
সব ঋতুতেই ঝরে পাতা
ওড়াই তাদের হাওয়ার বেগে-
ঘুম ভেঙে যায় স্বপ্ন ভাঙে
হয়েছে আর কি এমন?
জীবন
হাতের তিন আঙুলে দি তুড়ি
জীবনটা হয় ঘুড়ি।
ভোকাট্টা? হলেও হতে পারি
তাও, স্পর্ধা নিয়েই উড়ি
আকাশের অনেকটাই তো বহুতলে ঠাসা
ভ্রাম্যমান আমি-
থাকবে না, আমার কোনও বাসা।
অপ্রকাশিত
ভালবাসা ছড়িয়ে পরছে ক্রমশ
যেভাবে মেঘেরা পরে ছড়িয়ে
আবারও হয় একত্রিত
ভেজাবে বলে-
মনের মধ্যে যখন জমে মেঘ
নিজের থেকে মনটাকেই করে আড়াল
কি চলছে সেখানে? অহরহ-
সব জিজ্ঞাসাগুলো দমচাপা
ঘিরেছে ঊরণাজাল
স্বাভিমান নয়, নয় অভিমান
জেগে রয় মনুষ্যতের অপমান
জেহাদ, হিংসা, বন্দুক,
চাপাটি
রুদ্ধ করবে আত্মপ্রকাশ
আর কতকাল?
বিপ্লবী তোমাকে
যৌবন ভরছ, উপচে উঠছে পেয়ালা এ জীবন-
এখনিত মাঠে নামার সময়
আমাকে নিয়ে চলো বিপ্লবের এই পথ ধরে
একটা দিনতো হোক অর্থবহ;
তোমার পাশে যাব আমি, তোমার পাশে যাব
প্রথম মারটা আমিই মাখব গায়ে
বন্দুক থেকে উড়ে আসা গুলি
তোমাকে ছোঁয়ার আগে
দেখে ফেলুক আমাকে-
বিপ্লবেরই প্রয়োজনে এখনই তো তোর চলবেনা যাওয়া
আমাকে তোমার সঙ্গে নিও সঙ্গে তোমার
যেভাবে যায় রাইফেল হাতে সেই রমণী
সঙ্গে রেখো।
[শর্মিষ্ঠা দাশ]